মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আরো দুই-তিন মাস অপেক্ষা করতে হবে -অর্থ উপদেষ্টা
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম | আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম

মূল্যস্ফীতির প্রভাব কমতে আরও দুই-তিন মাস অপেক্ষা করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্র্বতী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। জুন মাস নাগাদ মূল্যস্ফীতি ৬-৭ শতাংশের ঘরে নেমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
গতকাল সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। উপদেষ্টা বলেছেন, বাড়তি মূল্যস্ফীতিতে মানুষ সমস্যায় রয়েছে, এটা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। তবে তা কমাতে ইতিমধ্যে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর প্রভাবে মূল্যস্ফীতি কমতে আরও দুই থেকে তিন মাস অপেক্ষা করতে হবে। ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকার আসন্ন রোজায় নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে আরও কিছু পদক্ষেপ নেবে। এসব উদ্যোগের ফলে আগামী জুন নাগাদ গড় মূল্যস্ফীতি ৬ থেকে ৭ শতাংশে নেমে আসবে বলে আশা করছে সরকার। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গত আড়াই বছরেরও বেশি সময় ধরে মাসভিত্তিক সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের উপরে রয়েছে। গত ডিসেম্বর মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশ। তবে একই সময়ে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ দশমিক ৯২ শতাংশ। গত জুলাই মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৪ দশমিক ১০ শতাংশে উঠেছিল।
এদিকে কমিটির বৈঠকে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে সাশ্রয়ী দামে বিক্রির জন্য ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৯৭ কেটি ৯২ লাখ টাকা। প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম ধরা হয়েছে ৯৭ টাকা ৯২ পয়সা। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ১০ হাজার টন মসুর ডাল (৫০ কেজির বস্তায়) কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারী ১ কোটি পরিবারের কাছে ভর্তুকি মূল্যে বিক্রির লক্ষ্যে ১০ হাজার টন মসুর ডাল ক্রয়ের জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ৩টি দরপ্রস্তাব জমা পড়ে। ৩টি দরপ্রস্তাবই কারিগরিভাবে ও আর্থিকভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপ্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসির সুপারিশে রেসপনসিভ সর্বনি¤œ দরদাতা প্রতিষ্ঠান নাবিল নবা ফুডস লিমিটেড এই ডাল সরবরাহ করবে। ৫০ কেজির বস্তায় প্রতি কেজি ৯৭ টাকা ৯২ পয়সা হিসেবে ১০ হাজার টন মসুর ডাল ক্রয়ে ব্যয় হবে ৯৭ কোটি ৯২ লাখ টাকা। জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মসুর ডাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ৮৮ হাজার টন। এ পর্যন্ত ক্রয় চুক্তি হয়েছে ১ লাখ ২২ হাজার ৯৫০ টন। এখন আরও ১০ হাজার টন কেনার অনুমোদন মিলল।
এছাড়া দেশের কৃষিখাতে ব্যবহারের জন্য এক লাখ ৪০ হাজার টন সার-ফসফরিক অ্যাসিড কিনবে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ৮৮৮ কোটি ১৯ লাখ ৯৩ হাজার কোটি টাকা। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় সউদী আরব থেকে দ্বিতীয় লটে ৪০ হাজার টন ডিএপি (ডাই এ্যামোনিয়াম ফসফেট) সার আমদানির প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। বিএডিসি থেকে সউদী আরব থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে ডিএপি সার আমদানি করা হবে। এর জন্য বর্তমান আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যে মোট ব্যয় হবে ২ কোটি ৪৪ লাখ ৪০ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ২৯৮ কোটি ১৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা। প্রতি টন ডিএপি সারের দাম পড়বে ৬১১ ডলার।
বৈঠকে কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো), বাংলাদেশের কাছ থেকে ১২তম লটে ৩০ হাজার টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ক্রয়ের একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতি টন ৩৮৯ দশমিক ৭৫ ডলার হিসেবে মোট ব্যয় হবে ১ কোটি ১৬ লাখ ৯২ হাজার ৫০০ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১৪২ কোটি ৬৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকা।
সৌদি আরব থেকে ১৬তম লটে ৩০ হাজার টন (১০ শতাংশ+) বাল্ক গ্র্যানুলার (অপশনাল) ইউরিয়া সার আমদানির আর একটি অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় কমিটি। প্রতি টন ৩৯৫ দশমিক ১৬ ডলার হিসেবে মোট ব্যয় হবে ১ কোটি ১৮ লাখ ৫৪ হাজার ৮০০ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১৪৪ কোটি ৬২ লাখ ৮৫ হাজার ৬০০ টাকা।
বৈঠকে চট্রগ্রামের ডিএপিএফসিএলের জন্য ২০ হাজার মেট্রিক টন (+১০ শতাংশ) ফসফরিক অ্যাসিড আমদানির একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। ডিএপি সার উৎপাদনের প্রধান কাঁচামাল ফসফরিক অ্যাসিড বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। মেসার্স সান ইন্টারন্যাশনাল এফজেডই, ইউএই এই ২০ হাজার টন ফসফরিক অ্যাসিড সরবরাহ করবে। প্রতি টন ফসফরিক অ্যাসিডের দাম ৬৩৩ দশমিক ৪২ ডলার। এ হিসেবে বাংলাদেশি মুদ্রায় মোট ব্যয় হবে ১৫২ কোটি ২ লাখ ৮ হাজার টাকা। সূত্র জানায়, চট্রগ্রামের ডিএপিএফসিএলের জন্য ২০ হাজার মেট্রিক টন (+১০শতাংশ) ফসফরিক অ্যাসিড আমদানির অপর একটি ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। মেসার্স সান ইন্টারন্যাশনাল এফজেডই, ইউএই এই সার সরবরাহ করবে। প্রতি টন ফসফরিক অ্যাসিডের দাম ৬১৭ দশমিক ৭৬ ডলার। এ হিসেবে ২০ হাজার টন ফসফরিক অ্যাসিড ক্রয়ে ব্যয় হবে ১৫০ কোটি ৭৩ লাখ ৩৪ হাজার ৪০০ টাকা।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

