ঢাকা   মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

কলকারখানা-এনবিআর-দুদক টার্গেট ড.মুহাম্মদ ইউনূস

Daily Inqilab ইনকিলাব

০৬ জুন ২০২৩, ১১:২৬ পিএম | আপডেট: ০৭ জুন ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ। ব্যাংকার। পৃথিবীব্যাপি সমাদৃত ক্ষুদ্র ঋণের প্রবর্তক। গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা। নোবেল বিজয়ী একমাত্র বাংলাদেশী। ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল জয়ের মধ্য দিয়ে যিনি দেশকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। বিশ্ববাসী কতভাবেই না তাকে চেনে ! নানা আন্তর্জাতিক পুরষ্কারে ভূষিত এই বাংলাদেশী নাগরিক কতভাবেই না অভিষিক্ত ও সম্মানিত। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের তরুণ, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও সংস্থা উদগ্রীব তার মুখের কথা শুনতে। মানুষ ভীড় জমায় তাকে একনজর দেখার জন্য। দুনিয়ার সম্মান কুড়িয়ে আনা সেই প্রফেসর ড.মুহাম্মদ ইউনূস দেশে কতটা সম্মানিত ? কতটা শ্বস্তি আর সম্মান নিয়ে বাস করছেন নিজ দেশে ?

অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস যখন শান্তিতে নোবেল ভূষিত হন-তখনই একটি শ্রেণী নেমে পড়েন সমালোচনায়। নোবেল বিজয়ী একমাত্র বাংলাদেশী হিসেবে তাঁর প্রাপ্য ছিলো শুধুই অভিনন্দন। কিন্তু তার ভাগ্যে জুটলো অভিনন্দনের পাশাপাশি তীব্র সমালোচনা। ‘সুদখোর’, ‘গরীবের রক্ত চোষা’ ইত্যাদি বাক্য-বাণে বিদ্ধ করা হলো তাঁকে। সংকীর্ণতার সরু সূতোয় তাঁকে বেঁধে অনেকে অর্বাচীনতার পরিচয় দেয়। অথচ তখন ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্বজুড়ে সমাদৃত। একের পর এক কুড়িয়ে চলেছেন ‘বিশ্বখাদ্য পুরষ্কার’র মতো বিরল সম্মানজক বহু পুরষ্কার। ইউকিপিডিয়ার তথ্য মতে. প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এ পর্যন্ত ৬২টি সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রিসহ আন্তর্জাতিক পুরষ্কার লাভ করেছেন। দুনিয়া ব্যাপি তার পরিচিতি, সম্মান ও খ্যাতিকে বাংলাদেশ কাজে লাগাতে পারতো। এনে দিতে পারতো দেশের অর্থনীতি,স্বাস্থ্য,পরিবেশ, শিক্ষায় সমৃদ্ধি। কিন্তু সেটি হয়নি। নানা তকমা দিয়ে দেশের ভেতর তার বিষয়ে ছড়ানো হয় বিদ্বেষ। ধারাবাহিক সমালোচনার মধ্য দিয়ে তাঁকে ঠেলে দেয়া হয় শত্রুর কাতারে। তবে ২০০৭ সালে সংঘটিত ওয়ান-ইলেভেন এবং সরকার গঠন এবং আওয়ামীগ নেতৃত্বাধীন সরকার গঠনের পর ড.মুহাম্মদ ইউনূসের সমালোচনা আনুষ্ঠানিকতা পায়। যদিও ওয়ান-ইলেভেনের সময় তার উদারনৈতিক সিদ্ধান্ত তখন চেপে রাখা হয়। ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারি পর্যায়ে সরকারি আক্রমণের শিকার হন পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বাতিল হয়ে যাওযার পর। প্রপাগান্ডা চালানো হয়, ড. মুহাম্মদ ইউনূসই নাকি বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধে ষড়যন্ত্র করেছেন। যদিও এসব বিষয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস কখনোই কোনো প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন নি। কিন্তু রাষ্ট্র মালিকানার প্রতিষ্ঠানগুলো একযোগে লেগে যায় তার পেছনে। একশ্রেণিল সংবাদ মাধ্যম ভূমিকা রাখতে শুরু করে আরও এক কাঠি এগিয়ে। বিশ্বব্যাপি তাঁর কৃতিত্বের মর্যাদা না দিয়ে প্রকাশ ও প্রচার করতে তাঁর প্রতিষ্ঠানের ত্রুটি-বিচ্যুতি। আর সেগুলোকে ভিত্তি ধরে মাঠে নেমে পড়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), কলকারখানা পরিদর্শন অধিদফতর। সরকার তথা রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত এসব প্রতিষ্ঠান এখন যেন একট্টা। জাতীয় নির্বাচনের মাত্র ৭ মাস বাকি। নানা অস্বস্তির মধ্যে আছে দেশের মানুষ। সরকার তথা প্রশাসনের মধ্যে দৃশ্যমান হয়ে উঠছে অস্থিরতা। রিজার্ভ সঙ্কট, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বিদ্যুৎ সঙ্কট, র‌্যাবের ওপর স্যাংশন, বাংলাদেশের জন্য মার্র্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি ঘোষণা, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে উন্নয়ন অংশীদারদের ক্রমাগত চাপ, কূটনীতিকদের দৌঁড়-ঝাঁপ-সব কিছু ছাপিয়ে উঠে আসছে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইস্যু। যেন সবকিছুর পেছনেই যেন ‘কলকাঠি নাড়ছেন’ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সাধারণ মানুষেরও বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে না যে, বর্তমান বাস্তবতায় কার ইঙ্গিতে, কেন সরকারি সংস্থাগুলো একযোগে ড.মুহাম্মদ ইউনূসের পিছু লেগেছে। হঠাৎ করেই সক্রিয় হয়ে উঠেছে ড.মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সবগুলো মামলা। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে-ড.মুহাম্মদ ইউনূসমুখি প্রাতিষ্ঠানিক আক্রমণ ততোই তীব্র হচ্ছে। যেন কোমর বেঁধে নেমেছে প্রতিষ্ঠানগুলো। ভাবটা এমন ড. মুহাম্মদ ইউনূসই এই দেশে সবচেয়ে বড় আইন লঙ্ঘনকারী। বড় অপরাধী। তাকে মামলা জালে আটকানো গেলেই যেন দেশে আইনের শাসন তথা সুশাসন প্রতিষ্ঠা হবে।

