কোন ফ্যাসিস্ট অপশক্তি দ্বিতীয়বার ফিরে আসেনি: হেলাল উদ্দিন

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

১৬ মে ২০২৫, ০৭:৩৮ পিএম | আপডেট: ১৬ মে ২০২৫, ০৭:৩৮ পিএম

কোন ফ্যাসিস্ট পরাজিত অপশক্তি দ্বিতীয়বার ফিরে আসেনি উল্লেখ করে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনাও ফিরে আসবে না, আসতে পারবে না। এটা শেখ হাসিনার পরিবার নিশ্চিত হয়ে তার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয় সহ অন্যরা ইউরোপ - আমেরিকার নাগরিকত্ব গ্রহন করতে শুরু করেছে। দুদিন আগে হাসিনার ছেলে জয় আমেরিকার নাগরিকত্ব গ্রহন করে শপথ নিয়েছে। কারণ তারা নিশ্চিত বাংলাদেশে তাদের আর ফিরে আসা সম্ভব নয়। এদেশের জনগণ তাদেরকে চিরতরে বর্জন করেছে।

 

শুক্রবার (১৬ মে) সকালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী শাহজাহানপুর পূর্ব থানা আমীর মুহাম্মদ শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত রুকন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্র লীগ সহ আওয়ামী লীগের সকল সহযোগী সংগঠনের সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, যেই নেতা পালিয়ে যায় সে কখনো নেতা হতে পারে না। প্রকৃত অর্থে সে ক্ষমতা লোভী সুবিধাবাদী। ঐ নেতা সংগঠনের সদস্যদের জীবন নিয়ে রাজনীতি করে ফায়দা লুটে নেয়।

 

ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, জামায়াতে ইসলামী জান্নাতের টিকেট দেয় না, জান্নাতের পথ দেখায়। দ্বীন কায়েমের পথে আহ্বান জানায়। দ্বীন কায়েম হলেই দ্বীন পালন করা যায়। বাংলাদেশে দ্বীন কায়েম না হওয়ার কারণেই মানুষ চাইলেই দ্বীন পালন করতে পারে না। শুধু নামাজ-রোজা করতে পারলেই দ্বীন পালন করা নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইসলামের সকল বিধি-বিধান মেনে চলার নামই দ্বীন পালন করা। সুদ-ঘুষ ইসলাম হারাম করলেও এদেশের জনগণ সুদ বা ঘুষ থেকে বেরিয়ে আসতে পারে না। কারণ সুদ ভিত্তিক অর্থনীতি ব্যবস্থা চলমান। ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে সুদ ভিত্তিক অর্থনীতি ব্যবস্থার পরিবর্তে যাকাত ভিত্তিক অর্থনীতি ব্যবস্থা চালু হবে। ফলে মানুষ সুদ থেকে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় মুক্তি লাভের সুযোগ পাবে। এভাবে ইসলামের সকল বিধি-বিধান মেনে চলা সহজ ও সম্ভব হবে। তাই দ্বীন কায়েমের মাধ্যমেই দ্বীন পালন করতে হবে। এটি একজন মানুষের ঈমানী দায়িত্ব। এই দায়িত্ব পালনের নেতৃত্ব দিচ্ছি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এই নেতৃত্বে শামিল হতে তিনি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।

 

শাহজাহানপুর পূর্ব থানা আমীর মুহাম্মদ শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশের প্রধান আলোচক বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ফেরাউনের অনুসারী শেখ হাসিনার পতনের পর ফ্যাসিস্ট হাসিনার অনুসারী নব্য ফ্যাসিবাদের আজব আবারো আসতে পারে। সেজন্য গণ-অভ্যুত্থানের বিজয়ে ‍উৎফুল্ল না হয়ে আল্লাহর দেওয়া বিধান বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে। ফ্যাসিবাদ বিরোধী সকল রাজনৈতিক দলের ঐক্যে বিভাজনের চক্রান্তে একটি গোষ্ঠী লিপ্ত রয়েছে। এরাই শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদের অনুসারী নব্য ফ্যাসিবাদ।

 

ছাত্র-জনতার রক্তের সাথে বেঈমানী করে কেউ নব্য ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করলে আওয়ামী লীগের চেয়েও ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে উল্লেখ করে ড. মাসুদ বলেন, ক্ষমতা দেওয়ার মালিক আল্লাহ, নেওয়ার মালিকও আল্লাহ। আল্লাহ কাউকে ক্ষমতায় বসিয়ে সম্মানিত করে আবার কাউকে ক্ষমতায় বসিয়ে অসম্মানিত, বেইজ্জতিও করে। ক্ষমতার দাম্ভিকতাই অহংকার, সেই অহংকার পতনের মূল। তিনি উপস্থিত রুকন সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, সময় যত অনুকূলে থাকবে তত বেশি উৎফুল্ল না হয়ে আল্লাহর আনুগত্য স্বীকারে আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন কায়েমের প্রচেষ্টা বাড়াতে হবে।

