মানবাধিকার কমিশনের নেতৃত্বে মেরুদণ্ডহীন ভালো মানুষের দরকার নেই :ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম | আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নেতৃত্বে মেরুদ-হীন ভালো মানুষের দরকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। গতকাল রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম আয়োজিত ‘খসড়া জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ-২০২৫’ শীর্ষক আলোচনায় তিনি অংশ নেন। আলোচনায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘বিগত সময়ে বাংলাদেশ নখদন্তহীন ও মেরুদ-হীন মানবাধিকার কমিশন পেয়েছে। এবার যেন সেই ভুল আর না হয়। তিনি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে ড. ফখরুউদ্দিন আহমেদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় এই আইনের খসড়া তৈরি হয়। পরবর্তীতে সেই আইনের ভিত্তিতেই কমিশন গঠিত হয় এবং একাধিক চেয়ারম্যান নিয়োগ পান। তবে ২০২৪ সালের ৭ নভেম্বর প্রফেসর ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কমিশনটি বাতিল করে দেয়। এর ফলে প্রায় এক বছর ধরে দেশে মানবাধিকার কমিশন নেই, যদিও এ সময়ে অন্যান্য কমিশন গঠন করা হয়েছে।
ড. দেবপ্রিয় বলেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নামে অতীতে যে কমিশনগুলো গঠন করা হয়েছে, তা ছিল কার্যত নখদন্তহীন। যাদের কোনো কার্যক্ষমতা নেই, কোনো কামড় দেওয়ার ক্ষমতা নেই। আমরা সেই রকম কমিশন চাই না। আমরা চাই একটি শক্তিশালী কমিশন, যা মানুষের অধিকার রক্ষায় সত্যিকার অর্থে ভূমিকা রাখতে পারবে।
তিনি বলেন, নতুন কমিশনের নেতৃত্বে এমন কাউকে বসানো যাবে না, যিনি মেরুদ-হীন ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত। আমাদের প্রয়োজন সৎ, নীতিবান ও সাহসী মানুষ, যারা প্রয়োজনে সরকারের সঙ্গেও লড়াই করতে পারবে। আলোচনায় অংশ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, অতীতে মানবাধিকার কমিশন অনেক ক্ষেত্রে কাজ করলেও পার্বত্য চট্টগ্রামের মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি। খসড়া আইনে সেই দিকটি উপেক্ষিত মনে হচ্ছে।
তিনি সমালোচনা করে বলেন, নতুন খসড়ায় দ্বৈত নাগরিকত্ব বাদ দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে এবং আমলাদের নিয়োগ দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে, যা প্যারিস চুক্তির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
আলোচনায় বাংলাদেশ রিফর্ম ওয়াচ-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রস্তাবিত খসড়ায় দুটি মূল লক্ষ্য রয়েছে দুটি। এক- আন্তর্জাতিক মানদ-ে কমিশনের গঠন, স্বাধীনতা ও কার্যপরিধি বিশ্লেষণ। দুই- খসড়াকে আরও কার্যকর করার জন্য পরামর্শ দেয়া, যাতে কমিশন নির্ভরযোগ্য অনুসন্ধানী ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে এবং ভুক্তভোগী ও সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় বাস্তব পদক্ষেপ নিতে পারে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
কিছু দল নির্বাচন বিলম্বিত করে ক্ষমতার স্বাদ নিতে চায়: মেজর হাফিজ
আইন ভাঙায় জরিমানা দিতে বাধ্য হলেন কাতারের আমির
জি-২০ সম্মেলন বয়কট করছে যুক্তরাষ্ট্র
গাঁজা বিক্রি নিষেধ করায় খুন
ফরাসী নাগরিকদের জরুরী ভিত্তিতে মালি ত্যাগের পরামর্শ
অনুষ্ঠিত হলো উদ্ভাবন, নীতি ও সহযোগিতাকে কেন্দ্র করে ৫ম বাংলাদেশ ফিনটেক সামিট
স্বাস্থ্যের মিঠু চক্র এখনো সক্রিয়, মানি লন্ডারিং মামলা থেকে রেহাই পেতে সিআইডির কর্মকর্তাদের ম্যানেজের চেষ্টা
ধামরাইয়ে আওয়ামী লীগের ৩ নেতা গ্রেপ্তার
ঈশ্বরদীতে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিশাল বর্ণাঢ্য র্যালি
কালীগঞ্জে বিএনপির সমাবেশ ও বর্ণাঢ্য র্যালি
খালেদা জিয়ার আসনে এবার প্রার্থী না দেওয়ার ঘোষণা গণঅধিকার পরিষদের
বগুড়ায় আরডিএ’র নিয়োগ জালিয়াতি, রিমান্ডের জিজ্ঞাসাবাদে দুই চাকরি প্রার্থী
প্রাথমিক শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করা প্রসঙ্গে যা বলছে পুলিশ
ড্রোন সাফল্যের পর এবার নৌ প্রতিরক্ষায় বড় চমক দেখাতে পারে ইরান
আয়না ঘর সৃষ্টি করে হাজার-হাজার নেতাকর্মী হত্যা করা হয়েছে : খায়ের ভূঁইয়া
ই-পেমেন্ট সিস্টেম চালু করতে ইসলামী ব্যাংকের সাথে ইবির চুক্তি স্বাক্ষর
হিন্দু-মুসলমান ভাই ভাই, ধানের শীষে ভোট চাই : মির্জা ফখরুল
কিশোরগঞ্জে নিরাপদ খাদ্য আইনে অভিযান; ৪ লাখ টাকা জরিমানা
ময়মনসিংহে নিষিদ্ধ আ.লীগ–যুবলীগের তিন নেতা গ্রেপ্তার
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কিংবা প্রশাসন যেন কোনো রাজনৈতিক দলের কাছে নতি স্বীকার না করে