আয়কর মামলায় পরিশোধ করতে হবে ১২ কোটি টাকা :
১২ কোটি টাকার বেশি আয়কর পরিশোধ করতে হবে ড.মুহাম্মদ ইউনূসকে। গত ৩১ মে এই আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। দান করা টাকার বিপরীতে আয়কর দাবি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নোটিশ দিয়েছিল। সেটিকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে আবেদন করেছিলেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী এই অর্থনীতিবিদ। অধ্যাপক ইউনূসের দায়ের করা আবেদন খারিজ করে হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে, গত ২৩শে মে এনবিআরের নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের করা তিনটি আয়কর রেফারেন্স মামলার শুনানি শেষ হয়। আর্জির তথ্যমতে, ড. ইউনূস ২০১১-১২ করবর্ষে ‘প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস ট্রাস্ট’, ‘ইউনূস ফ্যামিলি ট্রাস্ট’ ও ইউনূস সেন্টার’ এ মোট ৬১ কোটি ৫৭ লাখ ৬৯ হাজার টাকা দান করেন। একইভাবে ২০১২-১৩ করবর্ষে প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস ট্রাস্টে দান করেন ৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা। ২০১৩-১৪ করবর্ষে প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস ট্রাস্ট, ইউনূস ফ্যামিলি ট্রাস্টের দান করেন ৭ কোটি ৬৫ হাজার টাকা।

