প্রশ্ন : আমি একজন অবিবাহিত ছেলে। আমার বিয়ের বয়স হয়েছে। আমার ফ্যামিলি আমাকে বিয়ে করাতে চাচ্ছে। প্রশ্ন হলো, মেয়ে দেখার ক্ষেত্রে ইসলাম কোন বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দিতে গুরুত্ব দিয়েছে? জানালে উপকৃত হবো।
১১ অক্টোবর ২০২৫, ১২:০০ এএম | আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২৫, ১২:০০ এএম
উত্তর : প্রথম দেখবেন তাদের ঈমান আকীদা ও ধার্মিকতা। পারিবারিক শিক্ষা-দীক্ষা সংস্কৃতি ও আদব কায়দা। পাত্র-পাত্রীর দাদা নানার পরিবার ও ঐতিহ্য। এরপর উভয় পরিবারের চিন্তা, রুচি, অর্থ ও সামাজিকতার সমতা। ইসলামে যে নীতিমালা দেওয়া হয়েছে সেখানে বলা আছে, ১. ধার্মিকতা, ২. বংশ, ৩. সৌন্দর্য, ৪. অর্থ সম্পদ। এসব বিষয়েই উভয় পক্ষের একটি সমন্বয় প্রয়োজন। আর এ সমতার নামই ‘কুফু’। শরীয়তে কুফুর গুরুত্ব অত্যধিক। এক্ষেত্রে সমন্বয় না থাকলে সংসারে চরম অশান্তি বিরাজ করে। তবে সবকিছুর ওপর ধার্মিকতাকে প্রাধান্য দেওয়ার হুকুম দিয়েছেন মহানবী সা.।
প্রশ্ন : মনের অবসাদ/হতাশা/ভয়-ভীতি দূর করার জন্য কোন দোয়াটি পড়তে পারি। কোরআন শরীফে বিশেষ কোনো আয়াত এমন আছে কি?
উত্তর : আল্লাহর নাম ও তার কালাম যেটিই পড়–ন, মনের ওপর প্রভাব পড়বেই। হতাশা, ভয়-ভীতি, অবসাদ দূর হবেই। তবে মৌখিক পাঠের চেয়ে নিজে অন্তরে আল্লাহর ওপর আস্থা, বিশ্বাস, নির্ভরতা ও সর্বাত্মক আত্মসমর্পণ সৃষ্টি করতে হবে। মনের এই ভাব অনুশীলন করতে হবে। এর পাশাপাশি মুখের দোয়া ও জিকির চালিয়ে গেলে বর্ণিত কষ্ট দূর হবে, ইনশা আল্লাহ। দোয়া হিসাবে ‘লা হাওলা ওয়ালা কুওওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ ও ‘হাসবুনাল্লাহু ওয়া নি’মাল ওয়াকিল, নি’মাল মাওলা ওয়া নি’মান নাসির’ পড়া উত্তম। পেরেশানীর সময় আল্লাহর রাসূল সা. নিজেও এ দোয়া দু’টি পড়তেন। আরও বিস্তারিত জানার জন্য নারীরা পুরুষ অভিভাবকের মাধ্যমে আর পুরুষরা নিজে কোনো কামেল শায়েখের পরামর্শ নিতে পারেন।
প্রশ্ন : নিষিদ্ধ লটারীর বা অপর কোনো হারাম উপায়ে টাকা পেয়ে কেউ যদি ব্যবসা-বানিজ্য, জমি-খেতি করে প্রচুর সম্পদের মালিক হয় তবে এসব সম্পত্তি তার জন্যে কি রূপে হালাল হতে পারে? যদি হালাল না হয় তাহলে এ অপরাধ থেকে তার মুক্তির উপায় কি?
উত্তর : হারাম উৎস বা পন্থা থেকে আগত অর্থ সম্পদের মাধ্যমে যত সম্পদই আসুক, সবই হারাম। গোটা জিন্দেগী কেটে গেলেও এ সম্পদ হালাল হতে পারে না। এ ধরনের আর্থিক অপরাধ থেকে মুক্তির উপায় হারাম সম্পত্তি বর্জন করে হালাল উপায়ে জীবিকার সংগ্রামে লিপ্ত হওয়া। আল্লাহর নিকট তওবা, ক্ষমা প্রার্থনার দ্বারা সকল গোনাহই মাফ হয়ে যায় তবে অন্য মানুষের হক সরাসরিভাবে আল্লাহ মাফ করেন না। অতএব, অপরের অধিকার যে কোনো মূল্যে পৌঁছে দেয়ার পর আল্লাহর নিকট কৃত অপরাধের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করলে আল্লাহ মাফ করবেন। হারাম সম্পত্তির অভিশাপ থেকে মুক্তির জন্যে কোনো বিজ্ঞ মুফতি বা ইসলামী আইনবিদের পরামর্শ গ্রহণ করলে পরিস্থিতি বিবেচনায় তারা উপযুক্ত পরামর্শ দিতে পারেন।
বিভাগ : ইসলামী প্রশ্নোত্তর
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
দুই শেয়ারবাজারেই বড় পতন
দিল্লির লকডাউন ঢাকায় দাফন হয়েছে : জাগপা
ইমাম প্রশিক্ষণে সউদী সরকারের সহায়তার আশ্বাস
চোর সন্দেহে কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা, নারী গ্রেফতার
পঞ্চদশ সংশোধনীর রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি
কিছু রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ডে পতিত ফ্যাসিস্টরা উৎসাহিত হচ্ছে : রিজভী
রাজনৈতিক দলগুলোকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বার্তা
বিআরটিসি বাসে পাইলটিং ভিত্তিতে ই-টিকেট সেবা কার্যক্রম শুরু
ডিএমপি কমিশনারের ভুয়া ভিডিও ছড়িয়ে বিভ্রান্তি
প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে সংকট উত্তরণের প্রচেষ্টা থাকলেও সাংবিধানিক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে : সাইফুল হক
মতভিন্নতা সত্ত্বেও প্রধান উপদেষ্টার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালো এবি পার্টি
প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে দেশবাসী উজ্জীবিত : লেবার পার্টি
দেশকে দ্রুতবেগে বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছি : ফরহাদ মজহার
দিল্লি-কাবুলের ষড়যন্ত্রেই বেড়েছে সন্ত্রাসী হামলা: শেহবাজ শরীফ
জীবন্ত ফার্ন গাছে বিরল খনিজের সন্ধান
চীনের গুপ্তচর হিসেবে অভিযুক্ত লিন্ডা সানের বিচার শুরু
তীব্র পানি সংটে ইরানের নাগরিক জীবন ঝুঁকিতে
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যে চীনকে পাশে পেল ভেনেজুয়েলা
মালয়েশিয়াগামী শ্রমিকদের ৩১৪ কোটি টাকা আত্মসাতে ৫ এজেন্সির বিরুদ্ধে মামলা
গণতন্ত্র ফেরাতে নির্বাচনই একমাত্র বিকল্প : মির্জা ফখরুল