এজাহারভুক্ত তিন আসামির দায়মুক্তি
৩১ জুলাই ২০২৩, ১২:১৬ এএম | আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২৩, ১২:২২ এএম
আলোচিত ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ (ফমেক) হাসপাতালের ‘পর্দাকান্ডে’র এজাহারভুক্ত ৩ আসামিকে দায়মুক্তি (চার্জশিট নং-০৩) দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ প্রক্রিয়ায় লেনদেন হয়েছে অন্তত সাড়ে ৩ কোটি টাকা। প্রভাবশালী একজন রাজনৈতিক নেতা, দুদকের একজন পরিচালক, মহাপরিচালক এবং কমিশনের একজন শীর্ষ কর্মকর্তার হাত রয়েছে এ দায়মুক্তির (স্মারক নং-২৪৮৯৩, তারিখ: ১০/০৭/২০২৩) নেপথ্যে। তথ্য নির্ভরযোগ্য সূত্রের।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, তদন্ত প্রতিবেদন প্রণয়নের ক্ষেত্রে আশ্রয় নেয়া হয়েছে জালিয়াতি ও চাতুর্যের। দেয়া হয়েছে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলসের (পিপিআর) ভুল ব্যাখ্যা। বিভ্রান্তি সৃষ্টির লক্ষ্য প্রতিবেদনে জড়ানো হয়েছে ঘটনার সম্পর্কে সম্যক ধারণাহীন কিছু ব্যক্তিকেও। দায়সারা ফরমায়েশী এ তদন্তের ভিত্তিতে দাখিলকৃত চার্জশিট বিচারে টিকবে কি-না, এখন দেখা দিয়েছে এ প্রশ্ন। প্রকৃত অপরাধীদের বাঁচাতেই গোঁজামিলের এই চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে কি-না সেই সংশয়ও ব্যক্ত করেছেন আইনজ্ঞরা।
রেকর্ড বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজের পর্দাকান্ডের ঘটনা দুদকের ‘অভিযোগ যাচাই-বাছাই কমিটি (যাবাক)’ অনুসন্ধানের জন্য স্বেচ্ছায় আমলে নেয়নি। ফমেক-এ যন্ত্রপাতি ক্রয়ের নানা অনিয়মের খবর সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ পেলে বিষয়টি হাইকোর্টের দৃষ্টিতে আসে। আদালত ২০১৯ সালের ২০ আগস্ট অনিয়মের বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্তের জন্য দুদককে নির্দেশ দেন। পরপরই অভিযোগ অনুসন্ধানে ২০১৯ সালে সরেজমিনে ফরিদপুর পরিদর্শন করে দুদক টিম। ওই তৎকালীন উপ-পরিচালক সামছুল আলমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের টিম অভিযোগ অনুসন্ধান করেন। অন্য সদস্যরা হলেন, সংস্থার উপ-সহকারী পরিচালক মো: সহিদুর রহমান ও ফেরদৌস রহমান। এ টিম সরেজমিনে তদন্ত শেষে ‘ব্যাপক দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে’ মর্মে প্রতিবেদন দেন। এ ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর মামলাটি দায়ের হয় ফরিদপুর আদালতে। তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. মামুনুর রশীদ চৌধুরী মামলার বাদী।
২০২২ সালের ২৩ মার্চ মামলা তদন্তের দায়িত্ব পান দুদকের (অনু: ও তদন্ত-৭) তৎকালীন উপ-পরিচালক (পরবর্তীতে পরিচালক) মো: ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারি। তিনি মামলা তদন্তের নামে কালক্ষেপণের কৌশল নেন। পদোন্নতি হলেও রহস্যজনক কারণে হাতছাড়া করেননি তদন্তের ফাইল। জিজ্ঞাসাবাদের নামে অন্তত শতাধিক ব্যক্তিকে সেগুনবাগিচাস্থ দুদক কার্যালয়ে হাজির করান। সবশেষ অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএলএ) যাওয়ার পূর্বমুহূর্তে তড়িঘরি করে জমা দেন তদন্ত প্রতিবেদন। এতে তিনি এজাহারভুক্ত ৬ জনের মধ্য থেকে মৃত্যুজনিত কারণে অব্যাহতি দেন ফমেক হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (উপ-পরিচালক) ডা. ওমর ফারুক খানকে। ৩ জনকে দায়মুক্তি দেন। বাকী ৩ জনের সঙ্গে ১১ জনকে ‘দায়ী’ করে মোট ১৪ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন জমা দেন। চার্জশিটভুক্তরা হলেন, অনিক ট্রেডার্সের মালিক আব্দুল্লাহ আল মামুন, আহমেদ এন্টারপ্রাইজের মালিক মুন্সি ফররুখ হোসাইন, জাতীয় বক্ষব্যধি হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুন্সি সাজ্জাদ হোসেন, শিশু বিভাগের অধ্যাপক ডা. বরুন কান্তি বিশ্বাস, ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজের সমাজ সেবা অফিসাসের প্রতিনিধি, ফরিদপুর সিভিল সার্জন অফিসের প্রতিনিধি, চক্ষু বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. মো. এনামুল হক, গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (সিভিল) পদমর্যাদার প্রতিনিধি, সহকারী প্রকৌশলী (ইলেকট্রিক্যাল) মিয়া মোর্তজা হোসাইন, অধ্যাপক ( মেডিসিন) ডা. শেখ আব্দুল ফাত্তাহ, সহযোগী অধ্যাপক (সার্জারি) ডা. মো. মিজানুর রহমান, সাবেক আরএমও ডা. মো. শফিক উল্লাহ, ফমেকের স্টোর কিপার আব্দুর রাজ্জাক এবং মেসার্স আলী ট্রেডার্স’র মালিক মো. আলমগীর। তাদের বিরুদ্ধে দ-বিধির ৪০৯/৫১১/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় চার্জশিট দাখিল করেন।
লক্ষ্যনীয় বিষয় হচ্ছে, এজাহারভুক্ত ৬ আসামিদের ৩ আসামিকেই তদন্ত প্রতিবেদনে দায়মুক্তি দেয়া হয়েছে। দায়মুক্তিপ্রাপ্তরা হলেন, ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের তৎকালীন প্যাথলজিস্ট ডা. এইচ এম নূরুল ইসলাম, জুনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনি) ডা. মিনাক্ষী চাকমা, সহযোগী অধ্যাপক (ডেন্টাল) ডা. গণপতি বিশ্বাস শুভ।
এজাহারভুক্ত আসামি হিসেবে এই ৩ জনকেই গ্রেফতার করেছিল দুদক। কিন্তু কোন্ বিবেচনায় দুদকের চোখে পরবর্তীতে তারা ‘সম্পূর্ণ নির্দোষ’ প্রতীয়মান হলো-সেই ব্যাখ্যা তদন্ত প্রতিবেদনে নেই। তবে কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হকের নোটানুচ্ছেদে এ বিষয়ে ব্যয় করা হয়েছে ছোট একটি বাক্য। তা হলো, ‘এছাড়া এজাহারনামীয় নিম্নবর্ণিত আসামির বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে মামলার দায় হতে অব্যাহতি দানের সিদ্ধান্ত জ্ঞাপন করা হইল’।
রেকর্ডপত্রে দেখা যায়, ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজে আলোচিত পর্দাকা-ের মামলায় দায়মুক্তি প্রদানে তদন্তকালে প্রতারণা, জালিয়াতি ও চাতুর্যের আশ্রয় নেয়া হয়েছে। যেমন: তদন্ত প্রতিবেদনের ১২ অনুচ্ছেদে তদন্ত কর্মকর্তা ফরিদপুরের গণপূর্ত উপ-বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (সিভিল)কে দরপত্র মূল্যায়ণ কমিটির ‘সদস্য’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। অথচ ফমেক হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (উপ-পরিচালক) ডা. ওমর ফারুক খান ০৬/০৮/২০১৪ ইং তারিখ দরপত্র মূল্যায়নে ৭ সদস্যের যে কমিটি গঠন করেন তাতে ৫ নম্বর ‘সদস্য’ হিসেবে ফরিদপুর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর কথা উল্লেখ রয়েছে। উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর নামে কোনো চিঠিও ওই কমিটি ইস্যু করেনি।
একইভাবে মূল্যায়ণ কমিটির ৪ নম্বর সদস্য ছিলেন ফরিদপুরের সিভিল সার্জন। গঠিত মূল্যায়ন কমিটির প্রধান ওই সিভিল সার্জনকেই চিঠি লিখেছেন। অথচ আসামির জায়গায় বসিয়ে দেয়া হয়েছে ফরিদপুর সিভিল সার্জন অফিসে কর্মরত তৎকালীন সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসারের নাম। যাদেরকে আসামি করার কথা তাদেরকে না করে আসামি করা হয়েছে অন্যদের। যা দুদকের ‘জাহালম-কা-’রই পুনরাবৃত্তি বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
উল্লেখ করা হয়েছে যে, ২০০৮ সংশোধিত ২১/১২/২০১৬ এর বিধি ১৬ এর উপবিধি ৫(ক) অনুযায়ী অভিযুক্তগণ বেআইনি কাজ করেছেন। তদন্ত কর্মকর্তার ভাষ্য, আসামিরা দরপত্র মূল্যায়ন করেছেন ২০১৪ সালের বিধান অনুসারে। অথচ পিপিআর বিশেষজ্ঞদের মতে, এ সংশোধিত বিধি এ মামলার ক্ষেত্রে কোনোভাবেই প্রযোজ্য নয়। কারণ, ২০০৮ সালের পিপিআর অনুসরণ করে ২০১৪ সালে সকল বিধিবিধান অনুসারে ক্রয় কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। তাহলে ২০১৬ সালের সংশোধিত বিধি দিয়ে ২০১৪ সালের সংঘটিত দরপত্র মূল্যায়ণ হলো কি করে? তদন্ত কর্মকর্তা অত্যন্ত চাতুর্যের সঙ্গে এই বিশ্লেষণ এড়িয়ে গেছেন। যা মামলার বিচারে আসামিদের হাতে ছাড় পাওয়ার হাতিয়ার তুলে দেবে।
শুধু কি তাই? ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ০৭/০৯/২০১৪ তারিখে ৩৫৮ নম্বর স্মারকে পাঠানো আইটেমওয়ারি চাহিদার প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ১৮/০৯/২০১৪ তারিখে ৬৪৯ নম্বর স্মারকে যে অর্থ বরাদ্দ/প্রশাসনিক অনুমোদন করে, সেটি মূল্যায়ণ কমিটির সভায় উপস্থাপন করা হয়নি। উপস্থাপিত হলে অবশ্যই তুলনামূলক পর্যালোচনা সাপেক্ষে বিষয়টি বিবেচনায় আনা হতো। বরাদ্দ মিলেছে কি মেলেনি, প্রশাসনিক অনুমোদন হয়েছে কি হয়নি-তা মূল্যায়ণ কমিটির জানার কথা নয়। তার চেয়েও বড় যে প্রশ্নটি তদন্তে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে, তা হলো আদৌ দুর্নীতি সংঘটিত হয়েছে কি-না। মূলত ওই কেনাকাটার জন্য কোনো অর্থই ছাড় হয়নি। কেনাকাটাও সম্পন্ন হয়নি। গুরুত্বপূর্ণ এই প্রশ্নও এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে। কারণ, এজাহারে স্পষ্টই বলা হয়, ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নামে অপ্রয়োজনীয় ও প্রাক্কলন ব্যতিত অবৈধভাবে উচ্চমূল্যে যন্ত্রপাতি ক্রয়ের মাধ্যমে সরকারের ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করা হয়। ‘আত্মসাতের চেষ্টা‘ এবং ‘আত্মসাত‘ কোনোভাবেই এক বিষয় নয়। দু‘টির ধারাও ভিন্ন। কোনো অর্থ লেনদেন হয়নি। সরবরাহকৃত মালামালের বিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ব্যয় মঞ্জুরী দেয়নি। ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে গৃহিত ইকুইপমেন্টের মূল্যও পরিশোধ করা হয়নি। অর্থাৎ যে ঘটনা সংঘটিতই হয়নিÑ সেই ঘটনায় দায়ের হলো মামলা। দাখিল করা হয়েছে চার্জশিটও।
