চুয়াডাঙ্গায় আবারো দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস

চুয়াডাঙ্গায় জেলা সংবাদদাতা

১০ মে ২০২৫, ০১:০৮ এএম | আপডেট: ১০ মে ২০২৫, ০১:০৮ এএম

চুয়াডাঙ্গায় একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস বেড়ে গিয়ে আবারো দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। একদিনের ব্যবধানে গতকাল শুক্রবার তাপমাত্রা বেড়েছে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রী। তীব্র তাপ প্রবাহের কবলে গোটা জেলার মানুষের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে। তবে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্র জানিয়েছে বর্তমানে তীব্র তাপ প্রবাহ বয়ে গেলেও চলতি মাসের শেষের দিকে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে।

চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান জানান, গতকাল বেলা ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ২৪ শতাংশ। সন্ধ্যা ৬টায় একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হলেও তখন বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৪৬ শতাংশ। দুপুর ১২টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৩৩ শতাংশ।

তিনি আরও জানান, ১ সপ্তাহ আগে গত শুক্রবার বেলা ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল, বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৩৮ শতাংশ। শনিবার বেলা ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৫ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৫৪ শতাংশ, সোমবার বেলা ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৫ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৫৪ শতাংশ। বুধবার দুপুর ১২ টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৫৮ শতাংশ। ৪ ও ৬ মে তাপমাত্রা কম থাকায় এ দু’দিন রেকর্ড করা হয়নি। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৪০ শতাংশ, এদিন বেলা ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৩৪ শতাংশ এবং সন্ধ্যা ৬টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৫১ শতাংশ।

চুয়াডাঙ্গা শহরের কোর্ট এলাকায় যশোর-খুলনাগামী পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার ঝুনা বলেন, এত পরিমাণ গরম অনূভুত হচ্ছে যে ফ্যানের বাতাসেও গরম অনুভূত হচ্ছে, বসে থেকে কাজ করা যাচ্ছেনা। যাত্রীবাহী বাস চালক আতিকুর জানান, গত রোজার পর থেকে তীব্র গরমে বাসে যাত্রী হচ্ছেনা। বাস চালিয়ে তেলের টাকা উঠছে না। গরমে যাত্রী কমে গেছে। রিক্সাচালক শফি বলেন, ভোর থেকে রিক্সা চালানো শুরু করি। কিন্তু গরমে যাত্রী হচ্ছেনা। যাত্রীদের অপেক্ষায় বসে থাকলেও শরীর ঘেমে যাচ্ছে। বসে থাকাও দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইজিবাইক চালক রমজান জানান, গাড়ী আছে যাত্রী নেই। গরমে যাত্রী কমে গেছে। আগে ১১-১২ শ’ টাকা ভাড়া হতো, এখন ৩-৪’শ টাকা হচ্ছে। ওয়েল্ডিং মিস্ত্রী রহমান বলেন, গরমে জামাকাপড় খুলে রেখে কাজ করতে হচ্ছে। গরমে কাজ করতে খুবই সমস্যা হচ্ছে।

বিভাগ : জাতীয়