শাওনের আস্ফালন থামাতে যে ফর্মুলা দিলেন পিনাকী

সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক

০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম | আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম

৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থান ও ছাত্র-জনতাকে নিয়ে একের পর এক তুচ্ছতাচ্ছিল্য ও কটাক্ষ করে চলেছেন কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের দ্বিতীয় স্ত্রী বিতর্কিত অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন। এবার তার আস্ফালন থামানোর কৌশল বলে দিলেন প্রবাসী লেখক ও আলোচিত অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য।

পিনাকী বলেন, হুমায়ুন আহমেদ আমাদের জাতীয় সম্পদ এবং তার সৃষ্টিও আমাদের জাতীয় সম্পদ। এটাকে জাতীয় সম্পত্তি হিসেবে অধিগ্রহণ করতে হবে। বাংলাদেশ সরকার এই সম্পদটাকে নিয়ে হুমায়ুন আহমেদ জাতীয় জাদুঘর বানাবে। এটাই আমাদের আজকের লক্ষ হওয়া উচিত।

নুহাশ পল্লীর কথা উল্লেখ করে জনপ্রিয় এই অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট বলেন, শাওন এই সম্পদ ব্যক্তিগত স্বার্থে দখল করে রেখেছে। কিন্তু হুমায়ুন আহমেদ আমাদের এমন একটা সম্পদ সেটা ব্যক্তি কেউ দখল করে রাখতে পারে না। তার সম্পদ তার সৃষ্টিতে সকলের অধিকার আছে। সকলের হক আছে। ওই সম্পদে মানুষের হক প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

বুধবার রাতে আলোচিত প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনের এক অনলাইন টকশোতে পিনাকী এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, নুহাস পল্লীতে নুহাসেরও মালিকানা থাকবে না শওনেরও মালিকানা থাকবে না। এটাতে বাংলাদেশের জনগণের মালিকানা থাকবে। এটাকে অধিগ্রহণ করে হুমায়ুন আহমেদ জাদুঘর বানাতে হবে, হুমায়ুন আহমেদ পল্লী বানানো হবে। এইখানে আমরা যাবো থাকবো ঘুরবো। এখানে আমরা হুমায়ুন আহমেদের স্মৃতিচারণ করব। এটা ব্যক্তিগত সম্পদ হতে পারে না। এই আওয়াজ তোলেন শাওন থেমে যাবে।

এছাড়াও বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের স্মৃতিবিজড়িত নুহাশ পল্লী নিয়ে দেয়া এক স্ট্যাটাসে পিনাকী নুহাশ পল্লীকে জাতীয় সম্পদ উল্লেখ করে এটিকে জাতীয়করণ করার দাবি উত্থাপন করেন।

তিনি লিখেন, ‘নুহাশ পল্লী জাতীয় সম্পদ। নুহাশ পল্লী জাতীয় করণ করে ওইখানে হুমায়ুন আহমেদ যাদুঘর করা হোক।’

এর আগে, বুধবার সন্ধ্যায় এক পোস্টে শেখ হাসিনার পৈতৃক বাড়ি ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে মানুষকে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, হাতুড়ি, শাবল, গাঁইতি নিয়ে আসুন। ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে আসুন। ইতিহাসের দায় মোচন করতে আসুন।

পিনাকী বলেন, ফ্যাসিবাদের আতুরঘর নিশ্চিহ্ন করতে আসুন। গান গাইতে গাইতে আসুন, স্লোগান দিতে দিতে আসুন, সন্তানের হাত ধরে আসুন, প্রেমিক প্রেমিকাকে সাথে নিয়ে আসুন, মুখে হাসি আর বুকে প্রতিরোধের আগুন নিয়ে আসুন। ফ্যাসিবাদের ধ্বংসস্তূপের ওপরে ছাত্র জনতার বিজয় নিশান উড়াতে আসুন।

তিনি বলেন, আজ রাত ৯টায়। ইতিহাস রচিত হোক। আবু সাঈদ, মুগ্ধরাও আসবে আপনাদের দেখানো পথে। আসুন অসমাপ্ত কাজ আজ আমরা সম্পাদন করি। ইতিহাসের দায় মোচন করি। ছাত্র জনতা সৈনিক ঐক্য জিন্দাবাদ। ইনকিলাব জিন্দাবাদ।

এদিকে, গতকাল ভারতে পলাতক ফ্যাসিস্ট হাসিনার ভাষণের প্রতিবাদে গর্জে ওঠা ছাত্র-জনতাকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে আবারো পোস্ট দেন শাওন। পোস্টে তিনি লিখেন: "বাচ্চারা... এত্ত ভয় পেয়েছো???" আজ বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক আইডিতে এই পোস্ট দেন খুনি হাসিনার এই দোসর।

মূলত ছাত্র-জনতার ধানমন্ডি ৩২ অভিমুখে বুলডোজার মিছিল কর্মসূচি নিয়ে এই লেখাটি লিখেন‌ শাওন। এর আগে অমর একুশে বইমেলায় হাসিনা ডাস্টবিন নিয়ে দেওয়া এক পোস্টে গণঅভ্যুত্থানকে নিয়ে কটাক্ষ করে মন্তব্য করেন তিনি।

বিভাগ : জাতীয়