তাবিথের কাছে ২৭ রেফারির চিঠি
২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০২ এএম | আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০২ এএম
ফুটবল খেলার অবিচ্ছেদ্য ও অন্যতম প্রধান অংশ রেফারি। বিশ্ব ফুটবলে রেফারিরা বিশেষ সম্মানীয় হলেও বাংলাদেশে অবশ্য তারা অনেক ক্ষেত্রেই থাকেন অবহেলিত। বাংলাদেশের রেফারিদের ম্যাচ পরিচালনা ফি খুবই কম। পাশাপাশি সেই কম সম্মানীও তারা নিয়মিত পাননা, বকেয়া থাকে বছরের পর বছর। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সাবেক সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিনের চার মেয়াদে বকেয়া আদায়ে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়েছে রেফারিদের। এ থেকে রেহাই পেতে ঘরোয়া ফুটবলের নতুন মৌসুম শুরুর আগে বাফুফের নতুন সভাপতি তাবিথ আউয়াল কাছে চিঠি দিয়েছেন ফেডারেশনের প্যানেলভুক্ত ২৭ জন রেফারি। সেই চিঠিতে তারা সম্মানী ও আনুষাঙ্গিক ভাতা বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) একটি ম্যাচে রেফারি ৪ হাজার, দুই সহকারী রেফারি ৩৮০০ টাকা ও চতুর্থ রেফারি ৩৫০০ টাকা সম্মানী পেয়ে থাকেন। নতুন সভাপতি তাবিথ আউয়ালকে দেয়া চিঠিতে সম্মানী ২ হাজার টাকা করে বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন রেফারিরা। ম্যাচ ফি ছাড়াও রেফারিদের ম্যাচ পরিচালনার সময় দৈনিক ভাতা প্রদান করা হয়। সেই ভাতা ১৮০০ টাকা থেকে ৩ হাজারে উন্নীত করার দাবি জানান রেফারিরা। গত কয়েক মৌসুম ধরে বিপিএল, ফেডারেশন কাপের ম্যাচগুলো ঢাকার বাইরেই বেশি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভেন্যু ভেদে রেফারিরা যাতায়াত ভাড়া বাবদ ১-২ হাজার টাকা পেয়ে থাকেন। এ খাতে ভেন্যু ভেদে আরো ৫০০ টাকা করে বৃদ্ধির প্রস্তাবনা রয়েছে রেফারিদের চিঠিতে। নতুন মৌসুম শুরুর পূর্বে বাফুফের সভাপতিকে দাবি বিবেচনার অনুরোধ করেছেন রেফারিরা।
দেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত চ্যালেঞ্জ কাপে বসুন্ধরা কিংস-মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে ঘরোয়া ফুটবলের নতুন মৌসুম শুরু হয়েছে ২২ নভেম্বর। আগামী শুক্রবার বিপিএলের খেলা মাঠে গড়াবে। লিগ চলাকালেই আগামী ৩ ডিসেম্বর শুরু হবে ফেডারেশন কাপের খেলা। নতুন মৌসুমের ব্যস্ত সূচীর আগে গত ১৮ নভেম্বর রেফারিরা তাবিথ আউয়াল বরাবর চিঠি দিলেও এখনো কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেয়নি বাফুফে।
বাফুফের স্ট্যান্ডিং কমিটির মধ্যে অন্যতম রেফারি। ২৬ অক্টোবরের নির্বাচনের পর বেশ কয়েকটি কমিটির চেয়ারম্যান মনোনীত হলেও রেফারিজ কমিটির চেয়ারম্যান ঠিক হয়নি। লিগ বা টুর্নামেন্ট শুরু হলে কোন ম্যাচে কোন রেফারি বরাদ্দ দেয়া হবে এটা খুবই সংবেদনশীল কাজ। এখনো চেয়ারম্যান মনোনীত না হওয়ায় ম্যাচে রেফারি বরাদ্দের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও প্রভাবের প্রশ্ন আসার সম্ভাবনা রয়েছে। মাঠে রেফারির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হলেও পূর্ণাঙ্গ পেশাদার রেফারি এখনো দেখা যায়নি বাংলাদেশে। বাংলাদেশের রেফারিদের কেউ শিক্ষকতা, কেউ ব্যবসা, অন্য চাকুরি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। সেই পেশাগত দায়িত্ব পালনের পর নিজের তাগিদে ফিট থাকতে অনেক ক্ষেত্রে অর্থ খরচ করে ফুটবল ম্যাচ পরিচালনা করেন রেফারিরা। সেই সম্মানী যখন বকেয়া থাকে তখনই রেফারিরা ফুটবল বিমুখী হতে বাধ্য হন।
বিভাগ : খেলাধুলা
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণের দাবী অত্যন্ত যৌক্তিক
পাঠ্যবই ছাপায় অনিয়মে আনন্দ প্রিন্টার্সকে সতর্কতা
দক্ষিণ লেবাননে ৬ চিকিৎসাকর্মী নিহত
জনগণের সাথে জনসংযোগ বাড়াতে হবে
আমরা যুদ্ধে বিশ্বাসী না কেউ গায়ে পড়লে জবাবের প্রস্তুতি রাখতে হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বাফুফের নতুন সভাপতি তাবিথের কাছে ২৭ রেফারির চিঠি
ফের বাড়লো সোনার দাম, ভরি ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা
বাংলাদেশে খেলা নিয়ে অনিশ্চিয়তায় হামজা!
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামেই হবে অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফের খেলা
সিলেটে মাজিদের ফিফটি
অ্যাম্বাসেডর কাপ উশুতে সেনাবাহিনী চ্যাম্পিয়ন
মাদক শুধু ব্যক্তিকে নয় পরিবারকেও ধ্বংস করে
সাধারণ মানুষের পেটে লাথি মেরে আ.লীগ নিজেদের ভাগ্য গড়েছে : এমরান সালেহ প্রিন্স
ধর্মদ্রোহী সরকারের সময় কোনো ধর্মই নিরাপদ ছিল না
দৌলতখানে শীতকালীন সবজি পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক
সুন্দরগঞ্জে ছয় পা বিশিষ্ট বাছুরের জন্ম
বৈষম্যের শিকার কুমিল্লার ১৫ হাজার এতিম শিশু
দালালচক্রে জিম্মি রোগীরা
ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোই সাটুরিয়ার শিশু শিক্ষার্থীদের ভরসা
পঞ্চগড়ে চিকিৎসক পদায়নের দাবিতে সড়ক অবরোধ