এটিকে দাখিলকৃত চার্জশিটের বড় দুর্বলতা বলে উল্লেখ করেছেন অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র জেলা জজ ও দুদকের সাবেক মহাপরিচালক (লিগ্যাল) মো. মঈদুল ইসলাম। তিনি বলেন, কেনাকাটার ঘটনাটি যদি ২০১৪ সালে ঘটে থাকে, তাহলে ওই বছর পর্যন্ত যে বিধিবিধান বিদ্যমান ছিল এবং সেটি যদি লঙ্ঘিত হয়ে থাকে তাহলে সেটি বিবেচ্য বিষয় হওয়ার কথা। ওই ২০১৪ সালের ঘটনায় ২০১৬ সালে সংশোধিত পিপিআর এখানে প্রয়োগযোগ্য হয় কি করে? যদি হয়ে থাকে সেটিতো আসামিদের জন্য সুফল বয়ে আনবে। মামলাটি দুর্বল হয়ে যাবে।
এদিকে একই ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, পিপিআর হচ্ছে প্রসিডিউরাল ম্যাটার। ২০০৮ সালের পিপিআর যদি ২০১৬ সালে সংশোধন হয়ে থাকে তাহলে সেখানে নিশ্চয়ই কোনো না কোনো চেঞ্জ আছে। এ ক্ষেত্রে পুরোনো কেনাকাটাগুলো সংশোধিত বিধিতে কি হিসেবে চিহ্নিত হবে-তার ওপর একটা ক্লজ থাকার কথা। সেটি আছে কি না স্পষ্ট নয়। পুরোনো কেনাকাটাগুলো সংশোধিত পিপিআর-এ কিভাবে উল্লেখ রয়েছেÑ সেটির ওপর নির্ভর করে পিপিআর লঙ্ঘন হয়েছে কি হয়নি। বিষয়টি জটিল। তাই চার্জশিট দাখিলের আগে বিষয়টি আরো সতর্কভাবে খতিয়ে দেখার বিষয় রয়েছে। আলোচ্য চার্জশিটের ক্ষেত্রে সেটি দেখা হয়েছে কি না সেই প্রশ্ন থেকে যায়।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বিলুপ্তির পথে মাটির ঘর
চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
প্রতিবন্ধী স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ
কেরু চিনিকলে আখ মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন
বিহারিরা কেমন আছে
লক্ষ্মীপুরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি
আসাদ সরকারের পতন : নতুন সিরিয়ায় ইসরাইলি আগ্রাসন
মেটলাইফ বাংলাদেশের গ্রাহকরা ডিসকাউন্ট পাবেন ওশান প্যারাডাইস হোটেলস ও রিসোর্টে
১৫ নারী ও শিশুকে হস্তান্তর
আবাসন ও গার্মেন্ট খাতের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে
মেহেরপুরে বেড়েছে গরম কাপড় বিক্রি
কাশিয়ানীর হাট-বাজার নিষিদ্ধ পলিথিনে সয়লাব
অ্যানুয়াল বিজনেস কন্টিনিউয়িটি প্ল্যান ড্রিল ২০২৪ আয়োজন করলো ব্র্যাক ব্যাংক
সমস্যায় জর্জরিত আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
সবুজ গালিচায় হলুদের সমারোহ
আখাউড়ায় ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মেধা বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
নিউ ইয়র্কের আদালতে অভিযুক্ত লুইজি
কিউবায় সমাবেশ
ঈশ্বরদীতে দূর্বৃত্তের হামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আহত
থিনেস্ট স্বাস্থ্যের