ভারতে মুসলমানদের ওপর নির্যাতনে জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের নিন্দা ও জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ কামনা

স্টাফ রিপোর্টার

১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৬ এএম | আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৬ এএম

ভারতে কট্টোর হিন্দুত্ববাদ জনগোষ্ঠি দ্বারা সংখ্যালঘু মুসলিমরা নির্যাতিত ও নিপীড়িত হচ্ছে। বসত ভিটা থেকে উৎখাত, ব্যবসা বাণিজ্যে বাধা এমনকি রাস্তাঘাটে বোরখাপড়া নারীদের হেনস্থার মত ন্যক্কারজনক কাজে লিপ্ত হচ্ছে সেখানকার উগ্র সনাতন ধর্মাবলম্বিরা। এমন মানবাধিকার লঙ্ঘিত কর্মকাÐের তিব্র নিন্দা জানিয়েছে মাদরাসা শিক্ষক কর্মচারীদের পেশাজীবী অরাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন। একইসাথে সার্কভুক্ত দেশ হিসেবে ভারতের উগ্রতার বিষয়ে সার্কের সদর দপ্তর ও জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ কামনা করেন নেতৃবৃন্দ।

গতকাল বৃহস্পতিবার সংগঠনের সভাপতি আলহাজ্ব এ এম এম বাহাউদ্দীন ও মহাসচিব প্রিন্সিপাল শাব্বীর আহমদ মোমতাজী গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই দাবি জানান।

জমিয়াত নেতৃদ্বয় বিবৃতিতে বলেন, এক রাষ্ট্র, এক ধর্ম কায়েমের চেষ্টা করছে ভারত। বিশেষ করে মুসলমানদের উপর মাত্রাতিক্ত নির্যাতন চালাচ্ছে মানবতা বিরোধী সনাতনীরা। মসজিদে ভাংচুর, মাদরাসা সীল গালাসহ মুসলমানদের ধর্মীয় কর্মসূচিতে বাধা প্রদানের মত জঘণ্য কাজ করে যাচ্ছে দিনের পর দিন। সেখানকার মুসলমানদের জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়া ও গণমাধ্যমে উঠে আসছে তাঁদের এহেন অমানবিকতার সংবাদ। এ যেন ইসরাইল ও মায়নমারের আদর্শে অনুগত আর এক সহদর। সেখানকার হিন্দুত্ববাদীরা তাদের বিভিন্ন বক্তব্যে বাংলাদেশকে হেও প্রতিপন্ন করে কথা বলছে, আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের চেষ্টাও কম করছে না তারা। সর্বপরি বিশ্বে নতুন এক বিষফোঁড়া হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ভারত।

নেতৃদ্বয় বলেন, ভারত যদি নিজেদের উগ্রতা ও প্রতিহিংসামূলক আদর্শ থেকে ফিরে না আসে তাহলে অচিরেই তারা বিশ্বের অন্যান্য দেশসমূহে নিগৃহীত হবে। বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার কর্মীরা ভারতে অবস্থান করা সত্তে¡ও এমন মানবতা বিরোধী কর্মকান্ড কেন? প্রশ্ন তোলেন জমিয়াত সভাপতি ও মহাসচিব। একইসাথে সার্কভুক্ত দেশ হিসেবে ভারতের উগ্রতার বিষয়ে সার্কের সদর দপ্তর ও জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ কামনা করেন নেতৃবৃন্দ।

বিভাগ : জাতীয়