বর্তমানে আমাদের দেশে প্রচলিত আইন নিয়ে লেখাপড়া করা প্রসঙ্গে।

Daily Inqilab ইনকিলাব

২৭ মে ২০২৫, ১২:১১ এএম | আপডেট: ২৭ মে ২০২৫, ১২:১১ এএম

শিমুল আলম সাগর

ইমেইল থেকে

 

প্রশ্ন : আমি আইন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করতেছি। আগে এই বিষয় নিয়ে এতটা ধারণা বা বুঝ ছিল না। এখন তৃতীয় বর্ষে পড়াশোনা করতেছি। আমাদের লেখাপড়া সব দেশের প্রচলিত আইন নিয়ে। অল্প কিছু ক্ষেত্রেই ইসলামী আইন আছে আমাদের দেশে। প্রচলিত আইন পড়া কী জায়েজ? বিচারক হওয়া কী জায়েজ?

 উত্তর : পড়ার জন্য সব আইনই পড়া জায়েজ। পালন করার জন্য জানতে হবে শরীয়তের আইন। আমাদের দেশে বা বিদেশে আইন মানে বৃটিশ ও তার পরবর্তী সময়ে সংবিধিবদ্ধ আইন। আন্তর্জাতিক আইনও বৃটিশ প্রভাবমুক্ত কিংবা ধর্মহীন মূলনীতির বাইরে হওয়ার সুযোগ নেই। শিক্ষা ও জ্ঞানলাভের জন্য এসবই পড়া যায়। আমাদের দেশে মুসলিম পারিবারিক আইনের অংশটুকুই কিছুটা ইসলামী। এটাতেও বেশ কিছু শরীয়তবিরোধী ধারা রয়েছে। এসবের সংস্কার বা আইনের ইসলামীকরণ এদেশে কারা করবেন, কবে করবেন বা কীভাবে করবেন, তা যেহেতু স্পষ্ট নয়। তাই বর্তমান আইন সম্পর্কে জানাশোনা লোক থাকা মুসলিম জনসাধারণের জন্য দরকার। আইন পেশায়ও নীতিবান লোকজন থাকা প্রয়োজন। মজলুমকে তার অধিকার পাইয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে আইনজীবীদের ভূমিকা অনেক। বিচারক হলেও ভালো ভূমিকা রাখা সম্ভব। মিথ্যা ও
অন্যায়ের পক্ষে না দাড়িয়ে শুধু নিরপরাধ এবং মজলুম মানুষের সহায়তা করার নিয়তে আইন পড়া ও আইন পেশা গ্রহণ করা দীনের বিষয়ে সতর্ক ও নির্লোভ লোকেদের জন্য জায়েজ।

 

উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী

সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতওয়া বিশ্বকোষ।

প্রশ্ন পাঠাতে নিচের ইমেইল ব্যবহার করুন।

[email protected]


বিভাগ : ইসলামী প্রশ্নোত্তর


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

ইরানে মার্কিন বর্বরোচিত হামলা বিশ্বমানবতাকে ভাবিয়ে তুলছে

ইরানে মার্কিন বর্বরোচিত হামলা বিশ্বমানবতাকে ভাবিয়ে তুলছে

কমিটি গঠনের ২দিন পরই স্থগিত হলো শেরপুরের নালিতাবাড়ী এনসিপির কমিটি !

কমিটি গঠনের ২দিন পরই স্থগিত হলো শেরপুরের নালিতাবাড়ী এনসিপির কমিটি !

প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নিয়ে বিএনপির নতুন প্রস্তাব

প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নিয়ে বিএনপির নতুন প্রস্তাব

রাতের ভোটের নুরুল হুদাকে ধরে পুলিশে দিলো বিক্ষুব্ধ জনতা

রাতের ভোটের নুরুল হুদাকে ধরে পুলিশে দিলো বিক্ষুব্ধ জনতা

ট্রাম্পের বিশ্বাসঘাতকতা

ট্রাম্পের বিশ্বাসঘাতকতা

সাহেবাবাদ ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বোর্ডের সভাপতি হলেন ব্যারিস্টার আব্দুল আল মামুন

সাহেবাবাদ ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বোর্ডের সভাপতি হলেন ব্যারিস্টার আব্দুল আল মামুন

মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এমপি ফয়সল বিপ্লব গ্রেপ্তার

মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এমপি ফয়সল বিপ্লব গ্রেপ্তার

শেরপুরে জনপ্রিয় ষাড়ের মই দৌড় প্রতিযোগীতায় আনন্দে মেতে উঠে হাজারো মানুষ

শেরপুরে জনপ্রিয় ষাড়ের মই দৌড় প্রতিযোগীতায় আনন্দে মেতে উঠে হাজারো মানুষ

শাহরাস্তিতে ডাকাতিয়া নদীতে পড়ে শিশু নিখোঁজের ৫ ঘন্টা পর মৃত উদ্ধার করলো ডুবুরিরা

শাহরাস্তিতে ডাকাতিয়া নদীতে পড়ে শিশু নিখোঁজের ৫ ঘন্টা পর মৃত উদ্ধার করলো ডুবুরিরা

জকিগঞ্জে ‘মৃত ব্যক্তি’ জীবিত ফিরে এলেন: দাফনের আগ মুহূর্তে চাঞ্চল্যকর ঘটনা

জকিগঞ্জে ‘মৃত ব্যক্তি’ জীবিত ফিরে এলেন: দাফনের আগ মুহূর্তে চাঞ্চল্যকর ঘটনা

কুড়িগ্রামে ট্রাক চাপায় প্রাণ গেলো যুবকের

কুড়িগ্রামে ট্রাক চাপায় প্রাণ গেলো যুবকের

ডা. জোবাইদা রহমানের জন্মদিনে রূপগঞ্জে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন

ডা. জোবাইদা রহমানের জন্মদিনে রূপগঞ্জে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন

আজ ‘মার্চ টু সচিবালয়’ ঘোষণা চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের

আজ ‘মার্চ টু সচিবালয়’ ঘোষণা চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের

অবশ্যই ইসি পুনঃগঠন হবে : এনসিপি

অবশ্যই ইসি পুনঃগঠন হবে : এনসিপি

চার্জ গঠন বিষয়ে শুনানি ২৯ জুন

চার্জ গঠন বিষয়ে শুনানি ২৯ জুন

উন্নতমানের গবেষণার পরিবেশ পেলে মেধাবীরা আবার দেশে ফিরবে : সালাহ উদ্দিন আহমেদ

উন্নতমানের গবেষণার পরিবেশ পেলে মেধাবীরা আবার দেশে ফিরবে : সালাহ উদ্দিন আহমেদ

সচিবালয়ের ভেতর সব সংগঠন বাতিলের নির্দেশনা চেয়ে রিট

সচিবালয়ের ভেতর সব সংগঠন বাতিলের নির্দেশনা চেয়ে রিট

দুদকের মামলায় স্ত্রীসহ খালাস পেলেন বিএনপি নেতা দুলু

দুদকের মামলায় স্ত্রীসহ খালাস পেলেন বিএনপি নেতা দুলু

নিজের সুরক্ষা চেয়ে মা-বাবার বিরুদ্ধে মেয়ের মামলা

নিজের সুরক্ষা চেয়ে মা-বাবার বিরুদ্ধে মেয়ের মামলা

দক্ষিণ সিটিতে সকল নাগরিক সেবা প্রদানের আহ্বান, গাফিলতিতে ব্যবস্থা

দক্ষিণ সিটিতে সকল নাগরিক সেবা প্রদানের আহ্বান, গাফিলতিতে ব্যবস্থা