বেলিংহ্যামের লাল কার্ড,ফের রিয়ালের হোঁচট

হাইভোল্টেজ লড়াইয়ের আগে মারমুশের হ্যাটট্রিকে সিটির বড় জয়

একুশে টিভির জাহাঙ্গীর টাওয়ারে আগুন

পবিত্র শবে বরাত পালিত

৮ দিনে গ্রেফতার ৪৪০১

আশুলিয়ায় ঘরে জমাকৃত গ্যাসের আগুনে নারী ও শিশুসহ দগ্ধ ১১

জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চাই না : বিজেপি চেয়ারম্যান

সউদীর বাজারই একমাত্র ভরসা

৩৭৮ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ

ক্ষমতার চেয়ারে যারা বসে, তারা সহজে এটা ছাড়তে চায় না : দুদু

অন্তর্বর্তী সরকারের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু

কাল থেকে শুরু হচ্ছে বিজিবি-বিএসএফ সীমান্ত সম্মেলন

ব্যর্থ হলে জাতি ক্ষমা করবে না :আলী রীয়াজ

ছাত্র-তরুণরা ধ্বংসের মুখে থাকা দেশকে নতুনভাবে গড়ার সুযোগ দিয়েছে -ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জোনায়েদ সাকি

আগে জাতীয় নির্বাচন পরে স্থানীয় সরকার :মির্জা ফখরুল

হাসিনার রাজনীতির কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দিলো জাতিসংঘ

নতুন দেশ মানে নতুন নির্বাচন

রাজধানীতে দুই শিক্ষার্থীর অস্বাভাবিক মৃত্যু

কাগতিয়া দরবার শরীফে পবিত্র শবে বরাত মাহফিল উদযাপিত

হাদিদ গ্লোবাল লিমিটেডের এজিএম অনুষ্ঠিত