জন্মগত নারীরাই নারী, রূপান্তরিতরা নয়
১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৫ এএম

‘নারী’ তারাই, যাদের জৈবিক লিঙ্গ নারী। অর্থাৎ জন্মসূত্রে বা শারীরিকভাবে যারা নারী, তাদেরকেই নারী হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হবে। ট্রান্স বা রূপান্তরিতদের নারী হিসেবে বিবেচনা করা হবে না। বুধবার নারীর আইনি সংজ্ঞা নির্ধারণ করে ঐতিহাসিক এই রায় দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট। এ রায়ের মধ্য দিয়ে নিজেদের সমতা আইনকে ঘিরে যুক্তরাজ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলা একটি আইনি লড়াইয়ের চ‚ড়ান্ত অবসান ঘটলো।
ধারণা করা হচ্ছে, এ রায় স্কটল্যান্ড, ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে লিঙ্গভিত্তিক অধিকারগুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বড় প্রভাব ফেলবে। আদালতের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে গিয়ে বিচারক লর্ড হজ বলেন, আইনে ‘নারী’ ও ‘লিঙ্গ’ শব্দগুলো কীভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়, তা নির্ধারণ করাই ছিল আমাদের মূল কাজ। তিনি আরো বলেন, ‘সর্বসম্মত’ সিদ্ধান্ত হলো, ২০১০ সালের সমতা আইনে নারী এবং লিঙ্গ শব্দের মাধ্যমে যথাক্রমে জৈবিক নারী ও জৈবিক লিঙ্গকে বোঝানো হয়েছে। কিন্তু আমরা এই রায়কে আমাদের সমাজের কোনো গোষ্ঠীর অধিকারকে উপেক্ষা করে অন্য এক বা একাধিক গোষ্ঠীর বিজয় হিসেবে না দেখার পরামর্শ দিচ্ছি। আইনটির আওতায় এখনো ট্রান্সজেন্ডারদের বৈষম্য থেকে সুরক্ষা পাওয়ার অধিকার রয়েছে।
যুক্তরাজ্যের সমতা আইনের আওতায় নারীর সংজ্ঞায়ন প্রশ্নে স্কটল্যান্ড সরকারের বিরুদ্ধে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিল ‘ফর উইমেন স্কটল্যান্ড’ নামের নারী অধিকারবিষয়ক একটি সংগঠন। তাদের যুক্তি ছিল, যারা জন্মগতভাবে নারী, তাদের ক্ষেত্রেই কেবল লিঙ্গভিত্তিক সুরক্ষাগুলো প্রযোজ্য হওয়া উচিত। আদালত সংগঠনটির পক্ষে তাদের অবস্থান জানিয়েছেন। জেন্ডার রিকগনিশন সার্টিফিকেটপ্রাপ্ত বা জিআরসি নামে পরিচিত ‘লৈঙ্গিক স্বীকৃতির সনদ’ থাকা রূপান্তরকামী নারীরা যুক্তরাজ্যের সমতা আইনের আওতায় জন্মগত নারীদের মতো করেই বৈষম্য থেকে সুরক্ষিত কি না, সে প্রশ্নটির সুরাহা করতে প্রতীক্ষিত রায়টি দেয়া হয়েছে। কারো নতুন লিঙ্গ পরিচয়ের আইনি স্বীকৃতি প্রদানকারী একটি আনুষ্ঠানিক নথি হলো জিআরসি। আদালতে স্কটল্যান্ড সরকার যুক্তি দেখিয়েছিল, যেসব ট্রান্সজেন্ডারের জিআরসি আছে, তারা জন্মগত নারীদের মতো একই রকমের লিঙ্গভিত্তিক সুরক্ষা পাবেন। ২০১০ সালের সমতা আইনের সঠিক ব্যাখ্যা সম্পর্কে সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য ফর উইমেন স্কটল্যান্ডের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, আইনে সেক্স বা লিঙ্গ শব্দটি দিয়ে কী বোঝানো হয়েছে। এটি কি জন্মগতভাবে পাওয়া লিঙ্গ পরিচয়, নাকি ২০০৪ সালের ‘জেন্ডার রিকগনিশন’ আইনে উল্লিখিত সনদধারী লিঙ্গ পরিচয়। স্কটল্যান্ড সরকারের যুক্তি ছিল, কোনো ব্যক্তি জিআরসি সনদ পাওয়ার অর্থ হলো, তিনি যে উদ্দেশ্যেই হোক না কেন, লিঙ্গ পরিবর্তন করেছেন। তবে নারী-পুরুষ শব্দ দুটির সাধারণ ব্যাখ্যাকে তুলে ধরে ফর উইমেন স্কটল্যান্ডের পাল্টা যুক্তি ছিল, লিঙ্গ একটি ‘অপরিবর্তনীয় জৈবিক অবস্থা’। আদালতের রুলের পর সুপ্রিম কোর্টের বাইরে দেয়া বক্তব্যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ফর উইমেন স্কটল্যান্ডের সহপ্রতিষ্ঠাতা সুসান স্মিথ বলেন, আজ বিচারকেরা যা বলেছেন, তা আমরা সব সময় বিশ্বাস করে এসেছি। নারীরা তাদের জৈবিক লিঙ্গ পরিচয়ের ভিত্তিতেই সুরক্ষিত থাকবেন। সংগঠনটির পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টের কাছে করা হয়েছে। তারা মনে করে, এর মধ্যে দিয়ে জন্মগত নারীরা এখন নিরাপদ বোধ করতে পারেন যে নারীদের জন্য নির্ধারিত পরিষেবা ও স্থান নারীদের জন্যই সুরক্ষিত থাকবে। সূত্র : বিবিসি।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

