১৬ লাখ টাকা বাকি খেয়ে উধাও কুবি ছাত্রলীগ, বিপাকে দোকান মালিকরা
২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০২ এএম | আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০২ এএম
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া ও পার্শ্ববর্তী হোটেল, মুদি ও চায়ের দোকানে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের প্রায় ১৬ লাখ টাকা বাকির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরেজমিনে ঘুরে ভুক্তভোগী অন্তত ১০ জন দোকান মালিকের সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য জানাযায়।
সম্প্রতি আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কুবি ক্যাম্পাস থেকে ছাত্রলীগ বিতাড়িত হলে বাকি টাকা আদায়ের বিষয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন দোকান মালিকরা। ভুক্তভোগীরা বলছেন, দলীয় ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা খাবার ও অন্যান্য পণ্য বাকিতে নিয়ে পরিশোধ না করেই চলে গেছেন। শুধু ছাত্রলীগের বাকি নয়, কিছু শিক্ষকদের নামেও বাকি খাওয়ার অভিযোগ আছে।
বিভিন্ন হোটেল ও দোকান মালিকের সাথে কথা বলে জানাযায়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়াতে বাকির পরিমাণ ২ লাখ টাকা, ক্যাম্পাস পার্শ্ববর্তী মামা হোটেলে ১০ লাখ, নবী মামার হোটেলে ৪ লাখ, ভুঁইয়া জেনারেল স্টোরে ২০ হাজার, মির্জা ভেরাইটিজ স্টোর ১০ হাজার টাকা বাকি রয়েছে।
দোকানীদের তথ্য মতে, প্রথম সারির বাকি খাওয়া ব্যক্তিরা হলেন- শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মাজেদ, ২০১৭ সালে বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক রেজা-ই-এলাহী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্বজন বরণ বিশ্বাস, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইমাম হোসেন মাসুম ও আবু সাদাৎ মোহাম্মদ সায়েম, বঙ্গবন্ধু হল ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক খায়রুল বাশার সাকিব ও দত্ত হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহসহ আরো অনেকে। নিরাপত্তার কারণে নাম প্রকাশে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন তারা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কুবি ক্যাফেটেরিয়ার পরিচালক মান্নান মজুমদার জানান, ছাত্রলীগের বাকি খাওয়ার সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী আমি। তাদের বিভিন্ন প্রোগ্রামের খাবার সরবরাহ করেছি। বাকির পরিমাণ এখন ২ লাখ টাকার বেশি। সরকারের পতনের পর অনেকের সঙ্গে কথা বলেছি। সবাই আশ্বাস দিয়েছে কিন্তু কেউই টাকা পরিশোধ করেনি। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি টাকা ফেরত না ফেলে বাকির তালিকা ক্যাম্পাস গেটে ঝুলিয়ে দেব এবং প্রক্টর বরাবর অভিযোগ জানাব।
ক্যাম্পাস-সংলগ্ন ‘মামা হোটেলের’ মালিক আব্দুল মান্নান বলেন, হাসিনা সরকারের পতনের পর এখন শান্তিতে ব্যবসা করছি। গত ১৮ বছরে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আমার হোটেল থেকে ১০ লাখ টাকার বেশি বাকি খেয়েছে। এর মধ্যে মাত্র চারজন টাকা দিয়েছে। ইলিয়াস আর মাসুম থাকা অবস্থায় বেশি সমস্যা হয়েছিল। এখন আর ঝামেলা নেই।
‘নবী মামা’ হোটেলের কর্ণধার মোহাম্মদ নূরূন নবী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমার হোটেল থেকে প্রায় ৪ লাখ টাকার বাকি খেয়েছে। তখন ক্ষমতার ভয় দেখিয়ে কথা বলার সুযোগও দিত না। এখনও আমার কোনো টাকা পাইনি। বাকি টাকা আদায়ের বিষয়ে মালিকদের অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তারা মনে করেন, ক্ষমতা হারানোর পর নেতাকর্মীরা আর এ টাকা ফেরত দেবেন না।
বাকি খাওয়া ব্যক্তিদের নাম কেন প্রকাশ করবেন না এমন প্রশ্ন করা হলে অধিকাংশ দোকান মালিকরা বলেন, দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হলেও তাদের সেটা হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। যেহেতু তাদের ব্যবসা করতেই হবে তাই আশঙ্কা করেন নাম প্রকাশ করলে পরবর্তীতে তাদের জন্য ক্ষতি হতে পারে।
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আব্দুল হাকিম বলেন, আমরা এখনো কোনো অভিযোগ পায়নি। যদি সঠিক তথ্যসহ কেউ অভিযোগ দেয় আমরা তাদের অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি অবগত করবো।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণের দাবী অত্যন্ত যৌক্তিক
পাঠ্যবই ছাপায় অনিয়মে আনন্দ প্রিন্টার্সকে সতর্কতা
দক্ষিণ লেবাননে ৬ চিকিৎসাকর্মী নিহত
জনগণের সাথে জনসংযোগ বাড়াতে হবে
আমরা যুদ্ধে বিশ্বাসী না কেউ গায়ে পড়লে জবাবের প্রস্তুতি রাখতে হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বাফুফের নতুন সভাপতি তাবিথের কাছে ২৭ রেফারির চিঠি
ফের বাড়লো সোনার দাম, ভরি ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা
বাংলাদেশে খেলা নিয়ে অনিশ্চিয়তায় হামজা!
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামেই হবে অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফের খেলা
সিলেটে মাজিদের ফিফটি
অ্যাম্বাসেডর কাপ উশুতে সেনাবাহিনী চ্যাম্পিয়ন
মাদক শুধু ব্যক্তিকে নয় পরিবারকেও ধ্বংস করে
সাধারণ মানুষের পেটে লাথি মেরে আ.লীগ নিজেদের ভাগ্য গড়েছে : এমরান সালেহ প্রিন্স
ধর্মদ্রোহী সরকারের সময় কোনো ধর্মই নিরাপদ ছিল না
দৌলতখানে শীতকালীন সবজি পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক
সুন্দরগঞ্জে ছয় পা বিশিষ্ট বাছুরের জন্ম
বৈষম্যের শিকার কুমিল্লার ১৫ হাজার এতিম শিশু
দালালচক্রে জিম্মি রোগীরা
ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোই সাটুরিয়ার শিশু শিক্ষার্থীদের ভরসা
পঞ্চগড়ে চিকিৎসক পদায়নের দাবিতে সড়ক অবরোধ