বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় আদর্শ নেতা মুহাম্মদ (সা.)
১৬ নভেম্বর ২০২৩, ১২:১০ এএম | আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০২৩, ১২:১০ এএম
বিশ্ব ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ এবং আল্লাহ তা’আলার প্রেরিত সর্বশেষ নবী ও রাসূল মুহাম্মদ (সা.)। তিনি জাহিলি বা অন্ধকার যুগের অবসানকারি ও মানবতার মুক্তির প্রকৃত দিশারি। বিশ্ববাসীর শান্তি, নিরাপত্তা ও সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিতকরণে নিবেদিত প্রাণ, পথপ্রদর্শক, নিরন্তর সংগ্রামী। যখন পাশবিকতা, অমানবিকতা, হিংস্রতা, শিরক ও পৌত্তলিকতার অভিশাপে জর্জরিত এবং ঘোর অন্ধকারে নিমজ্জিত পৃথিবীর তৎকালীন মিশর, ভারত, ব্যাবিলন, নিনোভা, গ্রীস, চীনসহ রোম ও পারস্য সভ্যতা বিধ্বস্ত ও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলো। সর্বত্র ক্ষমতার আস্ফালন, অত্যাচার-নিপীড়ন, সংঘাত-সংঘর্ষ, লুটপাট, সুদ-ঘুষ, মদ-জুয়া, হত্যা, ব্যাভিচার প্রভৃতি সামাজিক অবক্ষয়, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক শোষণ ও সাংস্কৃতিক বেহায়াপনার ব্যাপকতা পেয়েছিলো। সুনীতি কিংবা সুবিচার ধুলোয় লুণ্ঠিত হয়েছিলো। এমনই এক যুগসন্ধিক্ষণে বিশ্ব শান্তির আদর্শ নেতা ও মানবজাতির মুক্তির দূত হিসেবে পৃথিবীতে মুহাম্মদ (সা.)-এর আগমন ঘটে। ঐতিহাসিকগণের মতে, তিনি ৫৭০ মতান্তরে ৫৭১ খ্রিস্টাব্দের রবিউল আওয়াল মাসে কুরাইশ বংশে মক্কার কা’বা গৃহের সন্নিকটে জন্ম গ্রহণ করেন। বাবা আবদুল্লাহ’র ঔরসে ও মা আমিনার গর্ভে জন্ম নিয়ে দাদা আবদুল মুত্তালিবের তত্ত্বাবধানে দুধমাতা হালিমা আস সাদিয়ার গৃহে লালিত-পালিত হোন। ৬ বছর বয়সে মা ও ৮ বছর বয়সে দাদা হারিয়ে ইয়াতিম মুহাম্মদ (সা.) চাচা আবু তালিবের কাছে প্রতিপালিত হোন। কিশোর বয়সে পশু চরানো, চাচা আবু তালিবের সাথে ব্যবসায়ে আত্মনিয়োগ অতপর ২৫ বছর বয়সে খাদিজা (রা.) সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হোন। ৪০ বছর বয়সে অহি প্রাপ্ত হয়ে প্রথমে গোপনে, পরে প্রকাশ্যে আল্লাহর জমিনে দীন কায়েমের অংশ হিসেবে দাওয়াহ কার্যক্রম শুরু করেন। তাওহীদ, রিসালাত, আখিরাত, তাওয়াক্কুল বা আল্লাহর প্রতি ভরসা ও তাযকিয়া বা আত্মশুদ্ধির দাওয়াত দিতে গিয়ে ১৩ বছর অমানুষিক নির্যাতৃন সয়ে ৫৩ বছর বয়সে মক্কা ছেড়ে তিনি মদিনায় হিজরত করেন। পরের ১০ বছর তিনি মক্কা-মদীনা ও তার পাশ্ববর্তী এলাকায় দীনের প্রচার-প্রসারে আত্মনিয়োগ করেন এবং দীনের পূর্ণতা পেলে ৬৩ বছর বয়সে ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে ইনতিকাল করেন। [ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন]।
বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় আদর্শ নেতা মুহাম্মদ (সা.)-এর পদক্ষেপ: মহানবী (সা.) কর্তৃক শান্তি প্রতিষ্ঠার পদক্ষেপ ও পদ্ধতি ছিল অনন্য। দল-মত-গোত্র নির্বিশেষে আরবের জাতি-ধর্ম-বর্ণ—সবার মধ্যে ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন স্থাপন করে সন্ত্রাসমুক্ত শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হোন। নবুওয়াত পূর্বযুগে গোত্রনেতাদের স্বেচ্ছাচারিতা-হঠকারিতা, কুলিনদের দাম্ভিকতা, পুঁজিবাদীদের আগ্রাসী থাবায় চরম অশান্তি ও নিরাপত্তাহীনতার অতল গহ্বরে নিমজ্জিত মানব সমাজকে উদ্ধারকল্পে মহানবী (সা.) শান্তি প্রতিষ্ঠার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। কাবাগৃহ নির্মাণ পরবর্তী ‘হাজরে আসওয়াদ’ স্থাপন নিয়ে সমাজে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ সংঘটিত হওয়ার উপক্রম হলে, তিনি বুদ্ধিদীপ্ত কৌশল প্রয়োগ করে সমাজপতিদেরকে সঙ্গে নিয়ে উদ্ভূত যুদ্ধাবস্থার অবসান ঘটান। ‘হিলফুল ফুজুল’ নামের স্বেচ্ছাসেবী শান্তিসংঘ গঠন করে অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। আর্তের সেবা, অত্যাচারীর প্রতিরোধ, অত্যাচারিতের সহযোগিতা, শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা এবং গোত্রীয় সম্প্রীতি রক্ষায় বদ্ধপরিকর এই সংগঠনের মাধ্যমে তিনি মক্কা ও তার পাশ্ববর্তী এলাকায় প্রচলিত দ্বান্দ্বিক পরিস্থিতি নির্মূল করেন এবং অন্যায়-অত্যাচার, উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদ উচ্ছেদ করে আরব সমাজে শৃঙ্খলা ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করেন।
নবুয়ত প্রাপ্তির পর তিনি কোরাইশদের চরম বাধাঁ-বিপত্তি, জুলুম-নির্যাতন ও নিগ্রহের শিকার হোন। তায়িফে রক্তাক্ত, মক্কায় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন এমনকি হত্যা ষড়যন্ত্রের শিকার হওয়া সত্ত্বেও তিনি শান্তি ভঙ্গের মতো কোনো উগ্রপন্থা গ্রহণ করেননি। বরং তিনি দীন বিজয়ের স্বার্থে ও জীবন রক্ষার্থে আল্লাহ তা’আলার নির্দেশে মাতৃভূমি মক্কা ছেড়ে মদিনায় হিজরত করেন। হিজরতের পর মদিনায় বসবাসরত মুসলমান, ইহুদি, খ্রিষ্টান, পৌত্তলিক প্রভৃতি সম্প্রদায়ের মধ্যে বিরাজমান কলহ-বিবাদ, হিংসা-বিদ্বেষপূর্ণ অস্থিতিশীল পরিস্থিতি মোকাবিলায় শান্তি-সম্প্রীতি স্থাপনে ‘মদিনা সনদ’ নামে শান্তির সনদ প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করেন।
বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় মহানবী (সা.)-এর অনবদ্য ভূমিকার অনন্য স্মারক হুদায়বিয়ার সন্ধি। বাহ্যিক পরাজয়মূলক হওয়া সত্ত্বেও কেবল শান্তি প্রতিষ্ঠার স্বার্থে তিনি এ সন্ধিতে স্বাক্ষর করেন। বিশ্ব শান্তির অগ্রদূতের সাহস, ধৈর্য ও বিচক্ষণতা তখনকার মানুষকে যেমন বিমুগ্ধ করে, তেমনি পরবর্তী প্রজন্মের মানুষদের জন্যও এটি শান্তি প্রতিষ্ঠার আদর্শ ও অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে আছে।
অপরদিকে মহানবী (সা.)-এর শান্তিপূর্ণ ‘মক্কা বিজয়’ মানবেতিহাসের আরেক চমকপ্রদ অধ্যায়। কার্যত তিনি যুদ্ধ, রক্তপাত ও ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ ছাড়াই মক্কা জয় করেন। শান্তি প্রতিষ্ঠার কাজে মক্কা ও মদিনার জীবনে—সর্বত্রই ষড়যন্ত্র, সংঘাত, যুদ্ধ ও মুনাফেকি আচরণ মোকাবিলা করে, শত অত্যাচার-নির্যাতন ও সীমাহীন কষ্ট সয়ে মক্কা বিজয়ের দিন তিনি সবাইকে তাক লাগিয়ে অতুলনীয় ক্ষমা প্রদর্শন করে সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার অনুপম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।
মোদ্দাকথা, মহানবী (সা.) মাক্কি ও মাদানি জীবনে আল্লাহ প্রদত্ত সকল দায়িত্বভার সূচারুভাবে সমাপন করেন। তিনি যেমন জমিনে আল্লাহর আইন ও সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্যে দীন ইসলামের প্রচার করেন। তেমনি শান্তি ও নিরাপত্তার বলয় রক্ষার্থে প্রতিরোধমূলক যুদ্ধ করেন। জীবনে অনেক যুদ্ধের মোকাবিলা করতে হয়েছে তাঁকে, অথচ এর কোনোটিই আক্রমণাত্মক যুদ্ধ ছিলো না। স্বয়ং রাসূল (সা.) ২৭টি প্রতিরোধমূলক যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন এবং দেশের শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার জন্যে সাহাবিদের নেতৃত্বে ৫৭টি অভিযান পরিচালনা করেন। ইসলামের ব্যাপক প্রচার ও প্রসারের পর তিনি বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ, সংলাপ ও সমঝোতাপূর্বক অনেক চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করেন। এগুলো বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিরাট অবদান রাখে।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় রাসূল (সা.)-এর আদর্শের আদলে করণীয় : বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেশে দেশে, বিভিন্ন জনপদে যেভাবে দিনে-দুপুরে, লোকসম্মূখে হত্যা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, লুণ্ঠন, ধর্ষণ, জিঘাংসা, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ভাঙ্চুর, অগ্নিসংযোগ, প্রতিপক্ষকে ঘায়েল, অধিকার হরণ, সুদ, ঘুষ, বেহায়াপনা প্রভৃতি বিকৃত মানসিকতা ও নৈতিক অবক্ষয় বেড়ে চলেছে। এহেন অবস্থায় রাসূল (সা.)-এর আদর্শের আদলে নিম্নবর্ণিত করণীয়গুলো কার্যকরি ভূমিকা পালন করতে পারে।
১. বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্যে মানসপটে থাকা চাই ‘শান্তি ভাবনা’। রাসূল (সা.) যেমনিভাবে সমাজে শান্তি ও শৃঙ্খলা নিশ্চিতকরণে দৃঢ় মনোবল নিয়ে ‘হিলফুল ফুজুল’ নামের শান্তিসংঘের কার্যক্রমে অংশ গ্রহণ করেন। তেমনিভাবে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্যে হৃদয়ে ‘শান্তি ভাবনা’ জাগ্রত রেখে একটি আদর্শিক সংগঠনের কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হওয়া অপরিহার্য।
২. বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ‘বুদ্ধিদীপ্ত কৌশল’ গ্রহণ করা। কাবাগৃহে ‘হাজরে আসওয়াদ’ স্থাপনে রাসূল (সা.) যেভাবে যথার্থ কৌশল অবলম্বন করেন, ঠিক সেভাবে সার্বিক পরিবেশ ও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে উদ্ভূত সমস্যা সমাধানে জনমনের আকাঙ্খার প্রতিফলনকে গুরুত্ব দিয়ে বুদ্ধিদীপ্ত কৌশল গ্রহণ করা।
৩. বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ‘শান্তি চুক্তি’র বিকল্প নেই। রাসূল (সা.) যেভাবে মদিনা রাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা এবং পারস্পরিক সহাবস্থান নিশ্চিত করতে অমুসলিমদের সঙ্গে মদিনা সনদ নামে ‘শান্তি চুক্তি’ করেন। যার ফলে সবাই নিজ নিজ ধর্ম পালনে স্বাধীনতা লাভ করেছিলেন। ঠিক সেভাবে পারস্পরিক শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান সুনিশ্চিতকরণে এবং অন্যের প্রতি হিংসাত্মক মনোভাব, রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা ও সামাজিক অরাজকতা দূরীকরণে প্রয়োজনীয় আইন-বিধান, রীতি-নীতি প্রনয়ণ ও প্রয়োগপূর্বক পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ববোধ ও সামাজিক বন্ধনকে সুদৃঢ় করা।
৪. বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় ‘সন্ধি’র বিকল্প নেই। রাসূল (সা.) বিশ্ব মানবতার মুক্তি ও শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাহ্যিকভাবে স্বার্থবিরোধী শর্ত হওয়া সত্ত্বেও হুদাইবিয়ার সন্ধিতে স্বাক্ষর করেন এবং শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে ইসলামের প্রচার ও প্রসার করেন। যা বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ঐতিহাসিক মাইলফলক হিসেবে সমুজ্জ্বল। এভাবে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান ও সংকট নিরসনে আভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক চুক্তি সম্পাদন করে শান্তি-শৃঙ্খলা সুনিশ্চিত করা।
