ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১
‘নিয়ন্ত্রণহীন বাজার’ সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির দাবি-রমজান মাসে নতুন করে পণ্যমূল্য বাড়বে না রাজধানীর বাজারগুলোতে গরু-খাসির গোশত ও ব্রয়লার মুরগি বিক্রয় কমে গেছে

রোজার আগেই পণ্যমূল্যে দিশেহারা

Daily Inqilab স্টাফ রিপোর্টার

১১ মার্চ ২০২৩, ১২:১৬ এএম | আপডেট: ০১ মে ২০২৩, ১২:১৪ এএম

দু’সপ্তাহ পর শুরু হবে পবিত্র মাহে রমজান। অথচ রোজার আগেই বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম হু হু করে বেড়েই চলেছে। এমনিতেই সাধারণ পেশাজীবীদের আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি। জমানো পুঁজি ভেঙ্গে, ধার-দেনা ও ঋণ করে টানাপড়েনে সংসার চালাচ্ছেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে অনেক আগেই। তার মধ্যে রোজার আগে যে হারে দাম বাড়ছে তাতে শেষ পর্যন্ত আকাশছোঁয়া এই দাম কোথায় গিয়ে থামবে, তা নিয়েই যত চিন্তা মধ্যবিত্ত, দরিদ্র ও নিম্নবিত্ত মানুষের। গতকাল শুক্রবার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, নতুন করে বেশ কয়েকটি পণ্যের দাম বেড়েছে। অন্যদিকে আগে থেকে বাড়তি চিনি, তেল, আটা-ময়দা, মাছ, গোশতের দাম। সরকারের বেঁধে দেয়া দামে কোনো পণ্যই পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ পেশাজীবীরা বলছেন, তাদের আয় বাড়েনি অথচ খরচ বেড়েছে। এখন রমজানে নতুন করে পণ্যমূল্য বাড়লে তাদের জন্য ইফতার-সেহরির খাদ্য সংগ্রহ কঠিন হয়ে পড়বে। শুধু তাই নয়, রমজান মাসে সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে এ আস্থা মানুষের মধ্যে নেই।

এ প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি দাবি করেছেন, রমজানে কোনো পণ্যের ঘাটতি নেই। পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। রমজানে নতুন করে পণ্যমূল্য বাড়বে না। তবে আমদানিনির্ভর পণ্যের বাজারদর নির্ভর করছে আন্তর্জাতিক বাজারদরের ওপর। সেক্ষেত্রে দেশীয় বাজার পরিস্থিতি কেমন হবে তা সময়ই বলে দেবে। তবে রমজানে কেউ পণ্যের অবৈধ মজুত করে দাম বাড়িয়ে দিলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পবিত্র রমজান মাসে রোজাদারদের ইফতারি তৈরিতে সাধারণত ছোলা, অ্যাংকর ডাল, বেসনের বেশি ব্যবহার হয়। গত কয়েকদিনে এসব পণ্যের দাম হু হু করে বেড়েছে। এমনকি শরবত তৈরির জন্য যে ট্যাং লাগে বাজারে সেটার এখন রীতিমতো সংকট। যেসব দোকানে পাওয়া যাচ্ছে, তারা বিক্রি করছেন গত রমজানের থেকে কেজি প্রতি প্রায় ২০০ টাকা বেশি দামে। বর্তমান বাজারে ট্যাং ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। গত এক মাসে ছোলার দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা। ফেব্রুয়ারি মাসে প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা কেজি দরে, যা এখন ৯৫-১০০ টাকা।

