নবুয়ত ও নবীগণ
৩০ মে ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ৩০ মে ২০২৪, ১২:০৪ এএম
ইসলামি জীবনদর্শনে নবুয়ত এক অপরিহার্য বিষয়। আল্লাহ তায়ালার পবিত্র বাণী মানুষের নিকট পৌঁছে দেওয়াকে নবুয়ত এবং পৌছে দেওয়ার দায়িত্বকে রিসালাত বলা হয় । যা কেবল নবী-রাসুলগণের কাজ। কেননা, মানুষের বিবেক-বুদ্ধি নবীগণের সহযোগিতা ও পথপ্রদর্শন ছাড়াও বিশ্ব স্রষ্টার অস্তিত্ব নির্ণয় করতে পারে বটে, কিন্তু আল্লাহর অস্তিত্বের সাথে তাঁর মৌলিক গুণাবলীর সঠিক পরিচিতি, তাঁর পবিত্রতা, নিষ্কলুষতা, ইত্যাদি বিষয়ে অবগত হওয়া নবী-রাসূলগণের সহযোগিতা ব্যতিরেকে আদৌ সম্ভব নয়। আর নবীগণ সংবাদ দেন এবং রাসূলগণ সকল আহকাম কাক্ষিত স্তর পর্যন্ত পৌঁছিয়ে দেন। সকল নবী ও রাসূল উম্মতের নিকট আল্লাহ তায়ালার সংবাদবাহক ও দীনের প্রচারক ছিলেন। এ প্রসঙ্গে সূরা বাকারার ২১৩ নং আয়াতে ইরশাদ হচ্ছে, ‘(শুরুতে) সমস্ত মানুষ একই দীনের অনুসারী ছিল। তারপর (যখন তাদের মধ্যে মতভেদ দেখা দিল তখন) আল্লাহ নবী পাঠালেন, (সত্যপন্থীদের জন্য) সুসংবাদদাতা ও (মিথ্যাশ্রয়ীদের জন্য) ভীতি প্রদর্শনকারীরূপে। আর তাদের সাথে সত্যসম্বলিত কিতাব নাযিল করলেন, যাতে তা মানুষের মধ্যে সেই সব বিষয়ে মীমাংসা করে দেয়, যা নিয়ে তাদের মধ্যে মতভেদ ছিল।’
নবী-রাসূলের বৈশিষ্ট্য: নবী ও রাসুলগণ পূর্ণ জ্ঞান ও সুস্থ স্বভাব, সত্যবাদিতা, আমানতদারীতা প্রভৃতি গুনে গুণান্বিত ছিলেন এবং মানবিক সকল ধরণের ত্রুটি থেকে মুক্ত। আল্লাহ তায়ালা নিজেই তাঁদেরকে পবিত্র ও সম্মানিত করেছেন। তাদের মধ্যে উত্তম চরিত্রের সকল গুনাবলী দান করেছেন। তিনি তাদের মাঝে দান করেছেন ধৈর্য্, জ্ঞান, উদারতা, সম্মান, দানশীলতা, বীরত্ব ও ন্যায়পরায়ণতা। যাতে এসব আখলাকের কারণে তারা নিজ জাতির কাছে আলাদা বৈশিষ্ট্যে পরিচিত হন। এ প্রসঙ্গে রাসূলে আরবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘আল্লাহ এমন কোন নবীকে পাঠাননি যে তার চেহারা সুন্দর ছিল এবং তার কণ্ঠস্বর ছিল সুন্দর এবং তোমাদের নবী তাদের মধ্যে সর্বোত্তম চেহারা ও কণ্ঠস্বরের অধিকারী।’ রাসুলগণ হলেন আল্লাহ তায়ালার সর্বোত্তম সৃষ্টি, তিনি তাদেরকে নির্বাচিত করেছেন তাঁর রিসালাত ও আমানত মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য। তাঁদের ব্যাপারে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আকিদা ও বিশ্বাস হল, রাসূল ও নবীগণ এই পৃথিবীতে ওহী লাভ করার পূর্বেও রাসূল ও নবী। অনুরূপভাবে পৃথিবীর জীবন সমাপ্তি লাভের পরও। তারা সদা-সর্বদা মাসুম বা নিষ্পাপ। নবী রাসূলের সংখ্যা: পৃথিবীতে আল্লাহ তাআলা যুগে যুগে অসংখ্য নবী-রাসুল প্রেরণ করেছেন। হাদীসের ভাষ্য মতে নবী-রাসূলের সংখ্যা লক্ষাধিক।