ঢামেকে রোগীদের ভোগান্তি
১৩ মার্চ ২০২৫, ১২:১০ এএম | আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২৫, ১২:১০ এএম

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বহির্বিভাগে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে ভোগান্তিতে পড়েছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও স্বজনরা। এ বিষয়ে জোর পদক্ষেপেরে কোন উদ্যোগ নেই সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষের। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে তারা কর্মবিরতি শুরু করেন।
চাঁদপুর থেকে ঢাকা মেডিকেলের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা কাউসার আহমেদ জানান, আমার পায়ের নখে একটি কাঠের টুকরা ঢুকেছে। তিন মাস আগে সেই নখে ইনফেকশন হয়। পরে অপারেশন করে নখটি কেটে ফেলতে হয়। চিকিৎসা নিতে বুধবার সকালে আবার এসেছি। এসে দেখি চিকিৎসা সেবা বন্ধ। টিকিট কাউন্টারে গিয়ে দেখি তারাও টিকেট দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এখানে এমন সেবাপ্রত্যাশী রয়েছে কয়েকশ।
মুন্সীগঞ্জ থেকে চিকিৎসা নিতে আসা দিলারা বেগম জানান, এত কষ্ট করে চিকিৎসা করাতে এসেছি মুন্সীগঞ্জ থেকে। এসে দেখি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা বন্ধ। এখান থেকে ওখানে পাঠায়, ওখান থেকে এখানে পাঠায়। আমার বাচ্চার একটা পা বাঁকা। এর আগে গত রোববার এসেছিলাম। বাচ্চা কান্নাকাটি করছে। এতদূর থেকে কি প্রতিদিন আসা যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কাউন্টারের এক কর্মচারী বলেন, সকাল থেকে এই ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মবিরতিতে যায়। তবে অন্যান্য চিকিৎসকরা তাদের চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু টিকিট কাউন্টারে এসে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা টিকিট দিতে নিষেধ করেন। টিকিট না দিলে চিকিৎসকরা কীভাবে চিকিৎসা দেবেন। আমারও কিছু করার ছিল না টিকিট দেওয়া বন্ধ করে দেই। টিকিট না থাকলে একজন চিকিৎসক চিকিৎসা দেবেন কীভাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইন্টার্ন চিকিৎসক জানান, পাঁচ দফা দাবিতে আমাদের কর্মবিরতি চলছে। সরকারকে এর আগেও অনেক সময় দেওয়া হয়েছে এবং তাদের সঙ্গে অনেকবার মিটিং হয়েছে। কিন্তু তারা আমাদের বিষয়টি মেনে নেননি। তাই আমরা কর্মবিরতি পালন করছি।
ইন্টার্ন চিকিৎসকদের পাঁচ দফা দাবি হলো-ডাক্তার পদবি ব্যবহার সংক্রান্ত রিট প্রত্যাহার, মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টদের বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন বন্ধ করা। যা ২০১০ সালে বিগত সরকার দিয়ে গেছে। উন্নত বিশ্বের মান অনুযায়ী ওটিসি ড্রাগ আপডেট করা। রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ফার্মেসিতে ওষুধ ক্রয়-বিক্রয় আইনত দ-নীয় অপরাধ হিসেবে ঘোষণা। স্বাস্থ্যখাতে চিকিৎসক সংকট নিরসনে দ্রুত শূন্যপদে ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ এবং আলাদা স্বাস্থ্য কমিশন গঠনপূর্বক ৬ষ্ঠ গ্রেডে চাকরি প্রবেশপথ তৈরি। প্রতিবছর চার থেকে পাঁচ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ করে চাহিদার ভারসাম্য বজায় রাখা। চিকিৎসকদের বিসিএসের বয়সসীমা ৩৪-এ উন্নীত করা। বেকার তৈরির কারখানা সব ম্যাটস প্রতিষ্ঠান এবং মানহীন মেডিকেল কলেজ বন্ধ ঘোষণা। তবে এরই মধ্যে শিক্ষাধীন ম্যাটস শিক্ষার্থী এবং ডিএমএফ গণের প্যারামেডিকস হিসেবে পদায়নের ব্যবস্থা করা। এ ছাড়াও ঝঅঈগঙ পদবি বাতিল করে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট পদবি ব্যবহার চালু। এটি ডাক্তার শব্দের সমার্থক হিসেবে জনগণকে ধাঁধায় ফেলে দেয়। চিকিৎসকদের কর্মস্থলের নিরাপত্তায় চিকিৎসক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও দ্রুত বাস্তবায়ন করা।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

চেক ডিজঅনার : সাকিব আল হাসানের সম্পদ ক্রোকের আদেশ

বিগত স্বৈরতন্ত্রের সংবিধানের বদল হতেই হবে

বাংলাদেশ-চায়না চেম্বারে প্রশাসক নিয়োগ

ডিমের লোকসান ঘোচাতে স্বল্প সুদে ঋণসহ ৬ প্রস্তাব

লিপি খান ভরসার হাইকোর্টে জামিন

ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া নিলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে : সাইফুল আলম

পাঁচ দফা দাবি : নাটোরে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের কর্মকর্তাদের মানববন্ধন

বাউবিতে বেগম জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া ও ইফতার বিতরণ

স্ত্রীসহ মির্জা আজমের সম্পদ জব্দ, ৩১ ব্যাংক হিসাবে ৩ কোটি টাকা অবরুদ্ধ

নেত্রকোনায় পাহারাদারকে হত্যা করে গরু লুট : আরো ৫ ডাকাত গ্রেফতার

দেবিদ্বারে সাংবাদিক সমিতির কমিটি গঠন

ভূমি সচিবকে হুমকি দিলেন নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা সুজন মোল্যা

যারা লুটপাট করে তাদেরকে জনপ্রতিনিধি হিসেবে

ঢাবি সাংবাদিক সমিতির নতুন সাধারণ সম্পাদক মাহাদী হাসান

আমরা দেশপ্রেমিক সেনাদের ভালোবাসি -হাসনাত

জরুরি অবস্থা জারির বিষয়টি গসিপ -স্বরাষ্ট্রসচিব

মাদারীপুরে শ্রমিকদল সভাপতিকে হত্যা

খুলনায় গৃহবধূকে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ৩

হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে ট্রাইব্যুনালের সামনে শহীদ পরিবারের বিক্ষোভ

অগ্নিকা-ের ঘটনার কারণ অনুসন্ধান ও পুনরাবৃত্তিরোধে তদন্ত কমিশন গঠন করতে হবে : গোলাম পরওয়ার