কুমারখালীতে ফসল উৎপাদনে বছরে ক্ষতি ২০ কোটি
১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ এএম
শুধুমাত্র পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় প্রতিবছর ফসল উৎপাদনে ক্ষতি হচ্ছে প্রায় ২০ কোটি টাকা। বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকা, খাল এবং নালা দখল করে স্থাপনা নির্মাণসহ ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করার কারণে এই উপজেলার প্রায় ৫১০ হেক্টর কৃষিজমি বছরে ৭ থেকে ৮ মাস থাকে পানির নিচে। যার ফলে তিন ফসলি জমি হওয়া সত্ত্বেও সেখানে কৃষকরা বছরে শুধু একবার রবি মৌসুমে প্রায় ২ হাজার ৮০৫ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন করে। বাকি সময় এসব ফসলি জমি থাকে পানির নিচে। এই সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন দফতরে ঘোরাঘুরি করলেও নেওয়া হয়নি কোনো কার্যকর পদক্ষেপ।
স্থানীয় ভুক্তভোগী চাষিদের দাবি, এখানকার পানি নিষ্কাশন করা গেলে একই জমিতে বোরো ও আমন এই দুই মৌসুমে আরো প্রায় ৬ হাজার মেট্রিক টন ধান উৎপাদন করা সম্ভব হতো। যার বাজার মূল্য প্রায় ১৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা (প্রতিকেজি ৩৩ টাকা দরে)। তবে আধুনিক পদ্ধতিতে হাইব্রিড জাতের চাষাবাদ করলে আরো বেশি খাদ্য উৎপাদন করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় মোট ১৮ হাজার ২৪০ হেক্টর আবাদি জমির মধ্যে প্রায় ৫১০ হেক্টর জমিতে বছরে ৭ থেকে ৮ মাস হাঁটুর ওপর সমান পানি জমে থাকে। এরমধ্যে নন্দলালপুর ইউনিয়নে ১৫০, সদকীতে ১০০, জগন্নাথপুরে ৮০, শিলাইদহে ৭০, যদুবয়রাতে ৬০ এবং চাপড়া ইউনিয়নে ২০ হেক্টর। সেখানে কৃষকরা বছরে মাত্র একবার ধান চাষ করেন। ফলে প্রতি বছর প্রায় ৬ হাজার মেট্রিক টন খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এতে কৃষকরা পড়েছেন ক্ষতির মুখে। এতে উপজেলায় খাদ্য উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা হ্রাস পাচ্ছে।
এ বিষয়ে নন্দলালপুর ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান খোকন জানান, খালজুড়ে কেউ বাড়ি করেছে। কেউ পুকুর খনন করেছে। তাই কয়েক হাজার বিঘা জমি প্রায় সারা বছরই পানির নিচে থাকে। ফসল হচ্ছে না। খাল খননের জন্য উপজেলা প্রশাসন বারবার জানিয়েছি। তবে কোনো লাভ হয়নি।
পরিকল্পিত নালার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবাশীষ কুমার দাস জানান, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় এ উপজেলায় কৃষকরা বছরে শুধু একবার রবি মৌসুমে প্রায় ২ হাজার ৮০৫ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন করে। তবে বোরো ও আমন মৌসুমে চাষাবাদ করলে আরো ধান উৎপাদন করা সম্ভব হতো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাম জানান, পরিকল্পিতভাবে খাল খনন বা নালার জন্য ইতোমধ্যে বিএডিসির সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। তালিকা চলছে। খুব দ্রুতই কার্যক্রম শুরু করা হবে।
বিভাগ : অভ্যন্তরীণ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
অনুমোদিত ৩৫০% নগদ লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের বিতরন করল ওয়ালটন
আমতলীতে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলা। আহত -২
শিবালয়ে পরকিয়া প্রেমের বলি নুরজাহান ৪দিন পর পাষ-প্রেমিক আলিফ গ্রেফতার
ভূঞাপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রে ময়লা-আবর্জনার ভাগার
শাহজাহান ওমরের বিরুদ্ধে আরও এক মামলা
ধর্মগ্রন্থের পরে সত্য হিসেবে মানুষ সংবাদপত্রকে মনে করতো - বিটিভি মহা পরিচালক
নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তারে ‘প্রস্তুত’ ইউরোপের যে ৭টি দেশ
প্রথম বার চার দরজার বিলাসবহুল গাড়ি আনছে জাগুয়ার
৪ মাস যেতে না যেতেই ভেস্তে গেছে কোটি টাকার সোলার ফেনসিং প্রকল্প!
২৯ বছর পর অবশেষে আলোর মুখ দেখলো শেরপুর আন্তঃজেলা পৌর বাস টার্মিনাল
মোটরসাইকেলের ভয়ংকর নেশা, বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল, ৫ মাসে নিহত হয়েছে ১৪ জন
বড় দরপতনের পর সোনার দামে আবার বড় লাফ
রাজবাড়ীতে ছাত্রদল নেতা অপহরণ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
ফার্মগেট মানসী প্লাজায় আগুন, নেভাতে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৫ ইউনিট
মাদকের টাকা না পেয়ে মাকে কুপিয়ে হত্যা করে থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ
তারেক রহমান ও কায়কোবাদের মামলা প্রত্যাহার না করলে আন্দোলনের হুমকি হিন্দু সম্প্রদায়ের
সুরমা-কুশিয়ারার জন্য ১৭৮৫ কোটি টাকার প্রকল্প
নকলায় নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
কালীগঞ্জে বিএনপি'র মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে ফুলের শুভেচ্ছা জানালেন হামিদ
পর্ন তারকা স্টর্মিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘুষ প্রদান মামলার রায় স্থগিত করলো আদালত