ব্যাংক থেকে ফেরত দেওয়া জাল টাকা অন্য জায়গায় চালানো প্রসঙ্গে।

ইনকিলাব

১১ জুন ২০২৫, ১২:২২ এএম | আপডেট: ১১ জুন ২০২৫, ১২:২২ এএম

নুরুল আমিন
ইমেইল থেকে

প্রশ্ন : কেউ ব্যাংক থেকে উঠিয়ে আমাকে প্রাপ্য ৫০ হাজার টাকার ১টি বান্ডিল দেয়। সব গুলো ৫০০ টাকার নোট। যখন আমার প্রয়োজনে আমি উক্ত টাকা বা বান্ডিল আমার নিজস্ব ব্যাংকে জমা করতে যাই, তখন উক্ত ব্যাংক কর্মকর্তা টাকাগুলো চেক করতে থাকে, এক পর্যায়ে উক্ত ব্যাংক কর্মকর্তা একটি ৫০০ টাকার নোট বের করে বলে এটি জাল। আমার কাছে তেমন সুস্পষ্ট জাল বলে মনে হয়নি, ব্যাংক টাকাটি নষ্ট করতে চায়, কিন্তু আমি নষ্ট করতে দেইনি। সেই টাকাটা আমি ফেরত নেই, ব্যাংকের লোক যেহেতু অভিজ্ঞ তার কথা ঠিক হতে পারে। কিন্তু আমি তো কারো ক্ষতি করিনি, আমি কেন এই জাল টাকার দায় নিব, আমি সেই টাকা দিয়ে একটি মেগা শপিংমল থেকে কিছু ক্রয় করি, তারাও সেটা গ্রহণ করে, এখন আমার মনে অস্বস্তি আমি কি অন্যায় করেছি? যদি টাকাটা হয়ে জাল হয়ে থাকে?

উত্তর : মনে অস্বস্তি থাকা ভালো। এটি অপরকে ঠকানোর সম্ভবনা থাকায় একজন মুসলমানের স্বাভাবিক অস্বস্তি। তবে, ব্যাংক কর্মকর্তা আপনাকে টাকাটি ফেরত দেওয়ায় আপনার এ কথা মনে করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে যে, এ টাকাটি নকল হওয়ার ব্যাপারে তিনি নিশ্চিত ছিলেন না। নিশ্চিত হলে তিনি ফেরত না দিয়ে এ টাকা নষ্ট করে ফেলতেন। যেহেতু তিনিও সন্দিহান ছিলেন, আর আপনি এ টাকা দিয়ে পন্য ক্রয় করেছেন। পন্য বিক্রেতা কোনো রূপ সন্দেহ করেনি। অতএব, মোটাদাগে আপনি বিশেষ কোনো দায় গ্রহণ করেন না। তাই মনে অস্বস্তি রাখার প্রয়োজন নেই। এটি হচ্ছে সাধারণ হিসাব। আর যদি আপনার অর্থ ও মনোবল এমন থাকতো যে, আপনি এ টাকা নিজে ব্যবহার না করে নফল দান করে দিতেন, তাহলে এই অস্বস্তি থাকতো না।

উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতওয়া বিশ্বকোষ।
প্রশ্ন পাঠাতে নিচের ইমেইল ব্যবহার করুন।
[email protected]

বিভাগ : ইসলামী প্রশ্নোত্তর