প্রশ্ন : আমি আমার বাসার পাশে একটি হাউজিং সোসাইটি জামে মসজিদের জামাতের নামাজ আদায় করি। (আমার বাসা মসজিদের পাশে হাউজিং সোসাইটির গেটের বাইরে, মসজিদের উন্নয়নে আমি শরীক থাকি) এক দিন মসজিদের সেক্রেটারি বললেন, ভাই কিছু মনে করবেন না, আমি হাউজিং সোসাইটির সদস্যদের চাপে আছি, আপনি তো হাউজিং সোসাইটির বাইরের মুসল্লি, আমাদের মসজিদে আসবেন না। ইমাম সাহেবের নিকট প্রশ্ন করলাম, হুজুর জামে মসজিদের মাসআলা কি? এই জামে মসজিদ কি শুধু নির্দিষ্ট মুসল্লির জন্য? ইমাম সাহেব বললেন কেন বঙ্গ ভবনে, ঈধহঃড়হসবহঃ এ, গণ ভবনের মসজিদের কি নামাজ হয় না? অনুগ্রহ করে সঠিক উত্তর দিলে উপকৃত হব।
২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৯ এএম | আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৯ এএম

উত্তর : নিরাপত্তা ও শৃংখলার জন্য কোনো এলাকায় বহিরাগতদের আসা যাওয়া নিয়ন্ত্রন করার অধিকার কর্তৃপক্ষের রয়েছে। এমন বিশেষ জায়গায় কেবল নিজেদের মধ্যে জুমার নামাজ সহীহ হয়। তবে, বিশেষ জায়গা বলতে যে কেউ তা নির্ধারণ করতে পারে না। এজন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষ প্রয়োজন। আপনার প্রশ্নে বর্ণিত মসজিদে কেবল হাউজিংয়ের ভেতরকার মুসল্লীদের নামাজ হতে পারে। আপনি বা অন্যরা সবার জন্য উন্মুক্ত এমন মসজিদে জুমা পড়বেন। সবাইকে আসতে না দিলেই জুমা হবে না, এমনটি সবক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। তবে, বর্ণিত হাউজিং সমিতির কর্তব্য অন্তত জুমার দিন সব মুসল্লীদের জুমায় শরীক হতে দেওয়া। নিতান্তই কোনো যৌক্তিক কারণ না থাকলে জুমার নামাজে বহিরাগতদের বাধা দেওয়া ঠিক নয়।
প্রশ্ন : গ্রাম মহল্লায় শিরনি মান্নত করা এবং খাওয়ানোর ব্যাপারে ইসলাম কী বলে?
উত্তর : গরীব মানুষকে খাওয়ানো একটি সওয়াবের কাজ। এতে কোনো দোষ নেই। তবে, রেওয়াজ বা কুসংস্কার হিসাবে মান্নত করে খানা দেওয়া বা খাওয়ানো, খানার মূল উদ্দেশ্যকে নষ্ট করে দেয়। এ বিষয়ে নিয়ত ও দান নাকি উপহার এসব বিষয় ঠিক করে নিতে হবে। প্রচলিত রেওয়াজী খানা অনেক সময় শরীয়তসম্মত হয় না।
প্রশ্ন : মেয়ে শিশুর নাম ওয়াকিয়া ইসলাম ভূইয়া রাখা যাবে কি?
উত্তর : রাখা যাবে।
প্রশ্ন : আমি আমার স্ত্রীকে দেশের আইন অনুযায়ী তালাক দিয়েছি। কিন্তু ইসলামি আইন অনুযায়ী মুখে তালাক বলি নাই। তাতে কি আমার স্ত্রী তালাক হয়েছে?
উত্তর : তালাক এমন একটি কাজ যা ইচ্ছা, অনিচ্ছা, গুরুত্বসহ বা ঠাট্টাচ্ছলে দিলেও কার্যকর হয়ে যায়। তাই, শরীয়তমতো বা মুখে না দিয়ে যে কোনো উপায়ে কাগজে, নোটিশে বা অন্য কোনোভাবে তালাক দিলেও তা হয়ে যায়। আপনি সরকারীভাবে দিয়ে থাকলে মুখে দিচ্ছেন না, এ প্রশ্নটি আসে কেন? তালাক যে কোনোভাবে দিলেই সেটি তালাক বলে গণ্য হয়। যদি ইচ্ছা না থাকতো, তাহলে সাথে সাথেই আপনি তা ফিরিয়ে নিতে পারতেন। কিন্তু কমবেশী তিনমাস পার হয়ে গেলে তালাক অকার্যকর করার সুযোগ থাকে না।
বিভাগ : ইসলামী প্রশ্নোত্তর
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও






আরও পড়ুন

পরিস্থিতি ঘোলাটে না করে নির্বাচনের সুর্নিদিষ্ট তারিখ ঘোষণা করুন : তারেক রহমান

ঢাবির সাম্য হত্যা: তিন জনের ৬ দিনের রিমান্ডে

বিএনপি মহাসচিব সুস্থ আছেন, সেরে উঠতে সময় লাগবে : মেয়ে শামারুহ মির্জা

আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার সর্বকালের বর্বরোচিত ইতিহাস ভঙ্গ করেছিল

খুলনার সমাবেশে ধানমানব

মানবিক করিডোর নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে

হুঁকা-সিসার বিরুদ্ধে কিসের বিদ্বেষ! মূল উদ্দেশ্য কী?

সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পুশইনের চেষ্টা বিএসএফের

শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় হিটু শেখের মৃত্যুদণ্ড

সিন্ডিকেটের ‘মেডিকিট’ ধরা খেলো

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তোলপাড়

মাইক্রোক্রেডিটই ব্যাংকিংয়ের ভবিষ্যৎ :ড. মুহাম্মদ ইউনূস

দমন হবে সন্ত্রাস?

যৌক্তিক সংস্কার নিস্পন্ন করে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন : বাংলাদেশ মুসলিম লীগ

ফেসবুক পোস্টে প্রতিক্রিয়া দেওয়ায় মৎস্য অধিদপ্তরের পাঁচ কর্মকর্তাকে নোটিশ

উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধে সচেতনতা জরুরি

ভারতের পুশ ইন বন্ধ করতে হবে : রাশেদ প্রধান

কর সংস্কার যৌক্তিক, প্রতিবাদ দুঃখজনক

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অডিও-ভিজ্যুয়াল

জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে মমতাজ