এসব দানের বিপরীতে যথাক্রমে প্রায় ১২ কোটি ২৮ লাখ ৭৪ হাজার ৮০০, এক কোটি ৬০ লাখ ২১ হাজার ও এক কোটি ৫০ লাখ ২১ হাজার টাকাসহ মোট ১৫ কোটি ৩৯ লাখ ১৬ হাজার ৮০০ টাকা আয়কর দাবি করে এনবিআর। সেই সঙ্গে ৬৯ লাখ ২৬ হাজার ২৫৬ টাকা জরিমানাও করে।

জরিমানাসহ ইউনূসের কাছে এনবিআরের মোট পাওনা দাবি করে ১৬ কোটি আট লাখ ৪৩ হাজার ৫৬ টাকা। এর মধ্যে ড. ইউনূস আয়কর পরিশোধ করেন ৩ কোটি ৬১ লাখ ৭০ হাজার ৪৪৮ টাকা। পরিশোধের এই টাকা বাদ দিলে জরিমানাসহ ইউনূসের কাছে এনবিআরের পাওনা দাঁড়ায় ১২ কোটি ৪৬ লাখ ৭২ হাজার ৬০৮ টাকা।

দুদকের মামলার চলছে তদন্ত :
৩০ মে ড.মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তার সঙ্গে আসামি করা হয় গ্রামীণ টেলিকমের আরও ১২ কর্মকর্তাকে। এ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে পরষ্পর যোগসাজশে অর্থ আত্মসাৎ, অর্থ পাচারের অভিযোগ আনা হয়। শ্রমিকদের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকার বেশি ‘আত্মসাৎ ও মানিলন্ডারিং’ এর অভিযোগ আনা হয় এজাহারে। মামলাটি দায়ের করা হয়েছে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে। দ-বিধির ৪০৯, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১ ও ১০৯ ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২-এর ৪(২)(৩) ধারায় দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ দায়ের করা হয় এ মামলা। ড.মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়াও এতে আসামি করা হয় গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: নাজমুল ইসলাম, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো: শাহজাহান, নূরজাহান বেগম, এস. এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, অ্যাডভোকেট মো: ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো: কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান , গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের প্রতিনিধি মো: মাইনুল ইসলাম। মামলাটির এখন তদন্ত চলছে।

কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের মামলায় বিচার শুরু :
গত ৮ মে আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ করে দেয়ার পর মামলাটি শ্রম আদালতে চলে আসে বিচারের জন্য। মামলাটির অভিযোগ গঠন শুনানির তারিখ ছিলো গতকাল (মঙ্গলবার, ৬ জুন)। ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর শ্রম আইন লংঘনের অভিযোগ তুলে ঢাকার শ্রম আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের একজন শ্রম পরিদর্শক বাদী হয়ে এ মামলা করেন। গতকাল ড.মুহাম্মদ ইউনূস ও অন্যান্য আসামিদের উপস্থিতিতে মামলাটির চার্জ গঠিত হয়। ঢাকার ৩ নম্বর শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা শুনানি শেষে মামলার চার্জ গঠন করেন।

