নিপীড়নে জড়িত সকলকেই দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে : বাংলাদেশ জাগ্রত পার্টি
০৮ মার্চ ২০২৫, ০৩:৩১ পিএম | আপডেট: ০৮ মার্চ ২০২৫, ০৩:৪২ পিএম

৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জাগ্রত পার্টি (বাজপ) ও বাংলাদেশ জাগ্রত মহিলা ফোরামের পক্ষ থেকে এক যৌথ বিবৃতি প্রদান করা হয়। বিবৃতিতে বাংলাদেশ জাগ্রত পার্টির চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার ইকরামুল হক খান বলেন, বাংলাদেশের নারী ও প্রগতিশীল সমাজ বর্তমানে এক ভয়াবহ দুঃসময় পার করছে। দেশে নারী বিদ্বেষ ও নারীর প্রতি সহিংসতা চরম আকার ধারণ করেছে।
তিনি আরও বলেন, ২০২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের পর একটি গোষ্ঠী গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে নানা অপচেষ্টা করছে। তারা নারীদের নিয়ে বিদ্বেষ ছড়ানোর পাশাপাশি তাঁদের ওপর সহিংসতা ও আক্রমণ চালাচ্ছে, যা গণ-অভ্যুত্থানের চেতনার পরিপন্থী। দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য, কোটা সংস্কার আন্দোলনের রূপকার ও সিনিয়র সাংবাদিক মোহাম্মদ আবদুল অদুদ বলেন, গণঅভ্যুত্থানে আমাদের নারীসমাজ ছিলেন সোচ্চার। তাই আজকাল নারীদের উপর সহিংস ঘটনা বেশ চোখে পড়ছে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারকে বলব, নারীর প্রতি নিপীড়নে জড়িত সকলকেই দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
বাংলাদেশ জাগ্রত পার্টির মহাসচিব আবুল কালাম আজাদ বিবৃতিতে বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে যে অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, মানবিক, শোষণমুক্ত সমাজ গড়তে চেয়েছিলাম, সেটাকে পেছনের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে। সমাজে নারীর অধিকার নিশ্চিত করা এবং সব কাজে সমান সুযোগ ও সমান মজুরি ছাড়া দেশের অগ্রগতি নিশ্চিত করা যাবে না। দলের মুখপাত্র কাজী শামসুল ইসলাম বলেন, তৌহিদি জনতা’র নামে ধর্মীয় মৌলবাদী গোষ্ঠী নারীর বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে।
জাগ্রত মহিলা ফোরামের আহ্বায়ক এডভোকেট রানী আক্তার বিবৃতিতে বলেন, একের পর এক নারী ও শিশুর উপর আক্রমণের ঘটনা ঘটাচ্ছে, যা খুবই উদ্বেগজনক। এ বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপ মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে নারীদের হেনস্তা করার পরও সরকার হেনস্তাকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। এসব অপশক্তিকে দমন করতে না পারার দায় অন্তর্বর্তী সরকারকেই নিতে হবে।
মহিলা ফোরামের সদস্য সচিব সিনিয়র সাংবাদিক আনজুমান আরা শিল্পী বিবৃতিতে বলেন, বিদ্যমান শোষণ-নিপীড়ন এবং পুরুষতান্ত্রিক অন্যায্য ব্যবস্থার বিরুদ্ধে নারী সমাজকে সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে। বাংলাদেশ জাগ্রত মহিলা ফোরামের নেত্রী সাবিস্টিনা কস্তা মঞ্জু আঁখি বলেন, দেশে গণতন্ত্র না থাকলে শোষণ-নিপীড়ন বাড়তেই থাকবে। এর ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় নারী সমাজ। কিন্তু গণ-অভ্যুত্থানের পরও বাংলাদেশে নারী নির্যাতন, খুন-ধর্ষণ ও শিশুহত্যা বেড়েই চলেছে। প্রতিদিনই দেশের কোনো না কোনো প্রান্তে নারী ও শিশুরা খুন-ধর্ষণের শিকার হচ্ছে।
বিভাগ : মহানগর
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও






আরও পড়ুন

এভারটনের বিপক্ষে শেষ ৮ মিনিটের ঝড়ে জিতল সিটি

অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনে জিতল বার্সা

প্রশাসনের কঠোরতায় গুলশানে বন্ধ হলো ব্যাটারিচালিত রিকশা

হাসান সারওয়ার্দীর এলডিপিতে যোগদান

ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের বলয় গড়ে তুলতে হবে

নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটস হয়ে উঠলো এক খন্ড বাংলাদেশ

ছাত্রলীগ ও আ.লীগের ৬ কর্মী গ্রেফতার

বিচার কার্যক্রম চলবে ৪৮ বেঞ্চে আজ খুলছে উচ্চ আদালত

পুলিশ কর্মকর্তাদের ছবি ব্যবহার করে জালিয়াতি

গত ১৬ বছরে উন্নয়নের নামে চট্টগ্রামকে পানিবদ্ধতার নগরীতে পরিণত করা হয়েছে -মেয়র ডা. শাহাদাত

পলিথিন ও প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে কয়রায় গণশুনানী

কিশোরগঞ্জে ৪ খাবারের দোকানে জরিমানা

আশুলিয়ায় শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা, যুবক গ্রেফতার

পরিকল্পনা উপদেষ্টার সাথে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির সাক্ষাৎ

ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে আমেরিকায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিল

আদমদীঘিতে কার্ডধারীদের চালের পরিবর্তে টাকা দেয়ার অভিযোগ

চাঁদপুর জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতিসহ গ্রেফতার ৩

রাউজানে মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটির এশায়াত মাহফিল অনুষ্ঠিত

ভোলায় গ্যাস সংযোগ দাবি, ইন্ট্রাকোর কাভার্ডভ্যান আটকে দিলো ছাত্র-জনতা

এনএমআই চট্টগ্রামের উদ্যোগে ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও দন্ত সুরক্ষা বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত