এনআইডি সংশোধনের ঝুলে থাকা ৪ লাখ আবেদন সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিষ্পত্তি করবে ইসি

Daily Inqilab স্টাফ রিপোর্টার

২৪ মার্চ ২০২৫, ০৩:২৯ এএম | আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২৫, ০৩:২৯ এএম

এনআইডি সংশোধনের ঝুলে থাক ৪ লাখ আবেদন আগামী ৬ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর। গতকাল নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
এ এস এম হুমায়ুন কবীর বলেন, আমরা ৩ লাখ ৭৮ হাজারের একটা আবেদন তিন মাসের ক্র্যাশ প্রোগ্রামের মাধ্যমে শেষ করার একটি বিষয় আপনাদের বলেছিলাম। তারপর আমাদের একটা প্রক্রিয়া ছিল। সেগুলো শেষ করে যখন আমরা কাজ শুরু করতে যাই তখন ২৯ ডিসেম্বর। ইতোমধ্যে আড়াই মাস পার হয়ে গেছে। গত ১৬ মার্চ পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী আমরা আগের আবেদনসহ দুই লাখ ৭৮ হাজার আবেদন শেষ করতে পেরেছিলাম। এরপর আমাদের কাছে আরও ৩ লাখ ২ হাজার আবেদন জমা পড়ে। এ নিয়ে এখন পেন্ডিং আবেদন আছে ৪ লাখের মতো যা আগামী ৬ মাসের মধ্যে শেষ করব।
এনআইডি সংশোধনের ধীরগতির কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, মাঠে এখন ভোটার নিবন্ধনের কাজ চলছে। অফিসাররা এ কাজে বেশ ব্যস্ত। ২২ মার্চ পর্যন্ত ৪৭ লাখ ৫৪ হাজার ভোটারের নিবন্ধন হয়েছে। ভোটার নিবন্ধনের কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে কর্মকর্তারা এনআইডি আবেদনের কাজে মন দিতে পারেননি। ভোটার নিবন্ধনের কাজ শেষ হবে ৫ মে। সে পর্যন্ত পর্যন্ত ব্যস্ত অফিসাররা। এই ব্যস্ততার কারণে এনআইডি সংশোধনে মনোযোগ দিতে পারিনি। এই জন্য সিদ্ধান্ত হয়েছিল যে, আগে ভোটার নিবন্ধনের কাজ শেষ হোক। যখন ভোটার নিবন্ধনের কাজটা কমে আসবে তখন আমরা পুরো মনোযোগ সেখানে দিতে পারব।
চলামান এনআইডির ক্রাশ প্রোগ্রামের বিষয়ে তিনি বলেন, এরই মধ্যে আমরা ২ লাখ ৭৮ হাজার আবেদনের কাজ শেষ করায় আমাদের আত্মবিশ্বাস জন্মেছিল যে জুনের মধ্যে কাজটা শেষ করতে পারব। এর মধ্যে যেসব আবেদন জমা পড়বে, তার কিছু হয়তো থেকে যাবে। কারণ আমরা জনবল বাড়াতে পারব না।
এ এস এম হুমায়ুন কবীর বলেন, যে গতিতে আবেদন নিষ্পত্তি হচ্ছে, আমার কেন জানি মনে হচ্ছে এই গতিতে কাজ হলে আমরা জনভোগান্তি কমাতে পারব। জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চে ক্রাশ প্রোগ্রাম শেষে ১ লাখ আবেদন সংশোধন করতে পারি। আমরা অনুমান করছি, কাছাকাছি সংখ্যার আবেদন আমরা শেষ করতে পারব। এনআইডি সংশোধনের জন্য কাঠামোবদ্ধ কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রতিবেদন তৈরিতে আমরা তিনটি ক্যাটাগরিতে ছক তৈরি করেছি। একটি ছক বিদেশে থেকে ভোটার হচ্ছেন এমন মানুষের জন্য, আরেকটি ছক চাকরিজীবীদের জন্য এবং তৃতীয় ছকটি সাধারণ মানুষর জন্য। প্রত্যেক জেলা-উপজেলায় যেন নিয়মিত এনআইডি আবদেন সংশোধনের প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করা যায়, সেই সিস্টেম ডেভেলপ করা হচ্ছে। এনআইডি সংশোধনের কাজে আর্থিক লেনদেনে অভিযোগ এসেছে কি না জানতে চাইলে এনআইডি ডিজি বলেন, কিছু কিছু জায়গায় এই চক্র কাজ করছে। কেউ কেউ টাকা-পয়সা নিয়েছে এমন আবেদনও আমি পেয়েছি। এ ক্ষেত্রে আমরা ডিবিকে কাজে লাগিয়েছি এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। ঠাকুরগাঁয়ে আমাদের একজন ডাটা এন্ট্রি অপারেটরকে ধরা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। নরসিংদীতে দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। সর্বশেষ হালনাগাদ অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে মোট ভোটার সংখ্যা দাঁড়াল ১২ কোটি ৩৭ লাখ ৩২ হাজার ২৭৪ জন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ চলমান রয়েছে। এতে আরো প্রায় ৫৭ লাখ ভোটার আগামী জুনে তালিকায় যুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে ইসি।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

গণহত্যার বিচার ও আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধ করে জাতীয় সরকার গঠনের দাবী জুলাই মঞ্চের
আসামিদের গ্রেপ্তারে অনুমতি আদেশ চ্যালেঞ্জ, হাইকোর্টে রিট
নারী চিকিৎসক দিয়ে নারীর মরদেহের ময়নাতদন্ত কেন নয়: হাইকোর্ট
শিক্ষার্থী ফাইয়াজের মামলার তদন্ত দ্রুত শেষ করার আহ্বান আইন উপদেষ্টার
মার্কিন শুল্কে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এক হাজার পোশাক কারখানা, মালিকদের শঙ্কা
আরও
X

আরও পড়ুন

গণহত্যার বিচার ও আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধ করে জাতীয় সরকার গঠনের দাবী জুলাই মঞ্চের

গণহত্যার বিচার ও আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধ করে জাতীয় সরকার গঠনের দাবী জুলাই মঞ্চের

আসামিদের গ্রেপ্তারে অনুমতি আদেশ চ্যালেঞ্জ, হাইকোর্টে রিট

আসামিদের গ্রেপ্তারে অনুমতি আদেশ চ্যালেঞ্জ, হাইকোর্টে রিট

লাঞ্চের পর বৃষ্টির বাগড়া

লাঞ্চের পর বৃষ্টির বাগড়া

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদ জানালো ফুলকুঁড়ি আসর তারার মেলা

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদ জানালো ফুলকুঁড়ি আসর তারার মেলা

শেরপুরে আড়াই শ’ বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ- “মাইসাহেবা মসজিদ”

শেরপুরে আড়াই শ’ বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ- “মাইসাহেবা মসজিদ”

নারী চিকিৎসক দিয়ে নারীর মরদেহের ময়নাতদন্ত কেন নয়: হাইকোর্ট

নারী চিকিৎসক দিয়ে নারীর মরদেহের ময়নাতদন্ত কেন নয়: হাইকোর্ট

লক্ষ্মীপুরে দুর্বৃত্তের দেওয়া আগুনে পুড়ে মরলো ৩ গরু

লক্ষ্মীপুরে দুর্বৃত্তের দেওয়া আগুনে পুড়ে মরলো ৩ গরু

মাগুরায় মা সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা

মাগুরায় মা সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা

শিক্ষার্থী ফাইয়াজের মামলার তদন্ত দ্রুত শেষ করার আহ্বান আইন উপদেষ্টার

শিক্ষার্থী ফাইয়াজের মামলার তদন্ত দ্রুত শেষ করার আহ্বান আইন উপদেষ্টার

মার্কিন শুল্কে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এক হাজার পোশাক কারখানা, মালিকদের শঙ্কা

মার্কিন শুল্কে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এক হাজার পোশাক কারখানা, মালিকদের শঙ্কা

ঢাকায় তৎপর ‘র’! জুলকারনাইন এর চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস!

ঢাকায় তৎপর ‘র’! জুলকারনাইন এর চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস!

ভবেশের মৃত্যুতে ভারতের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান বাংলাদেশের

ভবেশের মৃত্যুতে ভারতের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান বাংলাদেশের

শার্শায় দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাই, আটক ২

শার্শায় দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাই, আটক ২

সার্বজনীন না করে সেকুলার নারীদের দিয়ে কমিশন গঠন করায় একটা ক্যাচাল তৈরি হয়েছে  : রাশেদ খান

সার্বজনীন না করে সেকুলার নারীদের দিয়ে কমিশন গঠন করায় একটা ক্যাচাল তৈরি হয়েছে : রাশেদ খান

আশুলিয়ার শীর্ষ সন্ত্রাসী জিয়া দেওয়ান পিস্তলসহ গ্রেফতার

আশুলিয়ার শীর্ষ সন্ত্রাসী জিয়া দেওয়ান পিস্তলসহ গ্রেফতার

ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে ফের বৈঠকে বিএনপি

ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে ফের বৈঠকে বিএনপি

বিতর্কিত ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে ভারতে মুসলিমদের ব্যাপক বিক্ষোভ

বিতর্কিত ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে ভারতে মুসলিমদের ব্যাপক বিক্ষোভ

আশুলিয়ায় নারী পোশাক শ্রমিককে হত্যার পর ঘরে আগুন, স্বামী পলাতক

আশুলিয়ায় নারী পোশাক শ্রমিককে হত্যার পর ঘরে আগুন, স্বামী পলাতক

রাজধানীতে যুবদল নেতাকে গুলি, অবস্থা আশঙ্কাজনক

রাজধানীতে যুবদল নেতাকে গুলি, অবস্থা আশঙ্কাজনক

আজ সন্ধ্যায় স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন পেশ

আজ সন্ধ্যায় স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন পেশ