ঢাকা   রোববার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

’৭১-এ জামায়াতের ভূমিকা ভুল প্রমাণ হলে জাতির কাছে ক্ষমা চাইব -ডা. শফিকুর রহমান

Daily Inqilab স্টাফ রিপোর্টার

২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০১ এএম | আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০১ এএম

’৭১ এ মুক্তিযুদ্ধের সময় জামায়াতের ভুমিকা যদি সন্দেহাতীতভাবে ভুল প্রমাণ হয় তাহলে দলটি জাতির কাছে ক্ষমা চাইবে বলে জানিয়েছেন জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, একাত্তরে যারা ভারতে চলে গিয়েছিল তাদের জন্য পরিস্তিতি একরকম ছিল; আর যারা দেশে ছিল তাদের জন্য অন্যরকম অবস্থা ছিল। দেশে থাকাদের হয়তো পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হতো না হয় তাদের পক্ষে থাকতে হতো। এমন অবস্থায় যারা সরাসারি যুদ্ধ করেনি তাদের অনেকের অবস্থান পাকিস্তানিদের পক্ষে ছিল। যা আর পরবর্তীতে আলোচনা হয় না। আলোচনা শুধু জামায়াত নিয়ে। গতকাল মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যের লন্ডনে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বাংলা মিডিয়ার সাংবাদিকরা এতে অংশ নেন।

মুক্তিযুদ্ধের সময় জামায়াতের রাজনৈতিক পজিশন কেমন ছিল, বর্তমান জামায়াতের অবস্থানটা কী সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমাদের (জামায়াত) অবস্থান ছিল আসলে, আনফরচুনেটলি পাকিস্তানিরা আমাদের উপর একটা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছিল। এটা কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ ইনভাইট করে আনেনি। ভুট্টু সাহেব তার একগুয়েমির কারণে পাকিস্তানকে একটা অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছিলেন। এবং সেখানে ইয়াহিয়া খান তার কাছে কার্যত অসহায় আত্মসমর্পন করেছেন। বাংলাদেশের জনগণের জন্য এর বাইরে কিছু করার ছিলও না। তখন যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়া ছাড়া। হ্যাঁ, যদি সেই সময় জামায়াতের কোনো নেতা কোনো অপরাধ করে থাকেন তার যদি বিচার হয়, আমার কোনো বক্তব্য নাই, তার বিচার হোক। এবং সেই বিচারে কোনো শাস্তি হয় তাতেও আমার কোনো বক্তব্য নাই।

কিন্তু একজন অপরাধ না করে শুধু রাজনীতির কারণে যদি তিনি ভিক্টিমাইজড হন এটা এর চাইতে বড় অপরাধ। এই নির্দিষ্ট অপরাধ করার জন্য যেটা হতো তার শাস্তি-একজনকে অন্যায়ভাবে ভিক্টিমাইজড করা এর চাইতে বড় অপরাধ। এবং সেইটিই আমরা মনে করি হয়েছে। এই বিচারের (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্র্যাইবুনালে জামায়াত নেতাদের বিচার) ব্যাপারে অনেকেই আপত্তি তুলেছেন। আমি জাস্ট বৃটেনের কোর্টের একটা বিষয়ে আপনাদের সামনে কোট করবো। চৌধুরী মইনুদ্দিনের বিচারের ব্যাপারে এখানকার জাজরা একটা অবজারবেশন দিয়েছেন। ইটস এ জেনোসাইড অফ জাস্টিস। এই বিচারের মাধ্যমে বিচারকে হত্যা করা হয়েছে। বিচারের গণহত্যায়িত হয়েছে। দিজ ইজ রিয়েলিটি। আমরা এই সমস্ত পেইন নিয়ে আছি। ১৫ বছর (ফ্যাসিস্ট হাসিনার শাসনামল) আমাদের অফিসে একদিন আমাদের বসতে দেয়নি। কথা বলতে দেয়নি। আমরা এদেশের (বাংলাদেশ) নাগরিক, একটা বৈধ পার্টি। আমাদের একটা র‌্যালি অর্গানাইজ করতে দেয়া হয়নি। আমাদের কথা নিয়ে সাংবাদিকদের কাছে যেতে পারি নাই। তাদের মাধ্যমে জাতিকে বলতে পারিনি। সাংবাদিকদের মনের কথাগুলো আমরা শুনতে পারি নাই। তাদের মাধ্যমে জাতির কথা আমাদের কাছে আসবে এটাও পথ বন্ধ ছিল। ফলে আমাদের সকল ইন্টারেকশন বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।

