মোগল আমলেও এত কষ্ট ছিল না : এমপি শামীম হায়দার

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

০৭ জুন ২০২৩, ১১:০৪ এএম | আপডেট: ০৭ জুন ২০২৩, ১১:০৪ এএম

জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারি বলেছেন, বিএনপির আমলে বিদ্যুৎ ছিল না, খাম্বা ছিল। আর এখন বিদ্যুৎ আছে, খাম্বা নেই। ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হচ্ছে। টাকা শর্টেজ। মানুষ গরমে কষ্ট পাচ্ছে। মোগল আমলে মানুষ যে কষ্টে ছিল এখন তার থেকে বেশি কষ্টে আছে।

মঙ্গলবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের মঞ্জুরি দাবির ওপর ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর বক্তব্য প্রদানকালে এ কথা বলেন তিনি। চলতি অর্থবছরে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের জন্য ৩২ কোটি ৪৬ লাখ ৪ হাজার টাকা মঞ্জুরি দাবি করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তার এই দাবিতে ছাঁটাই প্রস্তাব দেন ১০ জন সংসদ সদস্য। তবে আলোচনায় অংশ নেন ছয়জন। বাকিরা অনুপস্থিত ছিলেন।

এর আগে ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, লোডশেডিং যেভাবে বাড়ছে তাতে জনরোষের সৃষ্টি হতে পারে। জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম বলেন, আমাদের ১৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দরকার কিন্তু করে ফেলেছি ২৬ হাজার মেগাওয়াট। আর আজকে উৎপাদন হচ্ছে ৭ হাজার মেগাওয়াট।

জাপার আরেক সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, এখন কমবেশি এক হাজার ৫০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং হচ্ছে। এই লোডশেডিং আরো বাড়বে। বিল পরিশোধের কারণে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছেন। বিদ্যুৎ বিল তো মানুষের বাকি নেই। গ্রাহকরা তো সবাই বিল দিচ্ছেন। তাহলে এই বিল কেন বাকি থাকছে? একটা হতে পারে ক্যাপাসিটি চার্জ। গণমাধ্যমে দেখেছি ৯০ হাজার কোটি টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ এসেছে। ২০ হাজার কোটি টাকা নাকি এখনো বাকি আছে। কেন এত ক্যাপাসিটি চার্জ হয়? কেন চুক্তিটা এভাবে করা হলো যে ক্যাপাসিটি চার্জ দিতেই হবে। কেন বিদ্যুৎ উৎপাদনের সঙ্গে খাম্বা ও সঞ্চালন লাইন করা হলো না।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, ১৫৩টি কেন্দ্রের সবগুলোতে কম উৎপাদন হচ্ছে। সরকারের ধারাবাহিক সাফল্যের একটি জায়গা ছিল বিদ্যুৎ। সেটি একেবারেই নষ্ট হয়ে গেল। এর থেকে তো আমি মনে করি জনরোষের সৃষ্টি হবে।

জাতীয় পার্টির আরেক সংসদ সদস্য রওশন আরা মান্নান বলেন, দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা ও বিদ্যুৎ বিভাগ হুমকির মধ্যে পড়েছে। কবে যে আবার লোডশেডিং কমবে! এখন যেভাবে বিদ্যুৎ সমস্যা দেখা দিচ্ছে, আগামী ১০ বছর পরে আমাদের গ্যাসও শেষ হয়ে যাবে।

জাতীয় পার্টির আরেক সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছে না। বিদ্যুৎ না থাকলে দেশের অগ্রগতি থেমে যাবে। কৃষি উৎপাদন কমে যাবে। সমস্ত জায়গায় স্থবিরতা তৈরি হবে। বিদ্যুৎ মন্ত্রী গোটা বাংলাদেশে বিদ্যুৎ দিয়েছেন। এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু হঠাৎ করে কী হলো যে বিদ্যুৎ চলে গেল। আগেই যদি কয়লা বা ডিজেল আমদানি করা যেত আজকের এই সমস্যা হতো না। আমাদের মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে কোন সমন্বয় নেই। তড়িৎ গতিতে আমাদের কয়লা আমদানি করে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো চালু করতে হবে।

রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, শতভাগ বিদ্যুৎ দিয়েছে সরকার। বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে কিন্তু মন্ত্রীর কোন কথা নেই। কেন? জনগণকে কনভিন্স করতে হবে। গণশুনানী করে বিষয়টি জানাতে হবে। লোডশেডিংয়ে বিষয়ে কেউ বলতে পারেন না। লোডশেডিংয়ের তথ্য জানাতে হবে। কোথায় অব্যবস্থাপনা রয়েছে সেটা দেখতে হবে। কর্মকর্তাদের ভেতর.. বিভিন্ন জায়গায়। এখানে কিন্তু অনেক ঘষেটি বেগম থাকতে পারে। তারা যেন আপনাদের সুনাম নষ্ট করতে না পারে।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

সহকারী শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা ২৯ মার্চ
তথ্য কমিশনে ৮টি অভিযোগ শুনানির মাধ্যমে নিষ্পত্তি
ঈদের পর ভেঙে ফেলা হবে কারওয়ান বাজারের ঝুঁকিপূর্ণ ভবন
গরুর গোশত ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা সম্ভব : ভোক্তার ডিজি
আগামী পাঁচ বছর দেশ পাহারা দেবো : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আরও

আরও পড়ুন

মেহেরপুরে বিদেশ ফেরত অভিবাসীদের বিষয়ে সেমিনার

মেহেরপুরে বিদেশ ফেরত অভিবাসীদের বিষয়ে সেমিনার

সহকারী শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা ২৯ মার্চ

সহকারী শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা ২৯ মার্চ

তথ্য কমিশনে ৮টি অভিযোগ শুনানির মাধ্যমে নিষ্পত্তি

তথ্য কমিশনে ৮টি অভিযোগ শুনানির মাধ্যমে নিষ্পত্তি

ঈদের পর ভেঙে ফেলা হবে কারওয়ান বাজারের ঝুঁকিপূর্ণ ভবন

ঈদের পর ভেঙে ফেলা হবে কারওয়ান বাজারের ঝুঁকিপূর্ণ ভবন

সিলেটে আদালত ভবন থেকে এক আসামির আ’ত্ম’হ’ত্যা’র চেষ্টা

সিলেটে আদালত ভবন থেকে এক আসামির আ’ত্ম’হ’ত্যা’র চেষ্টা

অস্ট্রেলিয়ায় কুবি অ্যালামনাইদের ইফতার মাহফিল

অস্ট্রেলিয়ায় কুবি অ্যালামনাইদের ইফতার মাহফিল

সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব এনায়েত উল্ল্যাহ রোগ মুক্তিতে সিলেটে দোয়া মাহফিল

সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব এনায়েত উল্ল্যাহ রোগ মুক্তিতে সিলেটে দোয়া মাহফিল

ইরানের ন্যানো-টেক পণ্য আমদানি করে ৪৮ দেশ

ইরানের ন্যানো-টেক পণ্য আমদানি করে ৪৮ দেশ

আগামী বছর আরও ২০ স্যাটেলাইট তৈরি করবে ইরান

আগামী বছর আরও ২০ স্যাটেলাইট তৈরি করবে ইরান

ফেনীতে উদ্বোধন আল্লাহর ৯৯ নামসম্বলিত ভাস্কর্যের

ফেনীতে উদ্বোধন আল্লাহর ৯৯ নামসম্বলিত ভাস্কর্যের

হাওরে ধ্বংস হচ্ছে মাছের প্রজনন পরিবেশ

হাওরে ধ্বংস হচ্ছে মাছের প্রজনন পরিবেশ

সরকার নির্ধারিত দাম মানছে না কেউ

সরকার নির্ধারিত দাম মানছে না কেউ

সালথায় আ.লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ২০

সালথায় আ.লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ২০

বোরো ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সৈয়দপুরের কৃষি শ্রমিকরা

বোরো ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সৈয়দপুরের কৃষি শ্রমিকরা

চাঁদপুরে বিষধর সাপের ছোবলে গৃহবধূর মৃত্যু

চাঁদপুরে বিষধর সাপের ছোবলে গৃহবধূর মৃত্যু

অবাধে পদ্মায় জাটকা নিধন ও ক্রয়-বিক্রয় উৎসব

অবাধে পদ্মায় জাটকা নিধন ও ক্রয়-বিক্রয় উৎসব

সাতক্ষীরায় ঝুলন্ত স্ত্রীকে নামিয়ে স্বামীর আত্মহত্যা

সাতক্ষীরায় ঝুলন্ত স্ত্রীকে নামিয়ে স্বামীর আত্মহত্যা

অস্তিত্ব সংকটে নদ-নদী বিল

অস্তিত্ব সংকটে নদ-নদী বিল

রোগীর সুরক্ষা নিশ্চিত জরুরি

রোগীর সুরক্ষা নিশ্চিত জরুরি

জাতিগোষ্ঠীর উত্থান-পতন কীভাবে হয়

জাতিগোষ্ঠীর উত্থান-পতন কীভাবে হয়