ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের মাঝখানে সাফল্যের হাসি চীনের?
২০ মে ২০২৫, ০৩:৪৭ পিএম | আপডেট: ২০ মে ২০২৫, ০৩:৪৯ পিএম

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলতি মে মাসের শুরুতে মাত্র চার দিনের সীমান্ত সংঘাত সাময়িকভাবে যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে শেষ হয়েছে। এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষই নিজেদের ‘বিজয়ী’ দাবি করলেও সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন—এই সংঘাতের প্রকৃত সুবিধাভোগী হয়ে উঠেছে চীন। মূলত পাকিস্তানের চীনা প্রযুক্তিনির্ভর যুদ্ধবিমানের সফলতা, চীনের অস্ত্রশিল্পের আন্তর্জাতিক বাজারে ‘জীবন্ত প্রচার’ হিসেবে কাজ করেছে। ফলে এবার যুদ্ধক্ষেত্রকে কেন্দ্র করে গোপন এক 'বাণিজ্যিক বিজয়' ছিনিয়ে নিয়েছে বেইজিং।
ঘটনাটি শুরু হয় ২২ এপ্রিল, যখন ভারতশাসিত জম্মু ও কাশ্মিরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর সশস্ত্র হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এরপর ৭ মে ভারত ‘অপারেশন সিন্দুর’ চালায় পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মিরে, লস্কর-ই-তৈয়বা ও জইশ-ই-মুহাম্মদের ঘাঁটি ধ্বংসের দাবি করে। পাকিস্তান পাল্টা জবাব দেয় ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও জেএফ-১৭ ও জে-১০ যুদ্ধবিমান দিয়ে। যুদ্ধের তীব্রতায় ভারতের রাফাল ও রাশিয়ান ফাইটার জেট মুখোমুখি হয় পাকিস্তানের চীনা প্রযুক্তির যুদ্ধবিমানের। সংঘাত যত তীব্র হয়েছে, ততটাই চোখে পড়েছে চীনের জে-১০ যুদ্ধবিমানের কার্যকারিতা—যা এর আগে কখনও বাস্তব যুদ্ধ পরিস্থিতিতে পরীক্ষা হয়নি।
এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তান দাবি করেছে যে, তাদের জে-১০ যুদ্ধবিমান ভারতের ছয়টি যুদ্ধবিমান রাফাল—ভূপাতিত করেছে। যদিও ভারত সরকার সরাসরি এ দাবি অস্বীকার করেনি, তবে যুদ্ধক্ষেত্রে ক্ষয়ক্ষতিকে 'স্বাভাবিক' বলে উল্লেখ করেছে। ভারতের এয়ার মার্শাল এ.কে. ভরতি জানান, “আমাদের লক্ষ্য পূরণ হয়েছে, সব পাইলট নিরাপদে ফিরেছেন।” তবে কিছু ভারতীয় মিডিয়ায় পাঞ্জাব ও কাশ্মিরে ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভেঙে পড়ার খবর এলেও সরকার তা নিশ্চিত করেনি। এদিকে, রয়টার্সের মতে, পাকিস্তানের জে-১০ যুদ্ধবিমান আকাশ থেকে আকাশে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে চীনের প্রযুক্তিকে বাস্তব যুদ্ধের পরীক্ষায় সাফল্যের সুযোগ এনে দেয়। এর ফলে চীনের চেংদু এয়ারক্রাফট কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়ে যায় ৪০ শতাংশ পর্যন্ত।
চীনা অস্ত্র এখন আর শুধু উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য কমদামি বিকল্প নয়—বরং তারা আন্তর্জাতিক বাজারে নিজেদের কার্যকারিতা প্রমাণ করছে, এমনটাই বলছেন লন্ডনের কিংস কলেজের অধ্যাপক ওয়াল্টার ল্যাডউইগ। যদিও পশ্চিমা পর্যবেক্ষকদের একাংশ এখনো জে-১০ এর ক্ষমতা নিয়ে নিশ্চিত নন, তবুও চীনের সামাজিক মাধ্যমে চলছে উল্লাস—‘রাফাল নামিয়েছে জে-১০’। এই প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক প্রচারে ভারত অনেকটাই পিছিয়ে গেছে। পাকিস্তানের নিরাপত্তা বিশ্লেষক ইমতিয়াজ গুল বলছেন, “ভারতের জন্য এটি এক সতর্ক সংকেত—পাকিস্তান-চীন সামরিক সম্পর্ক এখন শুধু কৌশলগত নয়, অনেক গভীর।” আর ঠিক সেই কারণেই এই সংঘাতের সবচেয়ে বড় বিজয়ী চীন—নিয়ন্ত্রণ রেখার বাইরেও, প্রতিরক্ষা শিল্পের গোপন ময়দানে। তথ্যসূত্র : বিবিসি
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপার আক্ষেপ ক্লাব বিশ্বকাপে ঘোচাতে চায় ইন্টার

বিজিবির অভিযানে মে মাসে ১৩৩ কোটি ১১ লক্ষাধিক টাকার চোরাচালান পণ্যসামগ্রী জব্দ

পরিবহন আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ৭টি ওমরাহ কোম্পানি স্থগিত

রাশিয়ার হামলায় কিয়েভে মার্কিন নাগরিকসহ নিহত ১৪

সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিল না হলে আন্দোলন চলবে

জি-৮ থেকে রাশিয়াকে বাদ দেয়া ‘বিশাল ভুল’ ছিল: ট্রাম্প

সাকিব আল হাসানসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

এস আলমের ২০০ একর জমি জব্দের নির্দেশ আফতাবুলের ৯৪ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ

নগর ভবন অচলাবস্থার জন্য এই সরকার দায়ী : ইশরাক

বাবার যত্নে ওষুধ, মেডিকেল টেস্ট, হেলথ চেকআপে বিকাশ পেমেন্টে ডিসকাউন্ট ও ক্যাশব্যাক

শেখ হাসিনা নিজের ইচ্ছেমতো ইতিহাস ও পাঠ্যবই রচনা করেছিল: রিজভী

‘ইসরাইল ইরানের পারমাণবিক অবকাঠামো ধ্বংস করতে পারবে না’

ইলিয়াস আলীকে ফিরে পাওয়ার দাবীতে বিশ্বনাথে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ-দোয়া মাহফিল

দোয়ারাবাজারে সড়ক দূর্ঘটনায় গরুটি মৃত্যু আহত ৪

জুবাইদা রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে ২ দিনব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন

সুন্দরগঞ্জে জামের গাছ থেকে পড়ে একজনের মৃত্যু

ভবিষ্যতে ছেড়ে দেব এমন কথা বললে তালাক হয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে।

পরিবার থেকে রাষ্ট্র : ন্যায়ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের উপায়

ইরান-ইসরাইল যুদ্ধ এবং জেরুজালেমের মুক্তির প্রশ্ন

সকলের দৃষ্টি এখন ডোনাল্ড ট্রাম্পের দিকে