আমরা সুইজারল্যান্ড ছিলাম গত ৬ মাসে উগান্ডা হয়ে গেছি বাস্তবতা এমন না: ব্যারিস্টার ফুয়াদ

Daily Inqilab সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক

০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:০০ পিএম | আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:০০ পিএম

আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন, গত ১৬ বছরে যে মব জাস্টিস হয়েছে সেই তুলনায় দেশে এখনো কিছুই হয়নি। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জামালপুর শহরের ফৌজদারি মোড়ে এবি পার্টির জেলা কার্যালয়ে জনসভা পূ্র্বক এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।



এসময় তিনি আরও বলেন, হঠাৎ গত তিন-চার মাসে আমরা মব জাস্টিসের আলোচনা এত বেশি শুনছি যে, আমরা সুইজারল্যান্ডে ছিলাম গত ছয় মাসে আমরা উগান্ডা হয়ে গেছি। বাস্তবতা এরকম না। আমরা ১৬ বছর ধরে মব জাস্টিসের মধ্যেই আছি।



এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেন, এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আপনি বিচারহীনতার একটা সংস্কৃতি গত ১৬ বছর ধরে তৈরি করছেন। তৈরি করে হঠাৎ আপনি আশা করছেন, আমি ছয় মাসে ফেরেশতা হয়ে যাব। এটা এমন যে, একটা ৪০ বছরের পেশাদার ডাকাত ছয় মাসে সে ফেরেশতা হয়ে যাবে। এই রাষ্ট্র গত ১৬ বছরে ডাকাতদের রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে পুলিশ দিয়ে র‍্যাব দিয়ে গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে সশস্ত্র বাহিনী দিয়ে। পাড়া-মহল্লায় যে শত শত আয়নাঘর বানানো হয়েছে এটা কি মব জাস্টিস ছিল না?



তিনি আরও বলেন, ২০১৩ সালে শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় ইসলামী ব্যাংকসহ জামায়াতের যত প্রতিষ্ঠান আছে ভাঙচুর করেছে লুটপাট করেছে। আমার দেশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সংগ্রাম অফিসে গিয়ে হামলা করা হয়েছে। এগুলো কি মব জাস্টিস ছিল না? ব্যারিস্টার ফুয়াদ আরও বলেন, দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় নৃশংস গণহত্যা হয়েছে জুন-জুলাই-আগস্টে। সেটি নিয়ে ন্যূনতম অনুশোচনা নেই আওয়ামী লীগ ও তার নেতাকর্মীদের।



তিনি বলেন, ভারত বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থানকে স্বাগত জানাই। গত ৭৭ বছরের ভারতীয় নীতি, যা আওয়ামী লীগ ও শেখ পরিবারকে তোষণ করার নীতি ছিল ভুল, তা প্রমাণিত হয়েছে। আপনারা বাংলাদেশের সঙ্গে, বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক গড়েন। ভারতের সঙ্গে আমাদের স্থায়ী শত্রুতার কোনো জায়গা নেই। আলোচনার টেবিলে সমাধান করা যাবে না এমন কোনো সমস্যা নেই।



অভিন্ন নদীর পানি বন্টন বিষয়ে তিনি বলেন, গঙ্গাতে পর্যাপ্ত পানি আছে যা দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের দুই দিকের নদীকে বাঁচানো যাবে, উভয় দেশের কৃষকের পানির চাহিদা মিটবে। কিন্তু দরকার হচ্ছে আন্তরিকতার সঙ্গে ব্যবস্থাপনা করা। তবে ভারতকে আওয়ামী লীগের ট্রমা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে, আওয়ামী লীগ এখন মৃত। বাস্তবতায় ফিরে আসতে হবে, বাংলাদেশের সঙ্গে, মানুষের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক গড়তে হবে।



তিনি আরও বলেন, বিএনপির ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা খুবই বেশি, কিন্তু বিএনপির সমালোচনা করা, বিএনপির বাইরেও বড় রাজনৈতিক কাঠামো থাকা দরকার। যারা দেশের মানুষের জন্য, দেশের জন্য সরকারের সমালোচনা করবে। এই গণতন্ত্র না থাকলে বাংলাদেশে সংসদ কার্যকর থাকবে না, রাষ্ট্র থাকবে না।



বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে তিনি বলেন, এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর ৫৩ জন বিচারপতি নিয়োগ দিয়েছে। সেটি কিভাবে দিয়েছে আমরা জানি না। কোটার ভিত্তিতেই নিয়োগের অভিযোগ তোলেন তিনি।


