ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি দিল যুক্তরাজ্য, কানাডা ও ফ্রান্স
২০ মে ২০২৫, ০১:৪১ পিএম | আপডেট: ২০ মে ২০২৫, ০১:৪২ পিএম

ইসরায়েলের লাগাতার সামরিক আগ্রাসন, বিশেষ করে গাজায় মানবিক ত্রাণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা এবং নতুন করে সামরিক অভিযান শুরুর পরিপ্রেক্ষিতে কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে যুক্তরাজ্য, কানাডা ও ফ্রান্স। এসব পশ্চিমা দেশ এক যৌথ বিবৃতিতে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, যদি ইসরায়েল এই মানবিক সংকট অবসানে কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লক্ষ্যবস্তু নিষেধাজ্ঞাসহ নানা ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণে আর দ্বিধা করবে না। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
গত শুক্রবার ইসরায়েল নতুন করে গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করেছে। এর আগে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু সোমবার বলেন, ইসরায়েল পুরো গাজার উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করবে। এই ঘোষণার মধ্যেই গাজার পরিস্থিতি আরও সংকটময় হয়ে ওঠে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ও বিশেষজ্ঞরা গাজায় দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এই প্রেক্ষিতে যুক্তরাজ্য, কানাডা ও ফ্রান্স একযোগে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানায়, ইসরায়েল যদি বেসামরিক জনগণের জন্য মানবিক সহায়তা প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করে, তবে তা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হবে এবং তার পরিণতি ইসরায়েলকে ভোগ করতে হবে।
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, “আমরা লক্ষ্যবস্তু নিষেধাজ্ঞাসহ আরও পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করব না।” তাঁরা পশ্চিম তীরে বসতি সম্প্রসারণের বিরুদ্ধেও অবস্থান জানান। এর জবাবে নেতানিয়াহু ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, “৭ অক্টোবর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে চালানো গণহত্যার জন্য লন্ডন, অটোয়া এবং প্যারিসের নেতারা যেন পুরস্কার দিচ্ছেন।” তিনি ঘোষণা দেন, পূর্ণ বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত ইসরায়েল আত্মরক্ষার ন্যায্য পথ অবলম্বন করবে এবং যুদ্ধ শেষ করতে হলে সব জিম্মির মুক্তি ও গাজাকে সামরিকীকরণমুক্ত করতেই হবে।
তিন দেশের নেতারা বলেন, “আমরা ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারকে সম্মান করি, তবে এখনকার আগ্রাসন অসামঞ্জস্যপূর্ণ এবং অমানবিক।” তাঁরা আরও বলেন, এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নীরব থাকা যাবে না, বরং যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় একটি যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টাকে তাঁরা সম্পূর্ণ সমর্থন করেন এবং দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের মাধ্যমে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে তাঁরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। হামাস এই বিবৃতিকে আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি সম্মান ও একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে স্বাগত জানিয়েছে।
এই বিবৃতি আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক অঙ্গনে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাঁক হিসেবে দেখা হচ্ছে, যেখানে পশ্চিমা শক্তিগুলো সরাসরি ইসরায়েলের যুদ্ধনীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। এটি শুধু গাজায় সংকট নিরসনে নয়, বরং আন্তর্জাতিক মানবিক মূল্যবোধ রক্ষায় ভবিষ্যতের দৃষ্টান্ত হিসেবেও বিবেচিত হতে পারে। তবে এর বাস্তব প্রভাব কতটা হবে, তা নির্ভর করছে ইসরায়েলের আসন্ন পদক্ষেপ ও আন্তর্জাতিক সমাজের কার্যকর চাপের ওপর। তথ্যসূত্র : রয়টার্স
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

ইরানি মিসাইলের ভয়ে হার্ট অ্যাটাক ইহুদি নারীর

বাংলাদেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল বিএনপি: আবুল হোসেন আজাদ

একসঙ্গে ২৫টি ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুড়েছে ইরান, দাবি ইসরাইলের

মানিকগঞ্জে মানবপাচার মামলায় স্বামী স্ত্রী গ্ৰেফতার

জবিসাসের ১৯তম বর্ষপূর্তি সাধারণ শিক্ষার্থীদের চাহিদাকে সম্মান দিয়ে রাজনীতি করতে হবে : শহীদ উদ্দীন এ্যানি

রাজশাহীতে মহানবী (সা.)-এর বিদায় হজ উপলক্ষে সেমিনার অনুষ্ঠিত

ইসলামী নেতৃত্বই জাতিকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিতে পারে: অধ্যাপক আবদুল জব্বার

কুষ্টিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নারীর মৃত্যু

মির্জাপুর বসত বাড়ি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ

দ্বীন প্রতিষ্ঠায় ময়দানে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তুলতে হবে: ডা. শফিকুর রহমান

দোয়ারাবাজারে ছাত্রলীগ দুই কর্মী গ্রেফতার

জামায়াতে ইসলামী প্রতিশোধের রাজনীতি করে না: নূরুল ইসলাম বুলবুল

যাকাত অগ্রিম আদায় করা প্রসঙ্গে?

বিএনপির কাছে নিজেদের দলের লোকই নিরাপদ নয়-সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম

তারেক রহমানের নেতৃত্বে নিরাপদ ও সমৃদ্ধশালী হবে আগামীর বাংলাদেশ - শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস

ছাগলনাইয়ায় রাস্তা সংস্কারের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

হজযাত্রীর কোটা এক হাজারই বহাল রাখতে অনুরোধ ধর্ম উপদেষ্টার

নরসিংদীর পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদে কচুরিপানা অপসারণ অভিযান

মুরাদনগরে পুলিশ হেফাজতে বিএনপি কর্মী জুয়েলের মৃত্যু

রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচনের ওপর কনফারেন্স রবিবার, মূলবক্তা আলী রিয়াজ