এদিকে গতকালও বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছেন, রজমান মাস উপলক্ষে এক কোটি পরিবারকে (৫ কোটি মানুষ) তেল, চিনি, ডাল, খেজুর ও ছোলাবুট সাশ্রয়ী দামে দেওয়া হবে। কিন্তু মন্ত্রীর কথায় আস্থা রাখতে পারছে না সাধারণ মানুষ। কারণ টিসিবির মাধ্যমে যে পণ্য বিক্রি করছে তা প্রয়োজনের তুলনায় সামান্যই। মানুষ টিসিটির ট্রাকের লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে ফিরে যাচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ডলার সংকটের কারণে আমদানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়লেও রমজান মাসে পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। রমজানে বাজার নিয়ন্ত্রণে এরইমধ্যে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই) সব পক্ষ নিয়ে বৈঠক করেছে। এলসি খোলা নিয়ে যে জটিলতা ছিল তা সহজ করেছে। রমজান শুরু হওয়ার আগেই বাজারে রমজানে চাহিদা বাড়ে এমন পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ রাখার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ভোজ্যতেল, চিনি, ছোলা, বিভিন্ন ধরনের ডাল ও খেজুরে সরবরাহ যাতে ঠিক থাকে তার ওপর নজর রাখার কথা বলেছে। বাজার পর্যবেক্ষণ বা মনিটরিংয়ের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। বলা হচ্ছে, রমজানে নিত্যপণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখতে সরকারের ১০টি সংস্থা মাঠে থাকবে। ১৫ পণ্যের দাম বেঁধে দিতে কমিটি করা হবে। এবার এক মাস আগে থেকেই বাজারে আছে টিসিবি। কিন্তু কোনো উদ্যোগে সুফল পায়নি ক্রেতারা। বাজারে প্রতিটি পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। ফার্মের মুরগির দাম বাড়ানো নিয়ে ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে। পোল্ট্রি শিল্পের মালিকরা জানাচ্ছেন, ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন খরচ ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। অথচ বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে। কর্পোরেট হাউজগুলো সিন্ডিকেট করে এই দাম বাড়িয়েছে। রাতে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে এসএমএস করে এক জায়গা থেকে দাম নির্ধারণ করে দেয়া হয়। সে দামে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করা হচ্ছে। অথচ সরকারের দায়িত্বশীলরা নীরব। সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, ব্রয়লার মুরগির দাম না কমলে আমদানি মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেয়া হবে। আমি বিশ্বাস করি নিঃসন্দেহে মুরগির দাম পড়তির দিকে থাকবে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ১৭টি পণ্যকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ঘোষণা করে দাম বেঁধে দিতে চায়। পণ্যগুলো হচ্ছে ভোজ্যতেল, চিনি, লবণ, পেঁয়াজ, রসুন, মসুর ডাল, ছোলা, শুকনা মরিচ, দারুচিনি, লবঙ্গ, এলাচ, ধনে, জিরা, আদা ও তেজপাতা। ইতোমধ্যেই সয়াবিন তেল, চিনির দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। ব্যবসায়ীরা সরকারের বেঁধে দেয়া দাম মানেনি ইচ্ছে মতো পণ্যগুলোর দাম বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, রোজা সামনে রেখে আপাতত ভোজ্যতেল, চিনি, ডাল, পেঁয়াজ, ছোলা ও খেজুরের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে কাজ শুরু হয়েছে। ডলার জটিলতার কারণেই এ বছর আমদানি প্রক্রিয়ায় বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। মন্ত্রণালয়ের হিসেব মতে, প্রতি অর্থবছরে দেশে ভোজ্যতেলের চাহিদা ২১ লাখ টন যার ৯০ শতাংশই আমদানি করতে হয়। কেবল রোজার মাসে ভোজ্য তেলের চাহিদা থাকে ৪ লাখ টনের মতো। সারাবছরের জন্য প্রয়োজন হয় ১৮ লাখ টন চিনি, এর মধ্যে ৩ লাখ টনের চাহিদা থাকে কেবল রোজার সময়। সারা বছর যেখানে ৫ লাখ টন মসুর ডাল লাগে, সেখানে শুধু রোজায় চাহিদা থাকে ৮০ হাজার টনের মতো। ফলে ডালের চাহিদা মেটাতে ৫০ শতাংশ আমদানি করতে হয়। বছরে ৮০ হাজার টন ছোলার প্রয়োজন হয়। যার ৮০ শতাংশই ব্যবহার হয় রোজার মাসে। এ সময় সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয় পেঁয়াজের। ২৫ লাখ টন বার্ষিক চাহিদার ৫ লাখ টনই ব্যয় হয় রোজার সময়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রমজান মাসে বিভিন্ন সংস্থা ও আইনশৃংখলা বাহিনী খুচরা বাজার থেকে শুরু করে দেশের পাইকারি মোকামগুলোয় অভিযান চালাবে। যাতে রমজানকে পুঁজি করে কারসাজির মাধ্যমে কেউ অতি মুনাফা লুটতে না পারে।

এ প্রসঙ্গে মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মওলা বলেছেন, নতুন আইন-কানুন করে লাভ হবে না। এর পরিবর্তে পণ্যের সঠিক চাহিদা নির্ধারণ করে আমদানির পরিমাণ বাড়াতে হবে। পাইপলাইনে পণ্যের সরবরাহ ঠিক রাখতে হবে। তা না হলে বাজার নিয়ন্ত্রণ কঠিন।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের তথ্য বলছে, ২০২১-২২ সালের জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ৯ লাখ টন পাম অয়েল ও অপরিশোধিত তেল আমদানি করা হয়েছিল। ২০২২-২৩ সালে একই সময়ে এটির আমদানি বেড়েছে এবং প্রায় মোট ১২ লাখ মেট্রিক টন পাম অয়েল এবং অপরিশোধিত তেল আমদানি করা হয়েছে। এখানে আমদানি বেড়েছে প্রায় ৪৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ। ২০২১ সালের জুলাই মাস থেকে ২০২২ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত সাত মাসে খেজুর আমদানি করা হয়েছিল ৪৬ হাজার মেট্রিক টন। আর ২০২২ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত একই সময়ে খেজুর আমদানি করা হয়েছে ৩১ হাজার মেট্রিক টনের বেশি। এই সময়ে এই পণ্যটি গতবারের তুলনায় ৩১ শতাংশ কম আমদানি করা হয়েছে।

গতকাল রাজধানীর একাধিক বাজারে গেলে করুণ চিত্র চোখে পড়ে। গোশত ব্যবসায়ীরা গোশত নিয়ে বসে রয়েছেন। ক্রেতা নেই। যাত্রাবাড়ি বাজারে সকাল সাড়ে ৭টা থেকেই দোকান খুলে ক্রেতার অপেক্ষায় বসে আছেন বিক্রেতারা। সকাল ৯টা পর্যন্ত কোনও ক্রেতাই আসেননি দোকানে। দোকানের আশেপাশ দিয়ে গেলেই শোনা যাচ্ছে, ‘অরিজিনাল গোশত স্যার, নিয়ে যান’। গোশত বিক্রেতারা জানান, দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতা কমে গেছে। দু’মাস আগে দু’টি গরু জবাই করে বিক্রি করলেও এখন একটি গরুর গোশত বিক্রি করা কঠিন। যাত্রাবাড়ি, শনির আখড়া, ফকিরাপুল কাপ্তান বাজারে দেখা যায়, দোকানভেদে খাসির গোশত (মূলত যমুনা পাড়ের ছাগল) ১ হাজার ১০০ টাকা, গরুর গোশত ৭৫০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা, পোল্ট্রি মুরগির দাম তিন দফা বেড়ে কেজি প্রতি ২৬০ থেকে ২৭০ টাকা, পাকিস্তানি (সোনালি) ৩৫০ থেকে ৩৫৫ টাকা, লেয়ার ২৮০ টাকা, দেশি মুরগি ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মাছের মধ্যে রুই (বড় সাইজ) ৪০০ থেকে ৪২০ টাকা, চাষের পাবদা মাছ (ছোট) ৪০০ থেকে ৪২০ টাকা, দেশি ছোট চিংড়ি ৬০০ টাকা, সামুদ্রিক চিংড়ি (মাঝারি) ৭০০ টাকা, টেংরা ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা, কাচকি মাছ (সাগরের) ৩০০ টাকা, সিং মাছ (মাঝারি) ৪৫০ থেকে ৪৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

একাধিক বাজারে কয়েকজন বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দাম বেঁধে দিলেও গত কয়েক মাস ধরেই বাজারে সরকার নির্ধারিত দামে তেল-চিনি মিলছে না। বেঁধে দেয়া দামে প্রতি লিটার খোলা পাম তেল ১১৭ টাকায় বিক্রির কথা থাকলেও খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা। একইভাবে সরকার নির্ধারিত প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৬৭ টাকার পরিবর্তে বিক্রি হচ্ছে ১৮৫ থেকে ১৯৫ টাকায়। খোলা চিনির ক্ষেত্রে নির্ধারিত দাম ১০৭ টাকা হলেও এখনো খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি খোলা চিনি ১২০ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনি ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লাল চিনি (দেশি) বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা দামে।

রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি সবজির দাম বেড়েছে। দুই একটি ছাড়া কোনো সবজিই ৪০ থেকে ৫০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না। সজনে বিক্রি হচ্ছে ২৪০; থেকে ২৫০ টাকা কেজিতে, ঢ্যাঁড়শ ১০০ থেকে ১১০ টাকায়, করলা ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে। কাঁচামরিচ ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়, বেগুন (লম্বা সাইজ) ৬০ টাকা, সিম ৬০ থেকে ৮০ টাকা, ফুলকপি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ থেকে ৩৫ টাকা, শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি পিস কেজি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, এক হালি লেবু আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকায়।

