ইউরোপে বিপজ্জনক পণ্যের রেকর্ড, ভোক্তাদের স্বাস্থ্য নিয়ে নতুন উদ্বেগ

ইনকিলাব ডেস্ক

১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২৭ পিএম | আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৩২ পিএম

২০২৪ সালে ইউরোপজুড়ে মানুষের ব্যবহৃত দৈনন্দিন পণ্যে বিপদের সঙ্কেত চরমে উঠেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাজারে রেকর্ড সংখ্যক স্বাস্থ্যঝুঁকিপূর্ণ পণ্যের উপস্থিতি ধরা পড়েছে, যা বিশেষজ্ঞদের মাঝে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সমস্যা দেখা দিয়েছে প্রসাধনী পণ্যে, যেগুলোর মধ্যে নিষিদ্ধ রাসায়নিক উপাদান পাওয়া গেছে। ইউরোপীয় কমিশনের সুরক্ষা বিষয়ক পর্যবেক্ষণ সংস্থা ‘সেফটি গেট’-এর প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ চাঞ্চল্যকর তথ্য।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ইইউ কমিশন মোট ৪,১৩৭টি সতর্কবার্তা পেয়েছে, যা এই নজরদারি ব্যবস্থা চালুর পর থেকে সর্বোচ্চ। 'সেফটি গেট' একটি প্ল্যাটফর্ম, যা খাদ্যবহির্ভূত ক্ষতিকর পণ্যের তথ্য সংগ্রহ ও প্রচারে কাজ করে। এবারের বার্তাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিল প্রসাধনী পণ্যের বিষয়ে, যেখানে ২০২২ সাল থেকে নিষিদ্ধ রাসায়নিকের অস্তিত্ব ধরা পড়েছে। এসব রাসায়নিক শুধু প্রজননক্ষমতা হ্রাস করে না, বরং ত্বকে জ্বালাভাব বা অ্যালার্জির মতো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মোট সতর্কবার্তার ৩৬ শতাংশ ছিল কসমেটিক্স ঘিরে এবং ১৫ শতাংশ ছিল শিশুদের খেলনার বিষয়ে। জুয়েলারিতে থাকা লেড বা নিকেল, বডি অয়েলে প্রতিক্রিয়াশীল সুগন্ধি এবং কাপড়ে প্লাস্টিক নরমকারক ব্যবহারের মতো বিষয়ও নজরে এসেছে। ক্ষতিকর অনেক পণ্য চীন থেকে আমদানি করা হয়েছে বলে জানায় কমিশন। বিশেষ করে শেইন ও টেমুর মতো চীনা ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম থেকে আমদানিকৃত কম দামের প্রসাধনী ও পোশাকের মধ্যেই এসব ঝুঁকি বেশি পাওয়া গেছে।

ইইউ কমিশনার মিশায়েল ম্যাকগ্রাথ বলেন, “আমরা সমস্যাটির মূল উৎসে গিয়ে সমাধান করতে চাই।” তিনি আরও জানান, এই সমস্যা মোকাবেলায় চীনের উৎপাদকদের সঙ্গে আলোচনার পাশাপাশি ইইউ কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের প্রয়োজন রয়েছে। ভবিষ্যতের জন্য এ ধরনের নজরদারি আরও জোরদার করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি। এই পদক্ষেপ শুধু ইউরোপ নয়, গোটা বিশ্বে নিরাপদ ভোক্তা পণ্য নিশ্চিতের এক নতুন দিক উন্মোচন করতে পারে। তথ্যসূত্র : ডয়চে ভেলে

বিভাগ : আন্তর্জাতিক