ড্রাগন ক্ষেতে শিয়ালের হানা দিশেহারা কালীগঞ্জের চাষিরা
০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০২ এএম | আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০২ এএম
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজলা ড্রাগন ক্ষেতে শিয়ালের আক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। রাতের বেলা শিয়ালের দল ড্রাগন ক্ষেতে হানা দিয়ে গাছ ও ফল নষ্ট করছে। কোনভাবেই তাদের প্রতিহত করা যাচ্ছে না। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে চাষিরা। চলতি বছর কালীগঞ্জ উপজেলার মাঠে ৩২৮ হেক্টর জমিতে ড্রাগনের চাষ রয়েছে। এসব বাগান থেকে প্রতি বছর প্রায় ৫ থেকে ৬ সহাস্রাধিক টন ফল উৎপাদন হয়। সম্প্রতি সময়ে এসব বাগানে ফল একটু বড় হলেই রাতের আধারে শিয়ালের দল প্রবেশ করে বাগানের ফল খেয়ে ফেলছে। ফল ছেড়ার জন্য গাছও ভেঙ্গে নষ্ট করছে। শিয়ালের এই অত্যাচারে দিশেহারা হয়ে পেড়েছে চাষিরা। উদ্বিগ্ন চাষিরা কিভাবে এর প্রতিকার করবেন তা নিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকতার অফিসের যোগাযোগ করছেন।
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার হেলাই গ্রামের তরুণ উদ্যক্তা মাসুদ রানা নামে একজন ড্রাগন চাষি জানান, নিজ গ্রামে দুই বিঘা জমিতে ৩ বছর যাবু ড্রাগন চাষ করছেন। বিগত বছরগুলোতে ভালো মুনাফা আর্জন করলেও এবছর তার ড্রাগন বাগান নিয়ে পড়েছেন চরম দূশচিন্তায়। বাগানে প্রতি রাতে দল বেধে শিয়াশ ঢুকে ড্রাগন গাছের কান্ড কেটে এবং ফল খেয়ে নষ্ট করছে। প্রতিদিন সকালে তিনি তার বাগানে গিয়ে কমপক্ষে ৮/১০ টি ছেড়া কান্ড এবং ফল মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেন।
শুধু মাসুদ রানাই না হেলাই গ্রামের লাভলু, আনিস, কালাম, জহুরুল এর ড্রাগন বাগানেও শিয়াল এর এমন উপদ্রব দেখা দিয়েছে। বেড়া কিংবা নেট ব্যবহার করেও ড্রাগন চাষিরা শিয়ালের এই অত্যাচার থেকে রেহাই পাচ্ছেনা। এছাড়াও পৌর এলাকার চাচড়া, শিবনগর, কাশিপুর, চাপালি গ্রামের চাষিদেরও এ্কই অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। শিয়াল একটি বন্য প্রানী, আর শিয়াল সহ যেকোন ধরনের বন্য প্রানী নিধন আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। যে কারনে ড্রাগন চাষিরা বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে শিয়াল মারতেও পারছেন না। ফলে তারা এব্যপার নিয়ে চরম চিন্তিত। এখন তারা কোথায় যাবেন এবং কিভাবে পরিত্রান পাবেন সেটা বুঝতে পারছেন না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহাবুল আলম রনি জানান, শিয়ালের ব্যাপারটা আমি অবগত না। তবে আমি অবশ্যই খোজ খবর নিয়ে দেখবো এবং ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
ঝিনাইদহ ড্রাগন চাষি কল্যান সমিতির সাধারণ সম্পাদক আহসানুল ইসলাম ডন বলেন, এবছর শিয়ালের উৎপাত অনেক বেশী। বন্য প্রাণী হত্যা আইনগত ভাবে নিষেধ হওয়ার কারনে আমরা সবাইকে এব্যাপারে সচেতন করেছি, বাগানে লাইটের ব্যবস্থা করা, আওয়াজের ব্যবস্থা করা এবং পাহারা দেওয়ার ব্যপারে কথা বলছি। এবছরের সিজন তো শেষের দিকে তাই এবছরের চিন্তা না করে আসামি বছরে কিভাবে এগুলো নিয়ন্ত্রণ করা যায় সে বিষয় নিয়ে আমরা এখন বেশী গুরুত্ব দিচ্ছি।
বিভাগ : অভ্যন্তরীণ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
অনুমোদিত ৩৫০% নগদ লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের বিতরন করল ওয়ালটন
আমতলীতে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলা। আহত -২
শিবালয়ে পরকিয়া প্রেমের বলি নুরজাহান ৪দিন পর পাষ-প্রেমিক আলিফ গ্রেফতার
ভূঞাপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রে ময়লা-আবর্জনার ভাগার
শাহজাহান ওমরের বিরুদ্ধে আরও এক মামলা
ধর্মগ্রন্থের পরে সত্য হিসেবে মানুষ সংবাদপত্রকে মনে করতো - বিটিভি মহা পরিচালক
নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তারে ‘প্রস্তুত’ ইউরোপের যে ৭টি দেশ
প্রথম বার চার দরজার বিলাসবহুল গাড়ি আনছে জাগুয়ার
৪ মাস যেতে না যেতেই ভেস্তে গেছে কোটি টাকার সোলার ফেনসিং প্রকল্প!
২৯ বছর পর অবশেষে আলোর মুখ দেখলো শেরপুর আন্তঃজেলা পৌর বাস টার্মিনাল
মোটরসাইকেলের ভয়ংকর নেশা, বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল, ৫ মাসে নিহত হয়েছে ১৪ জন
বড় দরপতনের পর সোনার দামে আবার বড় লাফ
রাজবাড়ীতে ছাত্রদল নেতা অপহরণ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
ফার্মগেট মানসী প্লাজায় আগুন, নেভাতে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৫ ইউনিট
মাদকের টাকা না পেয়ে মাকে কুপিয়ে হত্যা করে থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ
তারেক রহমান ও কায়কোবাদের মামলা প্রত্যাহার না করলে আন্দোলনের হুমকি হিন্দু সম্প্রদায়ের
সুরমা-কুশিয়ারার জন্য ১৭৮৫ কোটি টাকার প্রকল্প
নকলায় নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
কালীগঞ্জে বিএনপি'র মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে ফুলের শুভেচ্ছা জানালেন হামিদ
পর্ন তারকা স্টর্মিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘুষ প্রদান মামলার রায় স্থগিত করলো আদালত