এক প্রশ্নের জবাবে জামায়াতের আমীর বলেন, এই ৫ আগস্টের পর থেকে আগস্ট মাসে আমরা একটু সামান্য সুযোগ পেয়েছি। এখন যেমন আমাদের কথা বলতে পারছি। আপনাদের কথাগুলো শুনতে পারছি। এভাবে যখন মিউচুয়াল ইন্টারেকশন আমাদের বেশি বেশি করে হবে তখন আমাদের ব্যাপারে মিস প্রোপাগান্ডা এবং মিথ যেগুলো আছে ইনশাআলাহ, আশা করি দূর হবে। আর আমরা যদি কোনো ভুল করে থাকি সত্যিই যদি, এটা উইদাউট অ্যানি কোশ্চেন, এটা যদি প্রমাণ হয় সন্দেহাতিতভাবে আমি দায়িত্ব নিচ্ছি- আমি ক্ষমা চাইবো জাতির কাছে ইনশাআল্লাহ। এ ব্যাপারে আমার কোনো দূর্বলতা নাই।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণের দাবী অত্যন্ত যৌক্তিক
পাঠ্যবই ছাপায় অনিয়মে আনন্দ প্রিন্টার্সকে সতর্কতা
জনগণের সাথে জনসংযোগ বাড়াতে হবে
আমরা যুদ্ধে বিশ্বাসী না কেউ গায়ে পড়লে জবাবের প্রস্তুতি রাখতে হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফের বাড়লো সোনার দাম, ভরি ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা
আরও

আরও পড়ুন

নটিংহ্যামকে হারিয়ে চার ম্যাচের জয়খরা কাটালো আর্সেনাল

নটিংহ্যামকে হারিয়ে চার ম্যাচের জয়খরা কাটালো আর্সেনাল

স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণের দাবী অত্যন্ত যৌক্তিক

স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণের দাবী অত্যন্ত যৌক্তিক

পাঠ্যবই ছাপায় অনিয়মে আনন্দ প্রিন্টার্সকে সতর্কতা

পাঠ্যবই ছাপায় অনিয়মে আনন্দ প্রিন্টার্সকে সতর্কতা

দক্ষিণ লেবাননে ৬ চিকিৎসাকর্মী নিহত

দক্ষিণ লেবাননে ৬ চিকিৎসাকর্মী নিহত

জনগণের সাথে জনসংযোগ বাড়াতে হবে

জনগণের সাথে জনসংযোগ বাড়াতে হবে

আমরা যুদ্ধে বিশ্বাসী না কেউ গায়ে পড়লে জবাবের প্রস্তুতি রাখতে হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

আমরা যুদ্ধে বিশ্বাসী না কেউ গায়ে পড়লে জবাবের প্রস্তুতি রাখতে হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

বাফুফের নতুন সভাপতি তাবিথের কাছে ২৭ রেফারির চিঠি

বাফুফের নতুন সভাপতি তাবিথের কাছে ২৭ রেফারির চিঠি

ফের বাড়লো সোনার দাম, ভরি ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা

ফের বাড়লো সোনার দাম, ভরি ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা

বাংলাদেশে খেলা নিয়ে অনিশ্চিয়তায় হামজা!

বাংলাদেশে খেলা নিয়ে অনিশ্চিয়তায় হামজা!

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামেই হবে অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফের খেলা

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামেই হবে অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফের খেলা

সিলেটে মাজিদের ফিফটি

সিলেটে মাজিদের ফিফটি

অ্যাম্বাসেডর কাপ উশুতে সেনাবাহিনী চ্যাম্পিয়ন

অ্যাম্বাসেডর কাপ উশুতে সেনাবাহিনী চ্যাম্পিয়ন

মাদক শুধু ব্যক্তিকে নয় পরিবারকেও ধ্বংস করে

মাদক শুধু ব্যক্তিকে নয় পরিবারকেও ধ্বংস করে

সাধারণ মানুষের পেটে লাথি মেরে আ.লীগ নিজেদের ভাগ্য গড়েছে : এমরান সালেহ প্রিন্স

সাধারণ মানুষের পেটে লাথি মেরে আ.লীগ নিজেদের ভাগ্য গড়েছে : এমরান সালেহ প্রিন্স

ধর্মদ্রোহী সরকারের সময় কোনো ধর্মই নিরাপদ ছিল না

ধর্মদ্রোহী সরকারের সময় কোনো ধর্মই নিরাপদ ছিল না

দৌলতখানে শীতকালীন সবজি পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক

দৌলতখানে শীতকালীন সবজি পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক

সুন্দরগঞ্জে ছয় পা বিশিষ্ট বাছুরের জন্ম

সুন্দরগঞ্জে ছয় পা বিশিষ্ট বাছুরের জন্ম

বৈষম্যের শিকার কুমিল্লার ১৫ হাজার এতিম শিশু

বৈষম্যের শিকার কুমিল্লার ১৫ হাজার এতিম শিশু

দালালচক্রে জিম্মি রোগীরা

দালালচক্রে জিম্মি রোগীরা

ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোই সাটুরিয়ার শিশু শিক্ষার্থীদের ভরসা

ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোই সাটুরিয়ার শিশু শিক্ষার্থীদের ভরসা