তাঁদের ভেতর ২৬ জনের নাম পবিত্র কোরআনে উল্লেখ আছে। এর মধ্যে ১৮ জনের নাম সূরা আনআমের ৮৩ থেকে ৮৬ নম্বর আয়াতে একত্রে বর্ণিত হয়েছে এবং বাকিদের নাম অন্যত্র এসেছে। প্রথম মানুষ আদম (আ.)-এর মাধ্যমে পৃথিবীতে নবী আগমনের ধারাক্রম শুরু হয় এবং মহানবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামার মাধ্যমে তা শেষ হয়। ঐতিহাসিকরা কুরআনুল করিমে বর্ণিত নবী-রাসুলদের আগমনের একটি ধারাক্রম বর্ণনা করেন। যথা-১.আদম (আ.) ২.শিশ ইবনে আদম (আ.)৩.ইদরিস (আ.) ৪.নুহ (আ.) ৫.হুদ (আ.) ৬. সালেহ (আ.) ৭.ইবরাহিম (আ.)৮.শোয়াইব (আ.)৯.ইসমাঈল (আ.)১০.ইসহাক (আ.)১১.ইয়াকুব (আ.), ১২.ইউসুফ (আ.), ১৩.আইয়ুব (আ.), ১৪.জুলকিফল (আ.), ১৫.ইউনুস (আ.), ১৬.মুসা (আ.), ১৭.হারুন (আ.),১৮. খিজির (আ.), ১৯.ইউশা ইবনে নুন (আ.), ২০.ইলিয়াস (আ.), ২১.দাউদ (আ.), ২২.সোলাইমান (আ.), ২৩.জাকারিয়া (আ.), ২৪.ইয়াহইয়া (আ.) ২৫. ঈসা (আ.) ২৬. মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। (চলবে)
লেখক: আরবি প্রভাষক, তাজুশ শরীআহ দরসে নিযামী মাদরাসা, ষোলশহর, চট্টগ্রাম।
বিভাগ : ধর্ম দর্শন
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বিলুপ্তির পথে মাটির ঘর
চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
প্রতিবন্ধী স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ
কেরু চিনিকলে আখ মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন
বিহারিরা কেমন আছে
লক্ষ্মীপুরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি
আসাদ সরকারের পতন : নতুন সিরিয়ায় ইসরাইলি আগ্রাসন
মেটলাইফ বাংলাদেশের গ্রাহকরা ডিসকাউন্ট পাবেন ওশান প্যারাডাইস হোটেলস ও রিসোর্টে
১৫ নারী ও শিশুকে হস্তান্তর
আবাসন ও গার্মেন্ট খাতের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে
মেহেরপুরে বেড়েছে গরম কাপড় বিক্রি
কাশিয়ানীর হাট-বাজার নিষিদ্ধ পলিথিনে সয়লাব
অ্যানুয়াল বিজনেস কন্টিনিউয়িটি প্ল্যান ড্রিল ২০২৪ আয়োজন করলো ব্র্যাক ব্যাংক
সমস্যায় জর্জরিত আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
সবুজ গালিচায় হলুদের সমারোহ
আখাউড়ায় ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মেধা বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
নিউ ইয়র্কের আদালতে অভিযুক্ত লুইজি
কিউবায় সমাবেশ
ঈশ্বরদীতে দূর্বৃত্তের হামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আহত
থিনেস্ট স্বাস্থ্যের