আরব বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধভাবে ইরানের পাশে দাঁড়াতে হবে বিক্ষোভ সমাবেশে ইসলামী দলের নেতৃবৃন্দ
২০ জুন ২০২৫, ০৮:৩৯ পিএম | আপডেট: ২০ জুন ২০২৫, ০৮:৩৯ পিএম

গত এক সপ্তাহ ধরে ইসরাইলের হামলায় ইরানের অবকাঠামো ধ্বংসসহ অর্ধসহস্রাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। এই প্রেক্ষাপটে ইরানের পাশে দাঁড়াতে ওআইসিকে অবিলম্বে জরুরি অধিবেশন আহ্বান করতে হবে। একইসাথে আরব বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধভাবে ইরানের পাশে দাঁড়াতে হবে। আগ্রাসী ইসরাইলের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের জবাব আরও কঠোরভাবে দিতে হবে। যুগ যুগ ধরে ফিলিস্তিনে চলমান গণহত্যার মাধ্যমে ইসরাইল মানবতা ও সভ্যতার সকল সীমা অতিক্রম করেছে।
ইরানে ইসরাইলি বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদ এবং গাজায় গণহত্যা ও মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আজ বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেইটে বিভিন্ন ইসলামী দলের উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।
খেলাফত মজলিস
খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেন, ইসরাইল যুগ যুগ ধরে ফিলিস্তিনে গণহত্যা চালিয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও সভ্যতার সকল সীমা লঙ্ঘন করেছে। গত এক সপ্তাহে ইসরাইল ইরানের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো গুঁড়িয়ে দিয়ে শত শত নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে। তিনি বলেন, এই অবৈধ রাষ্ট্রটি শান্তিকামী মানুষের জন্য বড় হুমকি। ইসরাইলের পক্ষে যারা অবস্থান নেবে তারাও মানবতার শত্রু হিসেবে চিহ্নিত হবে।
তিনি আরও বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার ইরান ধ্বংসের হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন, অথচ ইসরাইলের অপরাধ পাশ কাটিয়ে যাচ্ছেন। শক্তির অহঙ্কারে যারা উন্মাদ হয়ে পড়ে, ইতিহাসে তাদের পতন অনিবার্য। ইরানের প্রতিরোধের মুখে ইসরাইলের রাজধানীতেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, যা তাদের জন্য সতর্কবার্তা হওয়া উচিত।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আজিজুল হক এবং পরিচালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন।
বক্তব্য রাখেন—নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, যুগ্ম মহাসচিব ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক আবদুল জলিল, মাওলানা সাইফুদ্দিন আহমদ খন্দকার, ছাত্র মজলিস কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ রায়হান আলী এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। পরে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
ইসলামী ঐক্য আন্দোলন
ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের আয়োজনে আজ শুক্রবার বাদ জুমা জাতীয় মসজিদের উত্তর গেইটে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহানগরী সভাপতি মাওলানা আমিনুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় আমির ড. মাওলানা এ কে এম মাহাবুর রহমান বলেন, মুসলিম উম্মাহর অস্তিত্ব রক্ষায় সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। জায়নবাদী ইসরাইল ও তাদের পৃষ্ঠপোষক আমেরিকা-ব্রিটেন মুসলমানদের নিশ্চিহ্ন করতে অপতৎপরতায় লিপ্ত।
তিনি বলেন, ইরান একমাত্র রাষ্ট্র যা বাতিল শক্তির বিরুদ্ধে সাহসী অবস্থান নিয়েছে। তুরস্ক ও আরব বিশ্ব বিবৃতির বাইরে কোনো কার্যকর ভূমিকা রাখছে না। ওআইসি যেন "ওরা মরুক, আমরা দেখি" নীতিতে চলছে।
বক্তব্য রাখেন—নায়েবে আমির অধ্যাপক এস. এম. আব্দুল হামিদ, সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মো. ইসমাঈল ফারুক, ডা. নাসিরুল ইসলাম টগর, মাওলানা ইউসুফ সিদ্দিকী ও মাওলানা আবু সালেহ।সমাবেশে প্রতি ওয়াক্ত নামাজ শেষে ফিলিস্তিনের মুজাহিদদের জন্য দোয়া করার আহ্বান জানানো হয় এবং মুনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা আমিনুল ইসলাম।
মুসলিম উম্মাহর পুনর্জাগরণ পরিষদ
ফিলিস্তিন ও ইরানসহ মুসলিম রাষ্ট্রগুলোতে ইসরাইলের হামলার প্রতিবাদে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেইটে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে মুসলিম উম্মাহর পুনর্জাগরণ পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আ. ম. ম. আরিফ বিল্লাহ বলেন, মার্কিন সহায়তায় ইসরাইল ষাট বছর ধরে ফিলিস্তিনে গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে ইরানকে টার্গেট করা হয়েছে।
তিনি বলেন, তুরস্ক, সৌদি আরবসহ মুসলিম বিশ্বের নেতারা নিরব, আরব দেশগুলো আমেরিকার গোলামে পরিণত হয়েছে। এই যুদ্ধ আসলে ইসরাইল নয়, আমেরিকার বিরুদ্ধে। কারণ, ইসরাইল আমেরিকার সামরিক ঘাঁটি।ছাত্র অধিকার পরিষদের সানাউল্লাহ বলেন, আজ যদি মুসলিম রাষ্ট্রগুলো ইরানের পাশে না দাঁড়ায় তাহলে মধ্যপ্রাচ্যের সব মুসলিম রাষ্ট্র একে একে ইসরাইলের শিকার হবে।
মাদরাসা ছাত্র প্রতিনিধি মুহাম্মাদ আব্দুল হামিদ আস-সাফওয়ান বলেন, জাতিসংঘ মুসলমানদের রক্ষা করবে ভাবলে তা হবে ভয়াবহ ভুল। তিনি ৫৭টি মুসলিম রাষ্ট্রকে নিয়ে নতুন জাতিসংঘ গঠনের আহ্বান জানান।বিশিষ্ট আলেম শাহ মোহাম্মদ শামছুদ্দিন বলেন, ইসরাইল শুধু ফিলিস্তিন নয়, পুরো বিশ্ব মানবতার শত্রু।
বাতিল প্রতিরোধ পরিষদ
পরিষদের সভাপতি হাজী জালাল উদ্দিন বকুল বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইল ও মার্কিন আগ্রাসনে গোটা মুসলিম উম্মাহ বিপদের মুখে পড়েছে। তিনি বলেন, ইরানের ওপর অন্যায়ভাবে যুদ্ধ চাপিয়ে দিলে তা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে রূপ নিতে পারে।তিনি মধ্যপ্রাচ্যকে যুদ্ধমুক্ত রাখতে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও






আরও পড়ুন

হাসপাতালে কিয়ারা, আজই হতে পারেন মা

ঢাকায় ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে কলাপাড়ায় মশাল মিছিল

উত্তরা সেনাবাহিনীর হাতে চাঁদাবাজ মিলনসহ গ্রেফতার ৬

মিটফোর্ডে প্রকাশ্যে খুন: তদন্তে অগ্রগতি, বিভ্রান্তিকর প্রচারে ডিএমপির সতর্কবার্তা

ফের লর্ডস টেস্টে হাসল রাহুলের ব্যাট,তিন দিন শেষে সমানে সমান ভারত-ইংল্যান্ড

যারা সরাসরি সংশ্লিষ্ট রহস্যজনকভাবে সেই মূল তিন আসামীকে বাদ দেয়া হয়েছে :যুবদল সভাপতি

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনকে অবশ্যই ‘সঠিক পথ’ খুঁজে বের করতে হবে

বিচারহীনতা ও রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতার জঘন্য পরিণতি সোহাগ হত্যাকাণ্ড :বিভিন্ন ইসলামী দলের তীব্র প্রতিবাদ

অমীমাংসিত কিছু বিষয়, শুল্কছাড় নিয়ে আবার আলোচনায় বসবে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ

এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার আগে জ্বালানি সুইচ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল

ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে চাই -স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মূল্য যুদ্ধের অবসান ঘটাতে পদক্ষেপ নিচ্ছে চীন

রূপগঞ্জে ৩৪ বছর পর মসজিদের ওয়াকফকৃত ৪১ শতক জমি উদ্ধার করল গ্রামবাসী

বন্দরে বিএনপি নেতাদের চাঁদা না দেয়ায় মসজিদের বালু ভরাট কাজ বন্ধ

পাল্টা শুল্কের শঙ্কায় বাংলাদেশ থেকে পোশাকের ক্রয়াদেশ পিছিয়েছে ওয়ালমার্ট

দুই হত্যার প্রাপ্ত টাকা মসজিদে দান করে দেয় র্যাব কর্মকর্তা

মালয়েশিয়ায় আন্তর্জাতিক মেশিনারি মেলায় অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ

টাকা পয়সার সঙ্গে জামা জুতাও নিয়ে যায় ছিনতাইকারী

সউদী আরবে সম্পত্তি কিনতে পারবেন বিদেশিরা

বাজার মূলধনে যোগ হলো আরো ১০ হাজার কোটি টাকা