মানবিক করিডর কি আসলেই সর্বৈব মিথ্যা ও অশান্তি সৃষ্টির শিল্পকর্ম?

Daily Inqilab মেহেদী হাসান পলাশ

১০ জুন ২০২৫, ১১:৩০ এএম | আপডেট: ১০ জুন ২০২৫, ১১:৩০ এএম

বন্দর ও করিডোর ইস্যুতে বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দল সরকারের সাথে আলোচনা চেয়েছিল। তারা প্রস্তাব দিয়েছিল সরকার যেন সব রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা করে তারপর এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়। সরকারও জানিয়েছিল সবার সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সেই আলোচনার কী হলো, কবে হবে সেই আলোচনা, আদৌ কি হবে- এই প্রশ্ন এখন সচেতন মহলে।

 

বিপরীতে আলোচনার পরিবর্তে বা আলোচনার পূর্বেই উল্টো দেখা গেল, প্রধান উপদেষ্টা তার বক্তব্যে বন্দর নির্দিষ্ট কোম্পানিকে দেয়ার পক্ষে নানা যুক্তি তুলে ধরলেন। অথচ রাজনৈতিক দলগুলোর প্রত্যাশা ছিল, এ সকল যুক্তি তিনি সকল রাজনৈতিক দলগুলোর সামনে উপস্থাপন করবেন এবং তারা এ ব্যাপারে কনভিন্স হয়ে এজাজত দিলে তারপর এগিয়ে নিয়ে যাবেন। অথচ দেখা যাচ্ছে, কোনরূপ আলোচনা ছাড়াই সরকার বন্দর ইস্যুতে কাজ চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বন্দর ডিপি ওয়ার্ল্ডকে দেয়ার ব্যাপারে নানা যুক্তি দেখিয়ে প্রধান উপদেষ্টা তার বক্তব্য শেষ করেছেন এভাবে, "আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাই আপনারা নিজেদেরকে ভিত্তিহীন বিরোধিতা ও অপপ্রচারের শিকার হতে দেবেন না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বন্দর ব্যবস্থাপনার উদ্যোগে আপনাদের দৃঢ় সমর্থন ও ব্যাহত রাখুন। যারা বিরোধিতা করছে তাদের প্রতিহত করুন।"

 

তার এই বক্তব্যে কীভাবে প্রতিহত করতে হবে সে ব্যাপারে কোন ধারণা দেয়া হয়নি। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একে এক ধরনের উস্কানি হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে। তিনি ইতিপূর্বে এ ইস্যুতে সুস্পষ্ট করে বলেছিলেন, ‘আর কিছু শুনতে চাই না, বন্দর ব্যবস্থাপনায় পৃথিবীর সেরা যারা, তাদের হাতে ছেড়ে দিতে হবে, যেভাবেই হোক। মানুষ রাজি না থাকলে রাজি করাতে হবে।’ উল্লিখিত দুটি বক্তব্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায় সরকার এই ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনার অপেক্ষায় নেই।

 

একই মানবিক করিডরের ক্ষেত্রেও বলা যায়। সকল রাজনৈতিক দলই আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়ার ব্যাপারে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছিল। সরকার এখন পর্যন্ত সে বিষয়ে কর্ণপাত করেননি। সরকার প্রথমে মানবিক করিডোর দেয়ার জন্য জোরে সোরে কথা বললে সমালোচনার মুখে তাদের বক্তব্য পরিবর্তন করে বলে, এ বিষয়ে জাতিসংঘ অনুরোধ জানালে বাংলাদেশ এই করিডোর দেয়ার ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকারের এ ভাষ্য অনুযায়ী প্রশ্ন করা যায়, জাতিসংঘ জানানোর পূর্বেই কেন সরকার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিলো? আগেই নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়ার ফলে সরকার জাতিসংঘের সাথে শর্তের ব্যাপারে বার্গেইনিং কার্ড হারিয়ে ফেলেছে বলে নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের ধারণা।

 

এদিকে সমালোচনা আরো বাড়লে বলা হয়, করিডর নয় সেফ প্যাসেজ, সেফ চ্যানেল দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারপরও রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা ছাড়া এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়ার ম্যান্ডেড এই সরকারের আছে কিনা সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নাম পরিবর্তন করলেও এটা দেয়ার ব্যাপারে যে সরকারের ভিতরে এক ধরনের সিদ্ধান্ত হয়েছে সেটা নানাভাবে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বারংবার সরকার বুঝিয়ে দিয়েছে।

 

করিডোর ও চ্যানেলের মধ্যে পার্থক্য করতে গিয়ে সরকার বলেছে, করিডোর হলো মানুষের যাতায়াতের জন্য, আর প্যাসেজ বা চ্যানেল হলো মালামাল পরিবহনের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু পৃথিবীতে পণ্য পরিবহনের জন্য করিডোর দেয়ার অনেক নজির রয়েছে। এ বিষয়ে শান্তি ও নিরাপত্তাবিষয়ক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের প্রেসিডেন্ট মেজর জেনারেল (অব.) আ ন ম মুনীরুজ্জামান এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আসলে মানবিক করিডর বলি বা ত্রাণ পাঠানো বলি—বিষয়টি একই। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এ ক্ষেত্রে কথার মারপ্যাঁচের আশ্রয় নিয়েছেন। ত্রাণ নিয়ে পৌঁছে দেওয়া মানেই করিডর। সাম্প্রতিক সময়ে ‘করিডর’ শব্দটি যেহেতু নেতিবাচক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, তাই তিনি তা বাদ দিয়েছেন। এর পরিবর্তে তিনি রাখাইন রাজ্যে ত্রাণ পাঠানোর কথা বলেছেন। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হয়তো ভেবেছেন যে বাংলাদেশের মানুষ কিছু বুঝবে না, কিন্তু জনগণকে বোকা ভাবা ঠিক নয়। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, করিডর বা ত্রাণ পাঠানো—এই দুটির কার্যক্রম একই। শুধু নামের পরিবর্তন। করিডর আমাদের জন্য যেমন ঝুঁকিপূর্ণ, ত্রাণ পাঠানোর ঝুঁকিও একই।

 

সর্বশেষ জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইস জাতীয় প্রেসক্লাবে গণমাধ্যমকে বলেন, 'বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে রাখাইনে মানবিক সহায়তার জন্য করিডর প্রতিষ্ঠা নিয়ে যে আলোচনা, তার সঙ্গে যুক্ত নয় জাতিসংঘ। ... যেকোনো ধরনের আন্তসীমান্ত সম্পর্ক উন্নয়নের উদ্যোগ, সংঘাতের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের সহায়তা করার জন্য যেকোনো ধরনের উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। এ বিষয়ে জাতিসংঘ সহায়তা করবে। কিন্তু এ ধরনের কোনো মানবিক করিডর নেই। আমরা করিডর–সংক্রান্ত কোনো ধরনের আলোচনায়ও নেই।’ তার এই বক্তব্যে বেশ সুস্পষ্ট ভাবে বোঝা যায়, করিডোর বিষয়টি জাতিসংঘের নয় বরং অদৃশ্য কোন পক্ষের হয়ে বাংলাদেশ বিষয়টি নিয়ে তৎপর হয়েছে।

 

গোয়েন লুইস বিষয়টি অস্বীকার করলেও প্রধান উপদেষ্টা তার ভাষণে সুস্পষ্ট ভাবে বলেন, 'জাতিসংঘ মহাসচিব গত মার্চ মাসে ঢাকা সফরকালে রাখাইন রাজ্যে মানবিক বিপর্যয় মোকাবেলার জন্য একটি ত্রাণ চ্যানেলের প্রস্তাব করেছিলেন।' অথচ আমরা যারা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে থাকি তারা দেখেছি, গত ৭ ফেব্রুয়ারি নিউইয়র্কে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা সমস্যা ও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলী-সংক্রান্ত বিশেষ প্রতিনিধি খলিলুর রহমানের আলোচনায় 'হিউম্যানিটারিয়ান চ্যানেল' বা মানবিক করিডোরের বিষয়টি প্রথমে উত্থাপিত হয়। এ বিষয়ে খলিলুর রহমান সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, আরাকান আর্মি, আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং মিয়ানমার সরকার- সবার সঙ্গে আলোচনা করেই তিনি জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে গিয়েছিলেন। তার ভাষায়, 'জাতিসংঘ মহাসচিবকে আমরা বলেছি, রাখাইনে যে মানবিক সমস্যা, যে সংকট সেটা মোকাবিলার জন্য আন্তর্জাতিক সাহায্যের বিকল্প নেই। সেই কাজটি জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানেই হবে।' নিরাপত্তা উপদেষ্টার এই বক্তব্য বিশ্লেষণ করে যদি কেউ এমন ধারণা করে থাকে যে, যেকোনো অদৃশ্য কারণে করিডরের আলোচনাটি মূলত বাংলাদেশের পক্ষ থেকে উত্থাপিত হয়েছে। তাহলে সেটি একেবারে উড়িয়ে দেয়ার যৌক্তিকতা অন্তত এখানে নেই।

 

প্রধান উপদেষ্টা তার পূর্বের বক্তব্যের ধারাবাহিকতায় করিডরের বিষয়টিতেও মন্তব্য করেছেন যে, "এটি সর্বৈব মিথ্যা। এটা চিলে কান নিয়ে যাওয়ার গল্প। যারা অসত্য কল্পকাহিনী বানিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে ক্রমাগত বিভ্রান্ত করে অশান্তি সৃষ্টিতে নিয়োজিত এটা তাদের শিল্পকর্ম। আপনারা এ বিষয়ে হুঁশিয়ার থাকবেন, কোনভাবেই বিভ্রান্ত হবেন না।'

 

তবে এই বক্তব্যের পরেই তিনি বলেন, "এসব অপপ্রচার সত্ত্বেও আমরা লক্ষ্যচ্যুত হব না। এই জটিল সমস্যাটি সমাধানে আমাদের কাজ চালিয়ে যাব।" তার এই বক্তব্যের মাধ্যমে বোঝা যায়, তিনি তার লক্ষ্যে অবিচল থাকবেন।

 

রোহিঙ্গা বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা তার বক্তব্যে বলেছেন, "আমরা যখন দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলাম তখন রোহিঙ্গা ইস্যুটিকে প্রায় মৃত অবস্থায় পেয়েছিলাম। আন্তর্জাতিক এজেন্ডা থেকে ইস্যুটি ঝরে পড়েছিল। সেই অবস্থা থেকে আমরা ইস্যুটিকে বিশ্ববাসীর দৃষ্টির সম্মুখভাগে নিয়ে আসতে পেরেছি।" অথচ বাস্তবে আমরা দেখতে পাচ্ছি অর্থের অভাবে ৩৩ টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করে দিচ্ছে ইউনিসেফ ও সেভ দ্য চিলড্রেন। ফলে প্রায় আড়াই লাখ রোহিঙ্গা শিশু শিক্ষা কার্যক্রম অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।

 

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টা আরো বলেছেন, "প্রত্যাবাসনের বিষয়ে আরেকটি বড় অগ্রগতি হচ্ছে, মিয়ানমার সরকার কর্তৃক প্রত্যাবাসনযোগ্য রোহিঙ্গাদের সর্বপ্রথম তালিকার ঘোষণা। গত এপ্রিল মাসে বিমসটেক সম্মেলনের আলোচনার সময় মিয়ানমার সরকার প্রথমবারের মতো এক লক্ষ আশি হাজার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনযোগ্য বলে ঘোষণা করেছে।" প্রধান উপদেষ্টা যাকে 'বড় অগ্রগতি' বলে দাবি করছেন, সেই ঘোষণার অব্যবহিত পরেই ১৮ এপ্রিল কক্সবাজারে একটি অনুষ্ঠানে নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান বলেন, “এই মুহুর্তে আরাকানের যে অবস্থা তাতে রোহিঙ্গাদের নিরাপদভাবে প্রত্যাবাসন করা সম্ভব নয়। " এরপর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা গত ৪ মে বিইউপিতে এক সেমিনারে দাবি করেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন এখনই সম্ভব নয়। দুইজন প্রভাবশালী উপদেষ্টার এই ঘোষণার পরে প্রধান উপদেষ্টা যাকে 'বড় অগ্রগতি' বলে দাবি করেছেন তা আসলে কতটা বাস্তবসম্মত তা নিয়ে দেশবাসী সন্দেহ ভঞ্জন হয়েছে।

 

তিনি রোহিঙ্গা বিষয়ে আগামী সেপ্টেম্বর মাসে নিউইয়র্কে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের কথা বেশ জোর দিয়ে তার বক্তব্যে উল্লেখ করেছেন। এখানে প্রশ্ন করা যায়, রোহিঙ্গাদের নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন বাংলাদেশের পরিবর্তে নিউইয়র্কেকে কেন? তাছাড়া এ ধরনের একটি সম্মেলন ঢাকায় আয়োজনের কথা অতীতে শোনা গেলেও সেটি এখন কোন কারণে নিউইয়র্কে আয়োজন করা হচ্ছে সে ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি।

 

বাংলাদেশের অর্ধশতাধিক রাজনৈতিক দল ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের ব্যাপারে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছিল। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী ডিসেম্বর থেকে এপ্রিলে ও বর্তমান সরকারের আমলে জন্ম নেয়া রাজনৈতিক দল এনসিপি বিচার ও সংস্কারের পর নির্বাচন দাবি করেছিল। প্রধান উপদেষ্টা অর্ধ শতাধিক রাজনৈতিক দলের দাবি উপেক্ষা করে এপ্রিলে নির্বাচনের সময় সীমা ঘোষণা করেছেন। এতে ডিসেম্বরে নির্বাচনের দাবি করা অর্ধশত তাদের রাজনৈতিক দল হতাশ ও নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছে।

 

রাজনৈতিক প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, "আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাই, আপনারা সকল রাজনৈতিক দল এবং আপনাদের এলাকার প্রার্থীদের কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট অঙ্গীকার আদায় করে নেবেন যেন, আগামী সংসদের প্রথম অধিবেশনে যেসব সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য অর্জিত হয়েছে তা কোন প্রকার কাটাছেঁড়া ছাড়াই যেন তারা অনুমোদন করেন।... এই নির্বাচনে পরিচিত দলগুলিই থাকবে। তাদের পরিচিত মার্কাগুলিই থাকবে। কিন্তু ভোটারকে বের করে আনতে হবে যে, এই মার্কার পেছনে আপনাদের কাছে ভোট প্রার্থীরা কে কতটুকু 'নতুন বাংলাদেশ' গড়ার জন্য প্রস্তুত, কে কতটা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।.... আশা করি বিষয়টা নিয়ে চিন্তা ভাবনা করেই সবাই ভোটকেন্দ্রে যাব এবং দৃঢ় প্রত্যয় ভোট দেব। এখন থেকে চিন্তাভাবনা শুরু করুন, আলোচনা শুরু করুন। এখন থেকে আপনাদের ভোটের গুরুত্বটা বুঝে নিন। আপনার এবারের ভোটের গুরুত্ব ঐতিহাসিক মানদন্ডে দেখা হবে।"

 

প্রধান উপদেষ্টার এই বক্তব্যে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলের নেতাদের বক্তব্যের সুর প্রতিফলিত হয়েছে বলে অনেকের অভিমত। কেননা জনগণ সংস্কারের পক্ষে ভোট দেবে কি দেবে না এটা তাদের সিদ্ধান্ত। এ ব্যাপারগুলো রাজনৈতিক দলসমূহ তাদের ক্যাম্পেইনিং বা নির্বাচনী ইশতেহারে অন্তর্ভুক্ত করতে পারে। একটি নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের ভূমিকা কেবলমাত্র একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন। এখানে তার ভূমিকা কেবলই আয়োজক ও রেফারির। ভোটারদের দাবি দাওয়া ও ইস্যু নিয়ে বক্তব্য দিয়ে ভোট টানা রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচি, সরকারের নয়। প্রধান উপদেষ্টার এই বক্তব্যের সাথে কোন কোন রাজনৈতিক দলগুলোর বক্তব্যের সাথে মিল পাওয়া যায়। ফলে তার নিরপেক্ষতা নিয়ে ‌যদি কেউ প্রশ্ন তোলে তাহলে জাতির ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক হবে। প্রধান উপদেষ্টার উচিত হবে না এমন সন্দেহ সৃষ্টি হওয়ার সুযোগ দেয়া।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

অর্থনীতিতে কালো মেঘ

অর্থনীতিতে কালো মেঘ

ড. দেবাশীষ পাল বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন-এর সদস্য (ভৌত বিজ্ঞান) নিযুক্ত

ড. দেবাশীষ পাল বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন-এর সদস্য (ভৌত বিজ্ঞান) নিযুক্ত

অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদে তিতাসের অভিযান ও জরিমানা

অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদে তিতাসের অভিযান ও জরিমানা

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার হতে হবে : রাশেদ প্রধান

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার হতে হবে : রাশেদ প্রধান

পুলিশকে ছুরিকাঘাত করা ও হত্যাসহ ১২ মামলার আসামি তানভীর আটক

পুলিশকে ছুরিকাঘাত করা ও হত্যাসহ ১২ মামলার আসামি তানভীর আটক

ঢাবি’র অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মো. আজহারুল ইসলামের মৃত্যুতে ভিসি’র শোক প্রকাশ

ঢাবি’র অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মো. আজহারুল ইসলামের মৃত্যুতে ভিসি’র শোক প্রকাশ

৫ আগস্টের পর ছাত্র রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন এসেছে : এ্যানি

৫ আগস্টের পর ছাত্র রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন এসেছে : এ্যানি

সোনারগাঁও পৌর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগ

সোনারগাঁও পৌর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগ

অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে ছুটির দিনেও প্রতিবাদ সমাবেশ

অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে ছুটির দিনেও প্রতিবাদ সমাবেশ

আদাবর ও মোহাম্মদপুরে ডাকাতি-ছিনতাইসহ কিশোর গ্যাংয়ের ২৭ জন গ্রেফতার

আদাবর ও মোহাম্মদপুরে ডাকাতি-ছিনতাইসহ কিশোর গ্যাংয়ের ২৭ জন গ্রেফতার

ময়মনসিংহে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৯, আহত ১৫

ময়মনসিংহে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৯, আহত ১৫

আগামীকাল ইসিতে নিবন্ধনের আবেদন জমা দেবে এনসিপি

আগামীকাল ইসিতে নিবন্ধনের আবেদন জমা দেবে এনসিপি

ভারতীয় নীতিনির্ধারকরা আ.লীগকে পুনর্বাসনে ষড়যন্ত্র করছে : রিজভী

ভারতীয় নীতিনির্ধারকরা আ.লীগকে পুনর্বাসনে ষড়যন্ত্র করছে : রিজভী

এক লাখ ৮ হাজার বাংলাদেশি ২০২৪ সালেই বিদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন

এক লাখ ৮ হাজার বাংলাদেশি ২০২৪ সালেই বিদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন

অন্তর্বর্তী সরকার একটি বিভাগের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট : সারজিস আলম

অন্তর্বর্তী সরকার একটি বিভাগের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট : সারজিস আলম

নয় বছরেও অধরা তনু হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা

নয় বছরেও অধরা তনু হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা

যুক্তরাষ্ট্রে অর্থ পাচারের দায়ে ভারতীয় শিক্ষার্থীর ৫ বছর কারাদণ্ড

যুক্তরাষ্ট্রে অর্থ পাচারের দায়ে ভারতীয় শিক্ষার্থীর ৫ বছর কারাদণ্ড

খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিদায়ী জার্মান রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিদায়ী জার্মান রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

সিরাজগঞ্জ-৩ আসন : নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করলেন বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা

সিরাজগঞ্জ-৩ আসন : নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করলেন বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা

বিএনপির কাছে নিজেদের দলের লোকই নিরাপদ নয় -রংপুরে সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম

বিএনপির কাছে নিজেদের দলের লোকই নিরাপদ নয় -রংপুরে সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম