বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর অস্ত্র তৈরি করছে চীন, সতর্ক করল যুক্তরাষ্ট্র
১৭ মে ২০২৫, ১২:৫৮ এএম | আপডেট: ১৭ মে ২০২৫, ১২:৫৮ এএম

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (ডিআইএ) দাবি করেছে, অত্যন্ত বিপজ্জনক অস্ত্র তৈরির চেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে বেইজিং। ১৩ মে এই দাবি করে আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা।
তাদের দাবি, আগামী ১০ বছরের মধ্যে মহাকাশ থেকে পারমাণবিক আক্রমণ করতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেম Fractional Orbital Bombardment System (FOBS) তৈরি করছে চীন। এ প্রযুক্তি শুধুমাত্র আমেরিকার জন্য নয়, ভারতের মতো আগ্রাসী দেশগুলির জন্যও গুরুতর হুমকি হতে পারে। মত ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি-র।
Fractional Orbital Bombardment System (FOBS) ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (ICBM) এর তুলনায় অনেক বেশি দ্রুত কাজ করে। মহাকাশের নিম্ন কক্ষপথ থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। অর্থাৎ কোনও দেশই এগুলিকে সময়মতো ট্র্যাক বা ইন্টারসেপ্ট করতে পারবে না। FOBS প্রযুক্তি প্রথমে সোভিয়েত ইউনিয়ন উদ্ভাবন করেছিল, কিন্তু চিন হাইপারসোনিক গ্লাইড ভেহিকেল (HGV) এর মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে এটিকে আরও বেশি ধ্বংসাত্মক করে তুলেছে।
বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক
FOBS ক্ষেপণাস্ত্রে হাইপারসোনিক গতিতে চলা অস্ত্র থাকে, যা পৃথিবীর যে কোনও স্থানকে লক্ষ্য করতে পারে। চীন ২০২১ সালে লং মার্চ ২সি রকেটের সাহায্যে এই প্রযুক্তির পরীক্ষাও করেছিল, যা বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক সৃষ্টি করে। হাইপারসোনিক গ্লাইড যান (এইচজিভি) শুধুমাত্র পারমাণবিক অস্ত্র বহন করতে সক্ষম তাই নয়, সাধারণ অস্ত্রেও সজ্জিত হতে পারে। এদের গতি এত বেশি যে আজকের সবচেয়ে উন্নত এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমও এগুলিকে প্রতিহত করতে পারবে না।
কেন আমেরিকা এবং ভারত উভয়কেই সতর্ক থাকা উচিত?
আমেরিকার পেন্টাগনের পক্ষ থেকে প্রকাশিত তালিকা অনুসারে ২০৩৫ সালের মধ্যে চীনের কাছে ৬০টি FOBS ক্ষেপণাস্ত্র থাকতে পারে। ৭০০টি নিউক্লিয়ার ICBMs, ১৩২টি সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র এবং ৪০০০টি হাইপারসোনিক গ্লাইড যান থাকবে। চীনের পর রাশিয়াও এ প্রযুক্তিকে আরও উন্নত করার দিকে এগোচ্ছে। FOBS-এর সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট হল এটি যে কোনও দিক থেকে আক্রমণ করতে পারে। আমেরিকার রাডার ব্যবস্থা মূলত উত্তর গোলার্ধে ফোকাস করে । কিন্তু FOBS দক্ষিণ গোলার্ধ থেকে আসতে পারে।
চীন ও রাশিয়ার এই হাই-এন্ড সমর-ব্যবস্থার বিষয়টা মাথায় রেখেই ডোনাল্ড ট্রাম্প গোল্ডেন ডোম মিসাইল ডিফেন্সকে অনুমোদন দিয়েছে। এটি হবে বিশ্বের এখন পর্যন্ত সবচেয়ে উন্নত এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। এই প্রকল্পে প্রাথমিক পর্যায়ে ২৫ বিলিয়ন ডলার এবং মোট ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি ব্যয় হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এতে ইলন মাস্কের কোম্পানি SpaceX সহ অনেক আমেরিকান প্রতিরক্ষা কোম্পানি কাজ করছে।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

তিন সেঞ্চুরিতে ভারতের ৪৭১,পোপের ব্যাটে জবাব দিচ্ছে ইংল্যান্ড

উচ্চ আদালত খুলছে আজ

উচ্চ আদালত খুলছে আজ

ফরাসি সংস্থাকে তাড়িয়ে ইউরেনিয়াম খনি জাতীয়করণ করছে নাইজার

তুর্কি সাংবাদিক উজায় বুলুতের প্রবন্ধ প্রোপাগান্ডামূলক ও ভিত্তিহীন : প্রেস উইং

ওআইসি সম্মেলনে মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যের ডাক এরদোগানের

ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদ মোকাবেলায় ইসলামী শক্তির ঐক্য অপরিহার্য

উৎসবমুখর পরিবেশে অভয়নগরে বিজ্ঞানমেলা

মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে দেশে বিভাজন সৃষ্টি করা হয়েছে : ঝিনাইদহে প্রেস কাউন্সিল চেয়ারম্যান

হাতিয়ায় তাঁতীদল নেতার বিরুদ্ধে অন্যের জমিতে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ

মৌলভীবাজার জেলার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন সভা

কিশোরগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীর ওপর হামলা

চৌদ্দ বা আঠারো মার্কা নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না- মাওলানা এটিএম মাসুম

"দখলদার দের বিরুদ্ধে আন্দোলন, খুনিদের বিরুদ্ধে আন্দোলন, মানুষের অধিকারকে প্রতিষ্ঠানের আন্দোলন"

এনবিআরে ফের কলম বিরতি

লক্ষ্মীপুরে ছালেহা হত্যার ক্লু ৬ দিনেও উদঘাটন হয়নি

সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে মামলা করবে বিএনপি

ওএসডি হলেন শরীয়তপুরের বিতর্কিত জেলা প্রশাসক

হিলি স্থলবন্দরের পানামাপোর্টের শ্রমিকদের কর্ম বিরতি পালন

হিলি স্থলবন্দর আন্দোলন প্রত্যাহার কাজে ফিরেছে শ্রমিকীরা