৫. বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় সুস্পষ্টভাবে ‘শান্তির বাণী’ প্রচার করা। রাসূল (সা.) মক্কা বিজয়ের পর সীমাহীন নির্যাতনকারী ও নিপীড়ককের ব্যাপারেও সাধারণ ক্ষমার ঘোষণা করেন এবং তাদের প্রতি উদার মনোভাব দেখিয়ে শান্তি স্থাপনের বেনজির ইতিহাস সৃষ্টি করেন। তিনি দ্যার্থহীন কণ্ঠে সেদিন বলেন- ‘আমি তা-ই বলবো, যা আমার ভাই ইউসুফ (আ.) বলেছেন, আজ তোমাদের বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ নেই। আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা করুন এবং তিনিই শ্রেষ্ঠ দয়ালু।’ [সুনান আল নাসায়ী, হাদিস : ১১২৯৮]। তিনি অন্যত্র ঘোষণা করেন- ‘নিশ্চয়ই তোমাদের রক্ত, তোমাদের ধন-সম্পদ এবং তোমাদের সম্ভ্রম পরস্পরের জন্য আজকের এই দিন, এই মাস এবং এই শহরের মতো পবিত্র ও মর্যাদাপূর্ণ।’ [সহীহ আল বুখারি, হাদিস নং: ৬৭]। এমনিভাবে বিশ্ববাসীর সামনে শান্তির বাণী তুলে ধরা, যাতে সবাই শান্তি প্রতিষ্ঠায় উদ্বুদ্ধ ও আগ্রহী হয়ে উঠতে পারে। প্রকৃতপক্ষে মহানবী (সা.) অনুসৃত জীবনব্যবস্থা ও আদর্শ বাস্তবায়ন ছাড়া অশান্তির কালো মেঘে ঢাকা এই পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা দূরের কথা শান্তি কামনা করাও অসম্ভব ব্যাপার। কারণ, মানব রচিত কোনো মতবাদ, আদর্শ বা জাগতিকধারার কোনো নেতার নেতৃত্বে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা অসম্ভব। এপ্রসঙ্গে জর্জ বার্নার্ড শ’র উক্তিটি প্রণিধানযোগ্য। তিনি দ্যার্থহীন ভাষায় বলেন-
সমগ্র দুনিয়াটাকে যদি একত্র করে একজনের নেতৃত্বে আনা যেতো তাহলে নানা ধর্মমত, ধর্মবিশ্বাস ও চিন্তার মানুষকে শান্তি সুখের পথে পরিচালনার জন্য মুহাম্মদ (সা)-ই হতেন সর্বোত্তম যোগ্য নেতা।
যেতেতু মুহাম্মদ (সা.) সর্বশেষ রাসূল হিসেবে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন। কাজেই তাঁর রেখে যাওয়া আদর্শ, নীতি ও নির্দেশনা গ্রহণ করে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিবেদিত হতে পারলে আবারো শান্তিময় পৃথিবী ও সোনালী অতীত ফিরে আসবে।
লেখক: গবেষক, অনুবাদক ও প্রাবন্ধিক, কাতার প্রবাসী।
বিভাগ : ধর্ম দর্শন
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বিলুপ্তির পথে মাটির ঘর
চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
প্রতিবন্ধী স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ
কেরু চিনিকলে আখ মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন
বিহারিরা কেমন আছে
লক্ষ্মীপুরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি
আসাদ সরকারের পতন : নতুন সিরিয়ায় ইসরাইলি আগ্রাসন
মেটলাইফ বাংলাদেশের গ্রাহকরা ডিসকাউন্ট পাবেন ওশান প্যারাডাইস হোটেলস ও রিসোর্টে
১৫ নারী ও শিশুকে হস্তান্তর
আবাসন ও গার্মেন্ট খাতের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে
মেহেরপুরে বেড়েছে গরম কাপড় বিক্রি
কাশিয়ানীর হাট-বাজার নিষিদ্ধ পলিথিনে সয়লাব
অ্যানুয়াল বিজনেস কন্টিনিউয়িটি প্ল্যান ড্রিল ২০২৪ আয়োজন করলো ব্র্যাক ব্যাংক
সমস্যায় জর্জরিত আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
সবুজ গালিচায় হলুদের সমারোহ
আখাউড়ায় ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মেধা বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
নিউ ইয়র্কের আদালতে অভিযুক্ত লুইজি
কিউবায় সমাবেশ
ঈশ্বরদীতে দূর্বৃত্তের হামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আহত
থিনেস্ট স্বাস্থ্যের