একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির খবর পাওয়া গেছে যা আজ পরে ঘোষণা করা হতে পারে। ইসরাইল এখনও এ চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করতে না পারলেও বলা হচ্ছে যে, কাতারের মধ্যস্থতায় চুক্তি হতে যাচ্ছে। আমরা এখন পর্যন্ত এটি সম্পর্কে যা জানি তা এখানে:

হামাসের কর্মকর্তা ইজ্জাত আল-রিশক বলেছেন, চুক্তির মধ্যে থাকবে যুদ্ধবিরতি, গাজার সমস্ত এলাকায় ত্রাণ ট্রাকের ব্যবস্থা এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য অন্য দেশে স্থানান্তর করা।

এতে ইসরাইলি নারী ও শিশুদের জন্য ইসরাইলের কারাগারে থাকা ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুদের মুক্তির জন্য বন্দীদের বিনিময় চুক্তিও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

আল-রিশক বলেছেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে আলোচনা চলছে, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু স্থবির হয়ে পড়েছেন। তিনি যোগ করেছেন, ফোন কলের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধের সমস্ত ব্রিগেড এ চুক্তিতে সম্মত হয়েছে।

হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াহ টেলিগ্রাম পোস্টে বলেছেন, ‘আমরা একটি যুদ্ধবিরতির বিষয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর কাছাকাছি’।

কাতারের প্রধানমন্ত্রী গত রোববার বলেছিলেন যে, একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে কিছু বন্দিকে মুক্ত করার একটি চুক্তি ‘ছোট’ ব্যবহারিক সমস্যার ওপর নির্ভর করে।

ইসরাইলের চ্যানেল ১২ বলেছে, দেশটির ‘যুদ্ধ মন্ত্রিসভা’ রোববার জিম্মি আলোচনার সাথে এগিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা নিয়ে আলোচনা করেছে এবং কাতারকে একটি বার্তা পাঠাতে চায় যে, তারা একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য প্রস্তুত।

অপরিণত নবজাতকরা গাজা থেকে মিসরে :

গাজার আল-শিফা হাসপাতাল থেকে সরিয়ে নেওয়া ২৮টি অপরিণত নবজাতককে নিরাপদে রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরে এখন মিসরে চিকিৎসা করা হচ্ছে। ডব্লিউএইচও বলেছে, তারা তাদের প্রয়োজনীয় বিশেষ চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে। সূত্র : আল-জাজিরা।