বিভাগ : রাজনীতি


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

জনগনের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ঐকবদ্ধ থেকে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে : আমিনুল হক
একাত্তর থেকে চব্বিশ: সমরে-সগর্বে শহীদ জিয়া  : অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান
৫৩ বছর পরেও মানুষ স্বাধীনতার সুফল ভোগ করতে পারেনি: তারেক রহমান
কিছু কিছু দল বোঝানোর চেষ্টা করছে মুক্তিযুদ্ধ কোনো ঘটনাই ছিল না: মির্জা ফখরুল
সংস্কার প্রস্তাব জমা দিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন
আরও
X

আরও পড়ুন

গাজায় ইসরায়েলি হামলার মধ্যেই ব্যাপক বিক্ষোভ ফিলিস্তিনিদের

গাজায় ইসরায়েলি হামলার মধ্যেই ব্যাপক বিক্ষোভ ফিলিস্তিনিদের

২০২৭ বিশ্বকাপ পর্যন্ত বাংলাদেশের দায়িত্বে সিমন্স

২০২৭ বিশ্বকাপ পর্যন্ত বাংলাদেশের দায়িত্বে সিমন্স

জাতীয় স্মৃতিসৌধে ঢাকা জেলা যুবদলের শ্রদ্ধা নিবেদন

জাতীয় স্মৃতিসৌধে ঢাকা জেলা যুবদলের শ্রদ্ধা নিবেদন

জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রধান বিচারপতির শ্রদ্ধা

জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রধান বিচারপতির শ্রদ্ধা

ইসরাইলি সেনাদের হাতে অস্কারজয়ী ফিলিস্তিনি নির্মাতা অপহরণ

ইসরাইলি সেনাদের হাতে অস্কারজয়ী ফিলিস্তিনি নির্মাতা অপহরণ

ঈদের পর হবে ইমরান-বুশরার মামলার শুনানি

ঈদের পর হবে ইমরান-বুশরার মামলার শুনানি

মঙ্গল শোভাযাত্রায় আবু সাঈদের ‘ভাস্কর্য’ চায় না পরিবার

মঙ্গল শোভাযাত্রায় আবু সাঈদের ‘ভাস্কর্য’ চায় না পরিবার

ব্রাজিলকে নিয়ে ছেলেখেলা করল আর্জেন্টিনা

ব্রাজিলকে নিয়ে ছেলেখেলা করল আর্জেন্টিনা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘গণহত্যা দিবস’ পালিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘গণহত্যা দিবস’ পালিত

যুক্তরাষ্ট্রের শর্ত পূরণেই সিরিয়ার নিষেধাজ্ঞা শিথিলের সম্ভাবনা

যুক্তরাষ্ট্রের শর্ত পূরণেই সিরিয়ার নিষেধাজ্ঞা শিথিলের সম্ভাবনা

জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদন

জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদন

সপ্তমবারের মতো বেলারুশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে লুকাশেঙ্কোর শপথ গ্রহণ

সপ্তমবারের মতো বেলারুশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে লুকাশেঙ্কোর শপথ গ্রহণ

হিলিতে মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত

হিলিতে মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত

বাংলাদেশের জনগণকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন

বাংলাদেশের জনগণকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন

জাবালিয়া ছাড়তে ফিলিস্তিনিদের চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি, হামলার হুমকি ইসরায়েলের

জাবালিয়া ছাড়তে ফিলিস্তিনিদের চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি, হামলার হুমকি ইসরায়েলের

সদরপুরে জামায়াতের ইফতার মাহফিলে আওয়ামীলীগ নেতা! জনমনে কৌতূহল

সদরপুরে জামায়াতের ইফতার মাহফিলে আওয়ামীলীগ নেতা! জনমনে কৌতূহল

রাতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যেয়ে ঘুষ খাওয়ার চেষ্টা, ঘেরাও করে কাস্টমস কর্মকর্তাকে মারধর

রাতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যেয়ে ঘুষ খাওয়ার চেষ্টা, ঘেরাও করে কাস্টমস কর্মকর্তাকে মারধর

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনায় মাছ শিকার করায় রায়পুরে ১২ জেলের অর্থদণ্ড

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনায় মাছ শিকার করায় রায়পুরে ১২ জেলের অর্থদণ্ড

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৩৭, ইয়েমেনে হামলা অব্যাহত

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৩৭, ইয়েমেনে হামলা অব্যাহত

পোশাক শ্রমিকদের বেতন-বোনাস নিয়ে যা জানালো বিজিএমইএ

পোশাক শ্রমিকদের বেতন-বোনাস নিয়ে যা জানালো বিজিএমইএ