কেরালায় ফের নিপা ভাইরাসের হানা

ইনকিলাব ডেস্ক

১০ মে ২০২৫, ০১:১৪ এএম | আপডেট: ১০ মে ২০২৫, ০১:১৪ এএম

কেরালার মালাপ্পুরম জেলার ভ্যালানচেরি পৌরসভার ৪২ বছর বয়সী এক মহিলার নিপা ভাইরাসের পরীক্ষায় পজিটিভ পাওয়া গেছে, যা ২০১৮ সালের পর থেকে রাজ্যে সপ্তম এবং মালাপ্পুরমে তৃতীয় প্রাদুর্ভাব।

বৃহস্পতিবার পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি (এনআইভি) নিপা ভাইরাসের সংক্রমণ নিশ্চিত করেছে। কোঝিকোড়ের একটি সরকারি পরীক্ষাগারে এর আগে করা পরীক্ষাগুলো নেতিবাচক ছিল, কিন্তু পরবর্তী পরীক্ষায় পজিটিভ আসে, যার ফলে নমুনাটি নিশ্চিতকরণের জন্য এনআইভিতে পাঠানো হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে, বর্তমানে তিনি ভেন্টিলেটরে নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে আছেন। তীব্র এনসেফালাইটিস সিনড্রোমসহ আরো খারাপ ক্লিনিকাল লক্ষণ দেখা দেওয়ার পর ১লা মে পেরিনথালমান্নার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে মহিলাকে। ২৫শে এপ্রিল তার প্রাথমিকভাবে সামান্য লক্ষণ দেখা গেছে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা তীব্র সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের সন্ধান শুরু করেছেন। যদিও বৃহস্পতিবার পর্যন্ত নিপাহের জন্য নেতিবাচক পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া মহিলার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত সাতজন উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, তবুও তাদের ২১ দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।

মজার বিষয় হল, সংক্রমিত মহিলার পরিবারের আরো দুই সদস্য সম্প্রতি দীর্ঘস্থায়ী জ্বর থেকে সেরে উঠেছেন এবং পরিবারের পোষা কুকুরটি মারা গেছে, যার ফলে পশুপালন বিভাগ পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করতে বাধ্য হয়েছে। মালাপ্পুরম জেলা কর্তৃপক্ষ ভ্যালানচেরি পৌরসভা এবং পার্শ্ববর্তী পঞ্চায়েতের (মারক্কারা, এদায়ুর এবং আঠাভানাদ) বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে কন্টেনমেন্ট জোন ঘোষণা করেছে। ভিড় এড়িয়ে চলা, হাসপাতালে রোগীদের কাছে না যাওয়া, পশুর কামড়ের ফলের ব্যবহার এড়িয়ে চলা এবং বাধ্যতামূলক মাস্ক পরা সহ বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই অঞ্চলগুলোর অঙ্গনওয়াড়ি এবং মাদ্রাসাগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। আক্রান্ত এলাকায় নিপা প্রোটোকল বাস্তবায়নের জন্য পঁচিশটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সংক্রমণের উৎস বর্তমানে তদন্তাধীন কারণ জানা গেছে যে, মহিলাটি সম্প্রতি কোনো ফল খাননি বা বাদুড়ের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করেননি যা নিপা সংক্রমণের সাধারণ উৎস।

কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ, নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা তদারকি ও সমন্বয়ের জন্য মালাপ্পুরমে গেছেন। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর তিনি জেলায় একটি জরুরি সভা ডেকেছেন। রাজ্যের একটি মেডিকেল বোর্ড রোগীকে মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি দেওয়ার সুপারিশ করেছে, যা হাসপাতালের নীতিশাস্ত্র কমিটির অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে, কারণ বর্তমানে নিপা ভাইরাস সংক্রমণের জন্য কোনো নির্দিষ্ট অ্যান্টিভাইরাল চিকিৎসা বা ভ্যাকসিন নেই এবং যতœ প্রাথমিকভাবে সহায়ক। সূত্র : মাকতূব মিডিয়া।

**************

বিভাগ : আন্তর্জাতিক