দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় জ্বালানি বিপ্লবের হাতিয়ার হতে যাচ্ছে পরমাণু শক্তি
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম | আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ২০৩৫ সাল পর্যন্ত বৈশ্বিক জ্বালানি চাহিদা বৃদ্ধির ২৫% বহন করবে, যার বেশিরভাগই এখনো কয়লা ও গ্যাসনির্ভর। তাই ইন্দোনেশিয়া ২০টি, ভিয়েতনাম ও মালয়েশিয়া পরমাণু প্রকল্পের পরিকল্পনা নিয়েছে। ফিলিপাইনের বাতান প্ল্যান্ট চালু করতে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি কোম্পানি সমীক্ষা চালাচ্ছে। থাইল্যান্ড, লাওস, কম্বোডিয়া ও মিয়ানমারও আগ্রহ দেখিয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একমাত্র পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রটি দাঁড়িয়ে আছে ফিলিপাইনের বাতান শহরে, ম্যানিলা থেকে মাত্র ৪০ মাইল দূরে। ১৯৭০-এর দশকে নির্মিত এই প্রকল্পটি নিরাপত্তা উদ্বেগ ও দুর্নীতির অভিযোগে কখনোই চালু হয়নি। চার দশক পর আজ, জলবায়ু সংকট মোকাবেলা ও জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই অঞ্চলের দেশগুলো আবারো ফিরছে পরমাণু শক্তির দিকে। ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড থেকে মালয়েশিয়াÑ সবাই চাইছে কয়লা ও গ্যাসনির্ভরতা কমিয়ে নবায়নযোগ্য শক্তির পাশাপাশি পরমাণুকে জ্বালানি মিশ্রণের অংশ করতে। দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতিতে জ্বালানির চাহিদা মেটাতে, পাশাপাশি জীবাশ্ম জ্বালানির বিকল্প খোঁজার তাগিদে তারা দেখছে পরমাণুর সম্ভাবনা। আন্তর্জাতিক শক্তি সংস্থা (আইইএ)-এর নির্বাহী পরিচালক ফেইথ বিয়রলের ভাষ্য, বিশ্বজুড়ে পরমাণু শক্তিতে নতুন যুগের সংকেত মিলছে। ২০২৫ সালে পরমাণু থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের পরিমাণ রেকর্ড ছুঁতে পারে। বর্তমানে বিশ্বের মোট বিদ্যুতের ১০% আসে পরমাণু শক্তি থেকে, যা আফ্রিকার সমগ্র উৎপাদন ক্ষমতার চেয়েও বেশি। তবে আইইএ সতর্ক করেছে, গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন শূন্যে আনতে হলে এই দশকেই নতুন পরমাণু প্রকল্পের গতি বাড়াতে হবে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ২০৩৫ সাল পর্যন্ত বৈশ্বিক জ্বালানি চাহিদা বৃদ্ধির ২৫% বহন করবে, যার বেশিরভাগই এখনো কয়লা ও গ্যাসনির্ভর। তাই ইন্দোনেশিয়া ২০টি, ভিয়েতনাম ও মালয়েশিয়া পরমাণু প্রকল্পের পরিকল্পনা নিয়েছে। ফিলিপাইনের বাতান প্ল্যান্ট চালু করতে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি কোম্পানি সমীক্ষা চালাচ্ছে। থাইল্যান্ড, লাওস, কম্বোডিয়া ও মিয়ানমারও আগ্রহ দেখিয়েছে। কিন্তু চ্যালেঞ্জ কম নয়। একটি পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ, দীর্ঘ সময় ও জটিল নিয়মকানুনের পাশাপাশি রয়েছে জনমনে ভয়। ১৯৮৬ সালের চেরনোবিল ও ২০১১ সালের ফুকুশিমা দুর্ঘটনা এই অঞ্চলের দেশগুলোকে সতর্ক করেছে। থাইল্যান্ড ২০১১ সালে পরমাণু পরিকল্পনা স্থগিত করেছিল। মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ সরাসরি বলেছিলেন, পরমাণু বিপর্যয়ের ঝুঁকি আমরা নিতে পারব না। অর্থায়নও বড় বাধা। একটি বড় পরমাণু চুল্লি নির্মাণে বিপুল অর্থের প্রয়োজন। যা উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বিশাল চ্যালেঞ্জ। রয়টার্স।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও





আরও পড়ুন

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বাস চাপায় দুইজন নিহত, বাস জব্দ

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলায় অন্তঃসত্ত্বা নারী নিহত

টাঙ্গাইলে যুবকের মরদেহ উদ্ধার

আশ্বাসে ১০ দিন আন্দোলন স্থগিত করলেন ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীরা
টাঙ্গাইলের সন্তোষে ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলনের আটষট্রি বছর আজ

কুড়িগ্রামে খাসজমি দখল নিয়ে দুই গ্রুপে সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫

কাপাসিয়ায় আওয়ামী লীগের ১২ নেতা-কর্মী গ্রেফতার

সিরাজগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য চয়ন শ্রীপুরে গ্রেফতার

ডেভিল হান্টে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারাও ছাড় পায়নি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মহাকুম্ভ মেলার পথে ৩০০ কিলোমিটারের যানজট

ট্রাম্পের নতুন বাণিজ্য নীতি, ‘স্টিল-অ্যালুমিনিয়ামে শুল্ক আসছে’

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য কারিগরি শিক্ষা বাধ্যতামূলক হচ্ছে

বিদেশি পিস্তলসহ ঠাকুরগাঁওয়ে এজেন্ট ব্যাংকের কর্মচারী আটক

জাতীয় ঈদগাহে সম্পন্ন হলো বিচারপতি আব্দুর রউফের জানাজা

পাবনায় খানাখন্দ সড়কে লাখো মানুষের সীমাহীন দুর্ভোগ

কমিটিতে আহবায়ক মোতাহার হোসেন -সদস্য সচিব সোবহান তালুকদার

জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান শুরু

তালতলীতে সাংবাদিককে হত্যা মামলায় ফাঁসানোর প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

ফিলিস্তিনিদের নিয়ে নেতানিয়াহুর বক্তব্যের তীব্র নিন্দা সউদীর

গোবিন্দগঞ্জে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু