আদালতে মডেল মেঘনা : শুধু সউদী রাষ্ট্রদূতের সঙ্গেই সম্পর্ক ছিল
১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৬ এএম | আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৬ এএম

শুধু সউদী রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আলদুহাইলানের সঙ্গেই সম্পর্ক ছিল বলে আদালতের কাছে দাবি করেছেন মডেল মেঘনা আলম। তিনি বলেন, ব্যবসায়ী দেওয়ান সমিরকে তার বন্ধু বলা হচ্ছে, যা সঠিক নয়। তিনি দেওয়ান সমিরকে চেনেন না। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (সিএমএম) গতকাল বৃহস্পতিবার এমন দাবি করেন মডেল মেঘনা আলম।
চাঁদাবাজি ও প্রতারণার অভিযোগে ১৫ এপ্রিল মেঘনা, দেওয়ান সমিরসহ অজ্ঞাতনামা দুই-তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ধানমন্ডি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আবদুল আলীম। সেই মামলায় বলা হয়েছে, মেঘনা আলম, দেওয়ান সমিরসহ অজ্ঞাতপরিচয় আসামিরা জনৈক ক‚টনীতিকের কাছে ৫ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৬০ কোটি টাকা) অর্থ দাবি করেছেন। তবে মামলার এজাহারে ওই ক‚টনীতিকের নাম উল্লেখ করা হয়নি।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২৯ মার্চ ধানমন্ডির একটি রেস্তোরাঁয় একটি গোপন বৈঠক হয়। বৈঠকে মেঘনা, সমিরসহ কয়েক ব্যক্তি অংশ নেন। এতে ক‚টনীতিকের কাছে ৫ মিলিয়ন ডলার দাবি ও আদায়ের সিদ্ধান্ত হয়। এই গোপন বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল প্রতারণা করে অর্থ আদায় করা। আসামিদের এই কার্যক্রমের কারণে আন্তরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। গতকাল মেঘনাকে আদালতে হাজির করা হয়। বিষয়টি নিয়ে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, বিচারকের অনুমতি নিয়ে মডেল মেঘনা আলম আদালতে কথা বলেন। তিনি আদালতের কাছে দাবি করেন, সউদী রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আলদুহাইলানের সঙ্গেই তার পরিচয় ছিল। সউদী রাষ্ট্রদূত তাকে ফোনও করেছিলেন বলে আদালতে দাবি করেন মেঘনা আলম। ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, মেঘনা আলম আদালতে দাবি করেছেন, তিনি দেওয়ান সমিরকে চেনেন না।
এদিকে আদালতে উপস্থিত থাকা ব্যক্তিরা জানান, মডেল মেঘনা আলম দাবি করেন, সউদী রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। অন্যদিকে দেওয়ান সমিরও দাবি করেন, তাকে মেঘনা আলমের ‘বয়ফ্রেন্ড’ বলা হচ্ছে। বাস্তবে মেঘনা আলমের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। মামলার ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানেন না তিনি। মামলায় মডেল মেঘনাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। অন্যদিকে দেওয়ান সমিরকে পাঁচ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেওয়া হয়। ঢাকার সিএমএম আদালত এ আদেশ দেন। এর আগে ভাটারা থানায় করা আরেকটি চাঁদাবাজির মামলায় ১১ এপ্রিল গ্রেপ্তার হন ব্যবসায়ী সমির। এই মামলায় তাকে ১২ এপ্রিল পাঁচ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন আদালত। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশ অনুযায়ী, পরদিন বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) আদালত মেঘনাকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিন আটক রাখার আদেশ দেন। মেঘনাকে আটকের প্রক্রিয়া ও আটকাদেশের বৈধতা নিয়ে তার বাবা বদরুল আলম গত রোববার রিট করেন। এর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি রাজিক আল জলিল ও বিচারপতি তামান্না রহমান খালিদীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল দেন।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

‘ফ্যাসিস্ট আমলে গ্রেফতারকৃত আলেমদের ঈদের আগেই মুক্তি দিতে হবে’

ভারত হাজার হাজার ‘বাংলাদেশিকে’ ফেরত পাঠাতে চায়

ঝিনাইদহে গ্রাম আদালত বিষয়ক প্রশিক্ষণ ”অল্প সময়ে স্বল্প খরচে সঠিক বিচার পেতে চলো যায় গ্রাম আদালতে”

শাহরাস্তিতে বিএনপি নেতার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আওয়ামীলীগ নেতার হামলা ও ভাংচুর

প্যারাবন কেটে ঘের নির্মাণের পায়তারা আওয়ামী ভূমিদস্যু চক্রের

ইরানের মধু রপ্তানি বেড়েছে ২০ শতাংশ

বিভাজন মিটিয়ে ফের এক হওয়ার আহ্বানে যা বললেন জুলাই যোদ্ধারা

সৈয়দপুরে সড়ক থেকে অতিরিক্ত স্পিড ব্রেকার অপসারণের দাবিতে গণস্বাক্ষর ও মানববন্ধন

জুলাই-আগস্টের আন্দোলন তারেক রহমানের নির্দেশেই পরিচালিত হয়েছে - শফিউদ্দিন আহম্মেদ সেন্টু

সীমান্ত অনুপ্রবেশের সময় বিজিবি'র হাতে আটক ২ জন

ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান মির্জাপুরে সড়কে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ৩ ব্যবসায়ীর জরিমানা

ঈশ্বরদীর পদ্মা নদীতে বালুমহালের আধিপত্যের দ্বন্দ্বে দুই গ্রুপের বন্দুকযুদ্ধে ৭ জন গুলিবিদ্ধ

কাশ্মীরে স্বাধীনতাকামী সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতীয় সেনা নিহত

কুষ্টিয়ায় দুধ দিচ্ছে পাঠা

মনোহরগঞ্জ উপজেলার নবাগত নির্বাহী অফিসারের মতবিনিময় সভা

সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার আহ্বান আমীরে জামায়াতের

কৃষক দল নেতাকে গুলি করে হত্যা

যশোরে অভয়নগরে কৃষকদল সভাপতিকে গুলি করে হত্যা

যুক্তরাষ্ট্রে সান দিয়েগোর একটি আবাসিক এলাকায় বাড়িঘরের ওপর বিমান বিধ্বস্ত!

দেশের রিজার্ভ আরও বাড়ল