উত্তাল লস অ্যাঞ্জেলেস, সেনা-মেরিন মিলিয়ে ২৭০০ সদস্য পাঠালেন ট্রাম্প
১০ জুন ২০২৫, ০৯:৫১ এএম | আপডেট: ১০ জুন ২০২৫, ০৯:৫৫ এএম

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ শহর লস অ্যাঞ্জেলেসে অভিবাসনবিরোধী অভিযানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ক্রমেই ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সেখানে আরও সেনা পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। ন্যাশনাল গার্ডের অতিরিক্ত ২ হাজার সদস্য এবং ৭০০ মেরিন সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গত শুক্রবার (৬ জুন) লস অ্যাঞ্জেলেসের শহরতলির প্যারামাউন্ট এলাকায় নথিবিহীন অভিবাসীদের আটক করতে অভিযান চালায় মার্কিন পুলিশ এবং অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ সংস্থা আইসিই (ICE)। এই অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকেই শহরে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি শপথ নেওয়ার পর থেকেই অবৈধ অভিবাসীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য কঠোর পদক্ষেপ নিতে শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে অভিবাসনবিরোধী অভিযান শুরু হয় এবং ক্যালিফোর্নিয়ায় এর প্রভাব সবচেয়ে তীব্র হয়ে ওঠে।
প্রথম অভিযানের সময়ই প্যারামাউন্ট এলাকায় পুলিশের মুখোমুখি হন স্থানীয়রা। অভিবাসনপ্রত্যাশী ও মানবাধিকার সমর্থকেরা মিলে বিক্ষোভ শুরু করেন। পুলিশ ও আইসিই সদস্যদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল, বোতল ও মলোটভ ককটেল ছুড়ে মারেন তারা। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে প্রথম ধাপে ন্যাশনাল গার্ডের ২ হাজার সেনা মোতায়েনের নির্দেশ দেন ট্রাম্প। কিন্তু তা সত্ত্বেও সংঘর্ষ আরও তীব্র হয়।
এরপর গতকাল সোমবার (৯ জুন) পরিস্থিতি আরও খারাপ দেখে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প লস অ্যাঞ্জেলেসে নতুন করে আরও ২ হাজার ন্যাশনাল গার্ড ও ৭০০ মেরিন সেনা পাঠানোর নির্দেশ দেন। ফলে এই মুহূর্তে শহরটিতে প্রায় ৪ হাজার গার্ড ও প্রায় এক হাজার সেনা সদস্য মোতায়েন রয়েছে। কিন্তু এখনও বিক্ষোভ পুরোপুরি থামেনি।
লস অ্যাঞ্জেলেসে বিক্ষোভ এখন চতুর্থ দিনে পৌঁছেছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ চলছে। তবে এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় কোনো গুরুত্বপূর্ণ ভবনে আক্রমণের ঘটনা ঘটেনি। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের কয়েকটি গাড়িতে আগুন দিয়েছেন এবং সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি করেছেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলোর মতে, নিউইয়র্ক সিটি, ফিলাডেলফিয়া ও সান ফ্রান্সিসকোতেও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে। যদিও বিক্ষোভ চলাকালীন বেশি সংখ্যক মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, কয়েক ডজন বিক্ষোভকারী গ্রেপ্তার হয়েছেন। কিন্তু এখনও কোনো নির্ভরযোগ্য সংখ্যা প্রকাশ পায়নি।
৪২ বছর বয়সী মারজিতা কেরেটা, যিনি একজন প্রথম প্রজন্মের মার্কিন নাগরিক এবং যাঁর মা মেক্সিকো ও বাবা হন্ডুরাস থেকে এসেছেন, বলেন, “এখানে যা হচ্ছে, তার প্রভাব সব মার্কিনিদের ওপর পড়ছে। কারণ এদেশের অধিকাংশ মানুষ মুক্ত ও শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে চায়।”
উল্লেখ্য, ক্যালিফোর্নিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহৎ ও বহুজাতিক জনগোষ্ঠীর অঙ্গরাজ্য। এখানে বহু সংখ্যক নথিবিহীন অভিবাসী, বিশেষ করে মেক্সিকো ও দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলো থেকে আগত মানুষ বসবাস করেন। তাদের অনেকেই শহরতলির এলাকায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। এই অবস্থায় অভিযান ও সেনা মোতায়েন নিয়ে দেশজুড়ে উদ্বেগ বাড়ছে। তথ্যসূত্র : রয়টার্স
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

ইরানে সম্ভাব্য মার্কিন হামলার পরিণতি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের হুঁশিয়ারি

এক নজরে টেস্ট ক্রিকেটের রজত জয়ন্তী উপলক্ষ্যে বিসিবির যত আয়োজন

অর্থনীতিতে কালো মেঘ

ড. দেবাশীষ পাল বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন-এর সদস্য (ভৌত বিজ্ঞান) নিযুক্ত

অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদে তিতাসের অভিযান ও জরিমানা

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার হতে হবে : রাশেদ প্রধান

পুলিশকে ছুরিকাঘাত করা ও হত্যাসহ ১২ মামলার আসামি তানভীর আটক

ঢাবি’র অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মো. আজহারুল ইসলামের মৃত্যুতে ভিসি’র শোক প্রকাশ

৫ আগস্টের পর ছাত্র রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন এসেছে : এ্যানি

সোনারগাঁও পৌর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগ

অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে ছুটির দিনেও প্রতিবাদ সমাবেশ

আদাবর ও মোহাম্মদপুরে ডাকাতি-ছিনতাইসহ কিশোর গ্যাংয়ের ২৭ জন গ্রেফতার

ময়মনসিংহে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৯, আহত ১৫

আগামীকাল ইসিতে নিবন্ধনের আবেদন জমা দেবে এনসিপি

ভারতীয় নীতিনির্ধারকরা আ.লীগকে পুনর্বাসনে ষড়যন্ত্র করছে : রিজভী

এক লাখ ৮ হাজার বাংলাদেশি ২০২৪ সালেই বিদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন

অন্তর্বর্তী সরকার একটি বিভাগের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট : সারজিস আলম

নয় বছরেও অধরা তনু হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা

যুক্তরাষ্ট্রে অর্থ পাচারের দায়ে ভারতীয় শিক্ষার্থীর ৫ বছর কারাদণ্ড

খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিদায়ী জার্মান রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