শনির আখড়া বাজারে কথা হয় ঢাকা বার অ্যাসোসিয়েশন রিপোর্টাস ফোরামের নেতা অ্যাডভোকেট মো. মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, প্রতিটি পণ্যের দাম বেশি। এখনই পণ্যমূল্য ক্রয় ক্ষমতার বাইরে, রমজানে কি হয় কে জানে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতার কারণে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। যারা সিন্ডিকেট করে পণ্যমূল্য বাড়ায় মন্ত্রণালয় তাদের নিয়ে বৈঠক করে দর ঠিক করে দেয়। ক্রেতারা বলছেন, তারা প্রয়োজনের তুলনায় কম পণ্য কিনছেন। রমজানে এই অবস্থা থাকলে তাদের আরো দুর্দশা বাড়বে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তবে যাত্রাবাড়ি, কাপ্তান বাজারের একাধিক ক্রেতার আশঙ্কা বাণিজ্যমন্ত্রীর দাবি ‘রমজানে পণ্যের দাম বাড়বে না’ নিছক কথার কথা। বরং রমজানে ফের পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

মেয়ের পূর্ণ অভিভাবকত্ব পেলেন বাঁধন, গড়লেন ইতিহাস

মেয়ের পূর্ণ অভিভাবকত্ব পেলেন বাঁধন, গড়লেন ইতিহাস

সালমানের বাড়িতে গুলি হামলার ঘটনায় দ্বিতীয় অস্ত্র উদ্ধার

সালমানের বাড়িতে গুলি হামলার ঘটনায় দ্বিতীয় অস্ত্র উদ্ধার

এফডিসিকাণ্ড: জয় চৌধুরীকে বয়কট, দুইজন সাময়িক বহিষ্কার

এফডিসিকাণ্ড: জয় চৌধুরীকে বয়কট, দুইজন সাময়িক বহিষ্কার

যে কারণে মেহজাবীন-সিয়ামের পাল্টাপাল্টি পোস্ট

যে কারণে মেহজাবীন-সিয়ামের পাল্টাপাল্টি পোস্ট

এভারটনের মাঠে হেরে প্রায় শেষ লিভারপুলের শিরোপা স্বপ্ন

এভারটনের মাঠে হেরে প্রায় শেষ লিভারপুলের শিরোপা স্বপ্ন

ফের্নান্দেসের জোড়া গোলে জয়ের ধারায় ফিরল ইউনাইটেড

ফের্নান্দেসের জোড়া গোলে জয়ের ধারায় ফিরল ইউনাইটেড

এমবাপে-দেম্বেলের জোড়া গোলে পিএসজির অনায়াস জয়

এমবাপে-দেম্বেলের জোড়া গোলে পিএসজির অনায়াস জয়

হিন্দুদের মুসলমানদের কবর জিয়ারত করা প্রসঙ্গে।

হিন্দুদের মুসলমানদের কবর জিয়ারত করা প্রসঙ্গে।

সংস্কারের পর ফিরছে বিটলস নিয়ে নির্মিত ‘লেট ইট বি’

সংস্কারের পর ফিরছে বিটলস নিয়ে নির্মিত ‘লেট ইট বি’

বিয়ে না করেই সংসার করছেন মিমি চক্রবর্তী!

বিয়ে না করেই সংসার করছেন মিমি চক্রবর্তী!

দর্শক টানতে টিকেটের সাথে বিরিয়ানি ফ্রি

দর্শক টানতে টিকেটের সাথে বিরিয়ানি ফ্রি

শিল্পী সমিতির সদস্যদের ফ্রি চিকিৎসার ঘোষণা

শিল্পী সমিতির সদস্যদের ফ্রি চিকিৎসার ঘোষণা

পিকআপে রাখা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা উদ্ধার

পিকআপে রাখা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা উদ্ধার

ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে গীতিকবি আসিফ ইকবালের সর্বাধিক গান

ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে গীতিকবি আসিফ ইকবালের সর্বাধিক গান

সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় শিল্পী সমিতির দুঃখ প্রকাশ

সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় শিল্পী সমিতির দুঃখ প্রকাশ

রবি’র ২৮তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

রবি’র ২৮তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

আত্মীয়ের জানাজা শেষে বাড়ি ফেরা হলো না মা-ছেলের, সড়কে গেল প্রাণ

আত্মীয়ের জানাজা শেষে বাড়ি ফেরা হলো না মা-ছেলের, সড়কে গেল প্রাণ

শিক্ষাখাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ চাই

শিক্ষাখাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ চাই

আত্রাই নদীর অস্তিত্ব সুরক্ষার ব্যবস্থা নিতে হবে

আত্রাই নদীর অস্তিত্ব সুরক্ষার ব্যবস্থা নিতে হবে

সুপারশপের বাড়তি ভ্যাট প্রত্যাহার করতে হবে

সুপারশপের বাড়তি ভ্যাট প্রত্যাহার করতে হবে