 

শাহজাহানপুর পূর্ব থানা সেক্রেটারি মো. আনোয়ার হোসেন পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার মুফাসসির মাওলানা আবুল কাশেম গাজী। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন থানা কর্মপরিষদ সদস্য আবদুল খালেক, এস এম আজিম উদ্দিন ও নাহিদ জামাল প্রমুখ


বিভাগ : মহানগর


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপার আক্ষেপ ক্লাব বিশ্বকাপে ঘোচাতে চায় ইন্টার

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপার আক্ষেপ ক্লাব বিশ্বকাপে ঘোচাতে চায় ইন্টার

বিজিবির অভিযানে মে মাসে ১৩৩ কোটি ১১ লক্ষাধিক টাকার চোরাচালান পণ্যসামগ্রী জব্দ

বিজিবির অভিযানে মে মাসে ১৩৩ কোটি ১১ লক্ষাধিক টাকার চোরাচালান পণ্যসামগ্রী জব্দ

পরিবহন আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ৭টি ওমরাহ কোম্পানি স্থগিত

পরিবহন আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ৭টি ওমরাহ কোম্পানি স্থগিত

রাশিয়ার হামলায় কিয়েভে মার্কিন নাগরিকসহ নিহত ১৪

রাশিয়ার হামলায় কিয়েভে মার্কিন নাগরিকসহ নিহত ১৪

সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিল না হলে আন্দোলন চলবে

সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিল না হলে আন্দোলন চলবে

জি-৮ থেকে রাশিয়াকে বাদ দেয়া ‘বিশাল ভুল’ ছিল: ট্রাম্প

জি-৮ থেকে রাশিয়াকে বাদ দেয়া ‘বিশাল ভুল’ ছিল: ট্রাম্প

সাকিব আল হাসানসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

সাকিব আল হাসানসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

এস আলমের ২০০ একর জমি জব্দের নির্দেশ আফতাবুলের ৯৪ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ

এস আলমের ২০০ একর জমি জব্দের নির্দেশ আফতাবুলের ৯৪ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ

নগর ভবন অচলাবস্থার জন্য এই সরকার দায়ী : ইশরাক

নগর ভবন অচলাবস্থার জন্য এই সরকার দায়ী : ইশরাক

বাবার যত্নে ওষুধ, মেডিকেল টেস্ট, হেলথ চেকআপে বিকাশ পেমেন্টে ডিসকাউন্ট ও ক্যাশব্যাক

বাবার যত্নে ওষুধ, মেডিকেল টেস্ট, হেলথ চেকআপে বিকাশ পেমেন্টে ডিসকাউন্ট ও ক্যাশব্যাক

শেখ হাসিনা নিজের ইচ্ছেমতো ইতিহাস ও পাঠ্যবই রচনা করেছিল: রিজভী

শেখ হাসিনা নিজের ইচ্ছেমতো ইতিহাস ও পাঠ্যবই রচনা করেছিল: রিজভী

‘ইসরাইল ইরানের পারমাণবিক অবকাঠামো ধ্বংস করতে পারবে না’

‘ইসরাইল ইরানের পারমাণবিক অবকাঠামো ধ্বংস করতে পারবে না’

ইলিয়াস আলীকে ফিরে পাওয়ার দাবীতে বিশ্বনাথে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ-দোয়া মাহফিল

ইলিয়াস আলীকে ফিরে পাওয়ার দাবীতে বিশ্বনাথে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ-দোয়া মাহফিল

দোয়ারাবাজারে সড়ক দূর্ঘটনায় গরুটি মৃত্যু  আহত ৪

দোয়ারাবাজারে সড়ক দূর্ঘটনায় গরুটি মৃত্যু আহত ৪

জুবাইদা রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে ২ দিনব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন

জুবাইদা রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে ২ দিনব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন

সুন্দরগঞ্জে জামের গাছ থেকে পড়ে একজনের মৃত্যু

সুন্দরগঞ্জে জামের গাছ থেকে পড়ে একজনের মৃত্যু

ভবিষ্যতে ছেড়ে দেব এমন কথা বললে তালাক হয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে।

ভবিষ্যতে ছেড়ে দেব এমন কথা বললে তালাক হয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে।

পরিবার থেকে রাষ্ট্র : ন্যায়ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের উপায়

পরিবার থেকে রাষ্ট্র : ন্যায়ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের উপায়

ইরান-ইসরাইল যুদ্ধ এবং জেরুজালেমের মুক্তির প্রশ্ন

ইরান-ইসরাইল যুদ্ধ এবং জেরুজালেমের মুক্তির প্রশ্ন

সকলের দৃষ্টি এখন ডোনাল্ড ট্রাম্পের দিকে

সকলের দৃষ্টি এখন ডোনাল্ড ট্রাম্পের দিকে