বিচ্ছিন্ন মাথা জুড়ে বালককে বাঁচালেন চিকিৎসকেরা
১৪ জুলাই ২০২৩, ০৭:৪৩ পিএম | আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২৩, ১২:০১ এএম
অবিশ্বাস্য! দুর্ঘটনায় ধড় থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হয়ে গিয়েছিল ১২ বছরের সুলেইমান হাসানের। বিরল অস্ত্রোপচার করে ধড়, মাথা জুড়ে সুলেইমানের প্রাণ বাঁচিয়ে দিলেন ইসরাইলের চিকিৎসকেরা। এমনই খবর প্রকাশিত হয়েছে ইসরাইলের স্থানীয় সংবাদপত্র ‘দ্য টাইমস অফ ইসরাইল’-এ। ছেলেকে ফিরে পেয়ে উচ্ছ্বসিত বাবা কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন চিকিৎসকদের। বলেছেন, ‘আমি যত দিন বাঁচব, আপনাদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে যাব। আমার একমাত্র সন্তানের প্রাণ ফিরিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ জানানোর ভাষা আমার জানা নেই।’
ওয়েস্ট ব্যাঙ্কের বাসিন্দা সুলেইমান। সাইকেল চালানোর সময় তাকে একটি গাড়ি দ্রুতগতিতে এসে ধাক্কা মারে। ধাক্কার অভিঘাতে সুলেইমানের ধড় থেকে মাথাটি আলাদা হয়ে যায়। তার পর তড়িঘড়ি তাকে হেলিকপ্টারে তুলে আনা হয় দক্ষিণ-পশ্চিম জেরুসালেমের এইন কেরেমের হাদাস্সা হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার বিভাগে। কালক্ষেপ না করে শুরু হয় সাম্প্রতিক কালে চিকিৎসাশাস্ত্রে জটিলতম এবং সম্ভবত বিরলতম অস্ত্রোপচার। কারণ, চিকিৎসকদের মতে সুলেইমানের ঘাড়ের অংশ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল মাথা।
দীর্ঘ ক্ষণ অস্ত্রোপচারের পর সাফল্য আসে। গোটা প্রক্রিয়ার ভার ছিল যে চিকিৎসকের কাঁধে, সেই ওহাদ আইনাভ বলছেন, ‘আমরা যে বাচ্চাটিকে বাঁচাতে পেরেছি তার কৃতিত্ব কিন্তু আমাদের জ্ঞানবুদ্ধি, আর অস্ত্রোপচার কক্ষে থাকা অত্যাধুনিক প্রযুক্তির। এটা ছাড়া আমাদের যুদ্ধ বৃথা যেত।’ চিকিৎসকেরা মনে করছেন, এই অস্ত্রোপচারে সফল হওয়া অলৌকিক ঘটনার চেয়ে কম নয়। তারা বলছেন, এই ধরনের ঘটনায় ৫০ শতাংশ সম্ভাবনা থাকে ব্যর্থ হওয়ার। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ঘটেছে একে বারেই উল্টো।
হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, এই জটিল অস্ত্রোপচারের ঘটনাটি ঘটেছে গত মাসে। কিন্তু চিকিৎসকেরা তখনই তা প্রকাশ্যে জানাতে চাননি। এক মাস পর্যবেক্ষণে রাখার পর সুলেইমানকে সম্প্রতি হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তার পরেই সাংবাদিকদের কাছে ঘটনার কথা জানিয়েছেন। সুলেইমানকে যে আরও কয়েক মাস পর্যবেক্ষণে রাখা হবে, তা-ও জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। ওহাদ জানিয়েছেন, অস্ত্রোপচারের পর সুলেইমানের স্নায়বিক কোনও সমস্যা নেই। কারও সাহায্য ছাড়াই সে হাঁটতে পারছে। যাকে অত্যন্ত ইতিবাচক বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসক ওহাদ।
এ তো গেল চিকিৎসাবিজ্ঞানের জয়পতাকা ওড়ানোর কাহিনি। ছেলেকে ফিরে পেয়ে কম খুশি নন সুলেইমানের বাবা। গোটা প্রক্রিয়া চলাকালীন তিনি ছেলেকে কাছছাড়া করেননি। ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় চোখের জল বাঁধ মানেনি বাবার। বার বার হাত জোড় করে ধন্যবাদ জানিয়েছেন চিকিৎসকদের। তিনি বলেন, ‘আমি যত দিন বাঁচব, আপনাদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে যাব। আমার একমাত্র সন্তানের প্রাণ ফিরিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ জানানোর ভাষা আমার জানা নেই।’ তার পর নিজেকে একটু সামলে তিনি বলেন, ‘ওকে বাঁচিয়ে দিল চিকিৎসকদের পেশাদারি দক্ষতা এবং সঠিক সময়ে সিদ্ধান্তগ্রহণের ক্ষমতা। আমি শুধু বলতে পারি, অসংখ্য ধন্যবাদ।’
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বিলুপ্তির পথে মাটির ঘর
চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
প্রতিবন্ধী স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ
কেরু চিনিকলে আখ মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন
বিহারিরা কেমন আছে
লক্ষ্মীপুরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি
আসাদ সরকারের পতন : নতুন সিরিয়ায় ইসরাইলি আগ্রাসন
মেটলাইফ বাংলাদেশের গ্রাহকরা ডিসকাউন্ট পাবেন ওশান প্যারাডাইস হোটেলস ও রিসোর্টে
১৫ নারী ও শিশুকে হস্তান্তর
আবাসন ও গার্মেন্ট খাতের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে
মেহেরপুরে বেড়েছে গরম কাপড় বিক্রি
কাশিয়ানীর হাট-বাজার নিষিদ্ধ পলিথিনে সয়লাব
অ্যানুয়াল বিজনেস কন্টিনিউয়িটি প্ল্যান ড্রিল ২০২৪ আয়োজন করলো ব্র্যাক ব্যাংক
সমস্যায় জর্জরিত আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
সবুজ গালিচায় হলুদের সমারোহ
আখাউড়ায় ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মেধা বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
নিউ ইয়র্কের আদালতে অভিযুক্ত লুইজি
কিউবায় সমাবেশ
ঈশ্বরদীতে দূর্বৃত্তের হামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আহত
থিনেস্ট স্বাস্থ্যের