আদালত থেকে বেরিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আজকে অভিযোগ গঠনের তারিখ ধার্য ছিলো। একটি অভিযোগ ছিলো, গ্রামীণ টেলিকম কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের স্থায়ী করা হয়নি। তিনটি অভিযোগ আনা হয়েছে আমাদের বিরুদ্ধে। আমরা বললাম, গ্রামীণ টেলিকম চুক্তিভিত্তিক কাজ করে। তিন বছরের জন্য। গ্রামীণ ফোন এবং নকিয়ার সার্ভিসের জন্য। তার (গ্রামীণ টেলিকম) চুক্তিই তিন বছরের জন্য। সে নিজেই চুক্তিভিত্তিক কাজ করে। সুতরাং তার চুক্তি তিন বছর পর পর সবাইকে নবায়ন করে। তার চুক্তি নবায়নের রাইট নেই। সুতরাং এটি সার্ভিস রুলস অনুযায়ী হবে। তার পরের প্রশ্নটি হচ্ছে-শ্রমিকদের অর্জিত ছুটি। আইন অনুযায়ী অর্জিত ছুটি দিতে হবে ১৮ দিন। আমরা দিচ্ছি ২০ দিন। সেই কাগজপত্রও দেয়া হলো। তারপর বলা হলো ২৩৪ ধারায় প্রফিট দেয়া হয়নি। আমরা বললাম, আমরা নন-প্রফিট অর্গানাইজেশন। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সামাজিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এটি সামাজিক কাজে ব্যবহার করা হয়। এটি কোনো শ্রমিক-কর্মচারিকে দেয়া হয় না। কোম্পানি আইনেও বিধান আছে এই প্রফিট শ্রমিককে দেয়া নিষিদ্ধ।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আজকে ফৌজদারি ক্রিমিনাল ২২৮ ধারায় মামলাটি এখানে আনা হয়েছে। লেবার আইনের ৮ এর ৪ এর ৭ এবং ৮ এবং ১১৭ এবং ২৩৪ ধারায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এটি শ্রম আইনের মামলা। গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানির মামলা। ড. মুহাম্মদ ইউনূস এটির চেয়ারম্যান। সামাজিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এটি। এই কোম্পানি লাভ করা নিষেধ। কোম্পানি আইনের ২৮ ধারায় কোম্পানি কোনো লাভ করবে না। এটির সমস্ত লভ্যাংশ পরবর্তী উন্নয়নের জন্য একটির পর একটি ব্যবহৃত হবে। এটি আইনের বিধানে থাকা সত্ত্বেও সেখানে এ মামলা করা হলো। তাদেরকে বলা হলো, শ্রমিকরা এর লভ্যাংশ পাবার অধিকারী না। এবং কর্মচারিও এর লভ্যাংশ পাবে না। তারপরের কথা হলো, ১১৭ ধারা অনুযায়ী ।

এই গ্রাউন্ডে মামলা হতে পারে না। লেবার আইনে বলা আছে, মামলা করতে পারবে শুধুমাত্র লেবার ইন্সপেক্টর। ১৯ এর ৫ এ শুধুমাত্র লেবার ইন্সপেক্টরের কথা বলা আছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে এর ব্যত্যয় ঘটেছে। আমরা আজকের আদেশের বিষয়ে উচ্চ আদালতে যাবো। সেখানে ন্যায় বিচার পাবো বলে আশা করছি।

এছাড়া সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আরেক আইনজীবী বলেন, পরিদর্শনের পর আমাদের শ্রম পরিদর্শক নোটিশ করেছেন। আমরা ২ বার নোটিশের জবাব দিয়েছি। আমরা আইনের মধ্যে থেকেই সব কাজ করেছি।

প্রসঙ্গত: ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক প্রপাগান্ডা ও সমালোচনার পাশাপাশি একের পর এ দায়ের হয়েছে মামলা। গত ১৫ বছরে বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে মামলাগুলো দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের বিরুদ্ধে দায়ের হয় মোট ১১০টি মামলা। এর মধ্যে শ্রম আদারতে ১০৪টি। হাইকোর্টে ৬টি। শ্রমিকদের মামলায় কাছ থেকে দাবি করা হয় ৪৩৭ কোটি টাকা। শ্রমিকদের করা মামলা ১১০টি মামলা ৫ বছর চলার পর গতবছর মে মাসে আদালতের বাইরে সমঝোতার চুক্তিতে প্রত্যাহার করা হয়। পরবর্তীতে ওই চুক্তির সমঝোতাকারক আইনজীবীর প্রাপ্ত ফি’র সূত্র ধরে দুদক অনুসন্ধানে নামে। পরবর্তীতে ওই আইনজীবীসহ ড.মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।

 


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

শাহপরীরদ্বীপে কোস্ট গার্ডের অভিযানে ৮০ হাজার ইয়াবাসহ ইজিবাইক জব্দ, আটক-১।

শাহপরীরদ্বীপে কোস্ট গার্ডের অভিযানে ৮০ হাজার ইয়াবাসহ ইজিবাইক জব্দ, আটক-১।

সাভারে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ আদায়

সাভারে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ আদায়

চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ভোট ৫ জুন

চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ভোট ৫ জুন

গরমে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

গরমে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

পদত্যাগ না করেই ইউপি চেয়ারম্যানরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন : হাইকোর্ট

পদত্যাগ না করেই ইউপি চেয়ারম্যানরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন : হাইকোর্ট

লেবাননে ইসরাইলি হামলায় ইরান সমর্থিত যোদ্ধা নিহত

লেবাননে ইসরাইলি হামলায় ইরান সমর্থিত যোদ্ধা নিহত

গত ১৫ বছরে দেশের বিস্ময়কর উন্নয়ন হয়েছে : ওবায়দুল কাদের

গত ১৫ বছরে দেশের বিস্ময়কর উন্নয়ন হয়েছে : ওবায়দুল কাদের

চট্টগ্রামে কৃষি জমির মাটি কাটার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তে হাইকোর্ট নির্দেশ

চট্টগ্রামে কৃষি জমির মাটি কাটার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তে হাইকোর্ট নির্দেশ

১২৪ জন শিক্ষক, চিকিৎসককে গবেষণা অনুদান প্রদান

১২৪ জন শিক্ষক, চিকিৎসককে গবেষণা অনুদান প্রদান

বিশ্বনাথে মেয়রের হামলায় মহিলা কাউন্সিলার গুরুত্বর জখম : উত্তেজনা

বিশ্বনাথে মেয়রের হামলায় মহিলা কাউন্সিলার গুরুত্বর জখম : উত্তেজনা

২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম; কুবি উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষকে অবাঞ্চিত ঘোষণার হুমকি

২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম; কুবি উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষকে অবাঞ্চিত ঘোষণার হুমকি

বিশ্বকাপের ডাক ফিরিয়ে দিলেন নারাইন

বিশ্বকাপের ডাক ফিরিয়ে দিলেন নারাইন

লৌহজং উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: যাচাই-বাছাইয়ে ৪ জনের প্রার্থিতা বাতিল

লৌহজং উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: যাচাই-বাছাইয়ে ৪ জনের প্রার্থিতা বাতিল

পাঁচ ঘন্টা পরে ফরিদপুর-খুলনা মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হলো

পাঁচ ঘন্টা পরে ফরিদপুর-খুলনা মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হলো

ক্ল্যাসিকো ম্যচটি আবার খেলার দাবি বার্সা সভাপতির

ক্ল্যাসিকো ম্যচটি আবার খেলার দাবি বার্সা সভাপতির

মৌসুম শেষ ডি জংয়ের

মৌসুম শেষ ডি জংয়ের

কেরানীগঞ্জে সন্ত্রাস উগ্রবাদ নিরসনে সচেতনতা তৈরি শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

কেরানীগঞ্জে সন্ত্রাস উগ্রবাদ নিরসনে সচেতনতা তৈরি শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

ঝিকরগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগী ভোগান্তি চরমে

ঝিকরগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগী ভোগান্তি চরমে

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে রেজাল্ট শীট আনতে গিয়ে শিশুর মৃত্যু

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে রেজাল্ট শীট আনতে গিয়ে শিশুর মৃত্যু

লৌহজং উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: যাচাই-বাছাইয়ে ৪ জনের প্রার্থিতা বাতিল

লৌহজং উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: যাচাই-বাছাইয়ে ৪ জনের প্রার্থিতা বাতিল