বিভাজন মিটিয়ে ফের এক হওয়ার আহ্বানে যা বললেন জুলাই যোদ্ধারা

সৈয়দপুরে সড়ক থেকে অতিরিক্ত স্পিড ব্রেকার অপসারণের দাবিতে গণস্বাক্ষর ও মানববন্ধন

জুলাই-আগস্টের আন্দোলন তারেক রহমানের নির্দেশেই পরিচালিত হয়েছে - শফিউদ্দিন আহম্মেদ সেন্টু

সীমান্ত অনুপ্রবেশের সময় বিজিবি'র হাতে আটক ২ জন

ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান মির্জাপুরে সড়কে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ৩ ব্যবসায়ীর জরিমানা

ঈশ্বরদীর পদ্মা নদীতে বালুমহালের আধিপত্যের দ্বন্দ্বে দুই গ্রুপের বন্দুকযুদ্ধে ৭ জন গুলিবিদ্ধ

কাশ্মীরে স্বাধীনতাকামী সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতীয় সেনা নিহত

কুষ্টিয়ায় দুধ দিচ্ছে পাঠা

মনোহরগঞ্জ উপজেলার নবাগত নির্বাহী অফিসারের মতবিনিময় সভা

সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার আহ্বান আমীরে জামায়াতের

কৃষক দল নেতাকে গুলি করে হত্যা

যশোরে অভয়নগরে কৃষকদল সভাপতিকে গুলি করে হত্যা

যুক্তরাষ্ট্রে সান দিয়েগোর একটি আবাসিক এলাকায় বাড়িঘরের ওপর বিমান বিধ্বস্ত!

দেশের রিজার্ভ আরও বাড়ল

এনবিআর এখনই বিলুপ্ত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই: অর্থ মন্ত্রণালয়

ছাগলনাইয়ায় ঔষধ ব্যবসায়ীদের চার দফা দাবী আদায়ের দাবিতে মানববন্ধন

ঝিনাইদহে প্রান্তিক পেশাজীবী জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে সেমিনার

জরুরী প্রয়োজনে কোথাও ঋণ না পেয়ে সুদে বা কিস্তিতে ঋণ নেওয়া প্রসঙ্গে।

দৌলতগঞ্জ গাজীমুড়া কামিল মাদরাসা'র শিক্ষার্থীদেরকে পড়া-লেখার ঐতিহ্যে ফিরে আনতে চাই-এড.সুজন

বুড়িচং- ব্রাহ্মণপাড়া সড়কের পাশে ডোবা থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার!