শুল্ক যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে হারিয়ে দিচ্ছে চীন!

রাশিয়া-চীন সম্পর্ক ইতিহাসের সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে : পুতিন

শুল্ক যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে হারিয়ে দিচ্ছে চীন!

ইনকিলাব ডেস্ক

১০ মে ২০২৫, ১২:২০ এএম | আপডেট: ১০ মে ২০২৫, ১২:২০ এএম

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অভূতপূর্ব শুল্ক যুদ্ধের মধ্যেও চীন এপ্রিল মাসে প্রত্যাশার চেয়েও শক্তিশালী রপ্তানি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, যা সপ্তাহান্তে সুইজারল্যান্ডে তাদের মার্কিন সমকক্ষের সাথে আলোচনায় চীনা আলোচকদের আরও সুবিধা প্রদান করতে পারে। গতকাল শুল্ক তথ্যে দেখা গেছে যে চীনের এপ্রিল মাসে রপ্তানি বাজারের প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে গেছে এবং ৮.১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৩১৫.৬৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, যেখানে মার্চ মাসে ১২.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল।

তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি ২১ শতাংশ কমেছে, যা গত ২১ মাসের মধ্যে সবচেয়ে তীব্র পতন, যেখানে মার্চ মাসে ৯.০৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল। ‘রপ্তানির তথ্য একটি আশ্চর্যজনক এবং আমার অনুমান ২ থেকে ৩ শতাংশ বৃদ্ধির চেয়ে অনেক বেশি,’ ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের সিনিয়র চীনা অর্থনীতিবিদ জু তিয়ানচেন বলেছেন, তিনি আরও বলেন যে মার্কিন শুল্কের সম্পূর্ণ প্রভাব এখনও তথ্যে দৃশ্যমান নাও হতে পারে তবে চীনের উপকূলীয় শহরগুলির ছোট ব্যবসাগুলি ইতিমধ্যেই চাপ অনুভব করছে। ইউরেশিয়া গ্রুপের চীন পরিচালক ড্যান ওয়াং একমত পোষণ করেছেন যে শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি ‘বেশ অপ্রত্যাশিত’। তিনি বলেন যে মার্কিন শুল্ক চীনা উৎপাদনের উপর চাপ সৃষ্টি করবে বলে আশা করা হলেও, তারা আসলে চীনা মধ্যবর্তী পণ্যের চাহিদায় স্বল্পমেয়াদী বৃদ্ধি তৈরি করেছে।

এদিকে, চীনা নেতা শি জিনপিংয়ের সাথে যৌথ দলিল স্বাক্ষরের পর রাশিয়া-চীন সম্পর্ক ইতিহাসের সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। ‘আমাদের সাধারণ বীরত্বপূর্ণ অতীত এবং যুদ্ধ ভ্রাতৃত্ব রাশিয়া-চীন সম্পর্কের উন্নয়ন এবং শক্তিশালীকরণের জন্য একটি দৃঢ় ভিত্তি প্রদান করে। আমাদের সম্পর্ক ইতিহাসের সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে। তারা স্বয়ংসম্পূর্ণ কারণ তারা অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক কারণের উপর বা বর্তমান আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে না,’ পুতিন উল্লেখ করেছেন।

তার মতে, রাশিয়া ও চীনের মধ্যে ব্যাপক অংশীদারিত্ব এবং কৌশলগত সহযোগিতা ‘আমাদের দেশ ও জনগণের মধ্যে সমতা, পারস্পরিক সহায়তা এবং সমর্থন ও অটুট বন্ধুত্ব’ এর অটল নীতির উপর ভিত্তি করে। ‘আমি উল্লেখ করতে চাই যে শি জিনপিং এবং আমি রাশিয়া-চীন অংশীদারিত্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলিকে ব্যক্তিগত নিয়ন্ত্রণে রেখেছি এবং চালিয়ে যাব, দ্বিপাক্ষিক এবং আন্তর্জাতিক উভয় ক্ষেত্রেই সহযোগিতা আরও গভীর করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি,’ পুতিন জোর দিয়ে বলেছিলেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, বৃহস্পতিবারের আলোচনায়, পক্ষগুলি রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতা, অর্থনৈতিক সম্পর্ক এবং সাংস্কৃতিক ও মানবিক বিনিময়ের বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আলোচনা করেছে, একটি চিত্তাকর্ষক নথিপত্র স্বাক্ষর করেছে।

‘শি জিনপিং এবং আমি যে যৌথ বিবৃতিটি গ্রহণ করেছি তা উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য নির্ধারণ করে। লক্ষ্যগুলির মধ্যে একটি হল ২০৩০ সালের মধ্যে রাশিয়া-চীন বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতায় পরিমাণগত অগ্রগতি নিশ্চিত করা, উচ্চ প্রযুক্তির পণ্যের অংশ বৃদ্ধি করে, ডিজিটাল বাণিজ্যের উদ্ভাবনী পদ্ধতি বিকাশ করে, একে অপরকে মৌলিক উপকরণ, খনিজ সম্পদ এবং কৃষি পণ্য সরবরাহ করে অর্থনৈতিক সম্পর্কের কাঠামো উন্নত করা,’ রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট উপসংহারে বলেন। সূত্র : এসসিএমপি, তাস।

বিভাগ : জাতীয়