প্রকল্প পরিচালক লাপাত্তা
১৪ মার্চ ২০২৫, ১২:৩০ এএম | আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২৫, ১২:৩০ এএম

ফ্যাসিষ্ট আগওয়ামী লীগ সরকারের আমলে শুরু থেকে অনিয়মের অভিযোগ ওঠা প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পটি এখনও পথেই রয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের। ২০২০ সালে শুরু হওয়া পাঁচ বছরের প্রকল্পে এরই মধ্যে অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে তিন পরিচালক বদল করা হলেও শৃঙ্খলা ফেরেনি। দুই উপপ্রকল্প পরিচালকের কক্ষে নতুন দু’জনকে বসানো হয়েছে। অথচ দুই প্রকল্প পরিচালককে এখনও নিয়ম অনুযায়ী বদলি কিংবা অব্যাহতি দেওয়া হয়নি। আর নতুন যে দুই কর্মকর্তা অফিস করছেন, তারাও প্রকল্পে নিয়োগের কোনো নির্দেশনা পাননি।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পে চতুর্থবারের মতো পরিচালক বদল করা হয়। নতুন নিয়োগ পান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের নারায়ণগঞ্জের কৃষি প্রকৌশলী মঞ্জুর-উল-আলম। পরদিন ১৬ ফেব্রুয়ারি তিনি চেয়ারে বসেই তুলকালাম কা- করে বসেন। কোনো সরকারি আদেশ ছাড়াই প্রকল্পের দুই উপপ্রকল্প পরিচালকসহ পাঁচ কর্মকর্তাকে অফিসছাড়া করেন। গত ২০২০ সালে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্প পরিচালক ছিলেন বেনজীর আলম। সেই সময় থেকেই নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। তখন তাঁকে উল্টো পদোন্নতি দিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক করা হয়। এর মাস ছয়েক পর নতুন প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্ব পান তারিক মাহমুদুল ইসলাম। পরে তাঁকে সরিয়ে মোহাম্মদ সফিউজ্জামানকে প্রকল্প পরিচালক করা হয়। গত ডিসেম্বরে তারিক মাহমুদুলসহ সংশ্লিষ্ট আট কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে কৃষি মন্ত্রণালয়। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মোহাম্মদ সফিউজ্জামানের স্থলাভিষিক্ত হন কৃষি প্রকৌশলী মঞ্জুর-উল-আলম। পরদিন তিনি চেয়ারে বসেই উপপ্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম শেখ, উপপ্রকল্প পরিচালক আলতাফুন নাহার, সিনিয়র মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন অফিসার মুহাম্মদ কুরবান আলী, মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন অফিসার আফছার আহমেদ রাজিন ও মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন অফিসার জুলফিকার আলী ভুট্টোর কক্ষের নামফলক খুলে ফেলেন। অভিযোগ রয়েছে, কর্মকর্তাদের কাছ থেকে তাদের কক্ষের চাবি নিয়ে অফিস ত্যাগ করার নির্দেশ দেন প্রকল্প পরিচালক। এদিকে পাঁচ কর্মকর্তাকে অফিস কক্ষ থেকে বের করে দেওয়ার কয়েক দিন পর দুই উপপ্রকল্প পরিচালকের কক্ষে নতুন দু’জনকে বসানো হয়েছে। অথচ দুই প্রকল্প পরিচালককে এখনও নিয়ম অনুযায়ী বদলি কিংবা অব্যাহতি দেওয়া হয়নি। আর নতুন যে দুই কর্মকর্তা অফিস করছেন, তারাও প্রকল্পে নিয়োগের কোনো নির্দেশনা পাননি।
এ বিষয়ে সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের পরিচালক মঞ্জুর-উল-আলম বলেন, আমি কাউকে জোর করে রুম থেকে বের করিনি। কর্মকর্তাদের বলেছি, অফিস শেষে চাবি যেন আমার কাছে রেখে যান। কারণ, হঠাৎ করে কোনো কাগজপত্রের দরকার হতে পারে। এ ছাড়া সব কক্ষেই নতুন নামফলক লাগানো হবে। ফলে পুরোনো নামফলক খুলে নেওয়া হয়েছে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

চ্যাম্পিয়ন বিকেএসপি

‘বিদেশি’ আনছে ভারতও!

কর্ণফুলীতে বন্যহাতির আক্রমণে শিশুর মৃত্যু

কিশোরগঞ্জে স্কুল ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে সংঘর্ষে ছাত্রদল নেতা নিহত

ঝিনাইদহে জমে উঠেছে ঈদের বাজার ক্রেতাদের ঝোঁক দেশি পোশাকে

সুশীল বিপ্লবীরা আ.লীগের পুনর্বাসন করতে চায় : রাশেদ খান

ধানমন্ডিতে নিষিদ্ধ হিজবুত তাহরীরের ৭ সদস্য রিমান্ডে

সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ৯০% ভোট পেয়ে বিএনপি জয়লাভ করবে : কায়কোবাদ

আপন চাচাতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে ৪ বছরের বোনকে ধর্ষণের অভিযোগ

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত জনগণই নেবে : মাহমুদুর রহমান মান্না

টিভিতে দেখুন

অমর একুশে হল ছাত্রদলের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

বিশ্বকাপে এক পা আর্জেন্টিনার

মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়ায় হাফেজ ছেলের উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে নামাজরত অবস্থায় বাবা নিহত

‘‘রাম্বল ইন দ্য জাঙ্গল’ কিংবদন্তি জর্জ ফোরম্যান আর নেই

বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধভাবে ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে : নাসিরউদ্দীন পাটোয়ারী

৬ এপ্রিল ক্যাম্পে ফিরছেন সাবিনারা

আর্জেন্টিনা ম্যাচে ‘বেকার’ আলিসনও

ইউট্যাবের ইফতার মাহফিলে খালেদা জিয়ার সুস্থতার কামনা

কুস্তির কমিটি নিয়ে ক্ষোভ অব্যহত