ভারতের বক্তব্য: পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশের উদ্বেগ ‘অযৌক্তিক’
১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৩২ পিএম | আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৩৩ পিএম

নতুন ওয়াক্ফ আইন ঘিরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রতিক সহিংসতা এবং সেই প্রসঙ্গে বাংলাদেশের উদ্বেগ প্রকাশ ঘিরে ভারত-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কে একধরনের টানাপড়েন সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারতের মুসলিম সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হলেও, ভারত তা সরাসরি ‘অযৌক্তিক’ ও ‘ছদ্ম উদ্বেগ’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে ধর্মীয় সংখ্যালঘু ইস্যুতে এই বক্তব্য বিনিময় শুধু রাজনৈতিক নয়, সামাজিক অঙ্গনেও প্রতিফলন ফেলছে।
গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যালঘু মুসলিমদের সুরক্ষা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আমরা ভারতের রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।” এ বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আজ শুক্রবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আমরা বাংলাদেশের এই মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করছি। এটা এক প্রকার ছলনামূলক প্রচেষ্টা, যেটা ভারতকে উপদেশ দিতে গিয়ে নিজেদের ঘরের অবস্থাও ভুলে যায়।” তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ যদি তার নিজের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুরক্ষায় মনোনিবেশ করত, তবে সেটাই হতো অধিকতর যথাযথ।”
মূল ঘটনা ঘিরে সহিংসতার সূত্রপাত ২ এপ্রিল, যখন ভারতের লোকসভা ও রাজ্যসভায় পাস হয় সংশোধিত ওয়াক্ফ বিল, ২০২৫। রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর শেষে ৫ এপ্রিল তা আইনে পরিণত হয় এবং ৮ এপ্রিল থেকে কার্যকর হয়। এই নতুন আইনের বিরুদ্ধে দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ, মণিপুরসহ বহু রাজ্যে মুসলিম নাগরিক ও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রতিবাদ শুরু হয়। সবচেয়ে তীব্র বিক্ষোভ হয় পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ, মালদহ ও নদীয়ায়, যেখানে সংঘর্ষে ৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায় এবং গ্রেপ্তার করা হয় ২০০’র বেশি মানুষকে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত হলেও চাপা উত্তেজনা রয়ে গেছে।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যে এই আইন কার্যকরের সময় পিছিয়ে দিয়েছে এবং সুপ্রিম কোর্টে এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয়েছে, যার শুনানি শুরু হয়েছে প্রধান বিচারপতি সঞ্জিব খান্নার বেঞ্চে। দুই দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে পারস্পরিক মন্তব্য এবং পাল্টা প্রতিক্রিয়া বরং কূটনৈতিক বোঝাপড়াকে জটিল করে তুলছে। ভবিষ্যতে সংবেদনশীল ইস্যুতে পারস্পরিক সম্মান ও দায়িত্বশীল অবস্থান গ্রহণই হতে পারে শান্তিপূর্ণ প্রতিবেশী সম্পর্কের মূল ভিত্তি। তথ্যসূত্র : এনডিটিভি
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’: জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সচিত্র দলিল

এনসিপির ‘জাতীয় যুবশক্তি’র ১৩১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা

ওড়ার পর খুলে পড়ল বিমানের চাকা, ঢাকায় জরুরি অবতরণ

ফারাক্কা বাঁধ এদেশে কারবালা তৈরি করেছে -উপদেষ্টা ফরিদা আখতার

মু’মিন হওয়ার জন্য শরিয়তের শিক্ষাকে আঁকড়ে ধরতে হবে : জুমার খুৎবা-পূর্ব বয়ান

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিলো সরকার

বিপ্লবের পরে বাংলাদেশ : সংস্কারের পথে আশা, আন্দোলন ও আলোচনা

ডিজিটাল রূপান্তরের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান সুযোগ নিশ্চিতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ -প্রধান উপদেষ্টা

আদালতকে অবজ্ঞা

দিল্লি থেকে ৪০ রোহিঙ্গাকে ধরে সাগরে ‘ফেলে দিলো’ ভারত

ওয়াকফ সংশোধনী আইনের শুনানি ফের পেছাল

ট্রাম্পের শুল্কনীতির জন্য পণ্যের দাম বাড়াচ্ছে ওয়ালমার্ট

ফরিদগঞ্জে পুলিশের বাসা থেকে চুরি অস্ত্র ঢাকা থেকে উদ্ধার : আটক ২

শিশু কিশোরদেরকে আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে : ডা: আবদুল্লাহ খান

ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা

সাভারে বন বিভাগের জমি দখলে বাধা বিট কর্মকর্তাসহ আহত ৫

মানবিক করিডোর ও চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র বরদাশত করা হবে না ইসলামী ঐক্যজোট

কোন ফ্যাসিস্ট অপশক্তি দ্বিতীয়বার ফিরে আসেনি : ড. হেলাল উদ্দিন

বন্দর উপজেলা বিএনপি সভাপতিকে চাঁদাবাজির অভিযোগে শোকজ

ভারতের পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে