‘১৫ মিনিটের’ ফাইনাল জিতে চতুর্থবার চ্যাম্পিয়ন কিংস

স্পোর্টস রিপোর্টার

৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১১ এএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১১ এএম

স্বপ্নপূরণ হলো না ঢাকা আবাহনী লিমিটেডের। ঘরোয়া ফুটবলের জনপ্রিয় টুর্নামেন্ট ফেডারেশন কাপের ১৩তম শিরোপা জিততে পারেনি তারা। ঢাকার আকাশী-হলুদদের কাঁদিয়ে ‘১৫ মিনিটের’ ফাইনাল জিতে টুর্নামেন্টের চতুর্থ শিরোপা ঘরে তুললো আগের আসরের চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস।
ইতিহাসে লম্বা সময়ের এক ফাইনাল ম্যাচ। একদিন ১০৫ মিনিট এবং অন্যদিন ১৫ মিনিটের খেলা দেখলেন দর্শকরা। গত ২২ এপ্রিল ফাইনালটি শেষ হতে পারেনি আলোকস্বল্পতার কারণে। তখন ম্যাচের বাকি ছিল অতিরিক্ত সময়ের শেষ ১৫ মিনিট। এক সপ্তাহ পর চলতি ঘরোয়া মৌসুমের দ্বিতীয় টুর্নামেন্ট ফেডারেশন কাপের ফাইনালের দ্বিতীয় দিনে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হয়। যেখানে সাফল্য পায় কিংস। গতকাল ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে ফেডারেশন কাপের ‘১৫ মিনিটের’ ফাইনালে ঢাকা আবাহনীকে টাইব্রেকারে ৫-৩ গোলে হারিয়ে শিরোপা উল্লাসে মাতে দশজনের বসুন্ধরা কিংস। ১৪ হলুদ এবং এক লাল কার্ডের চরম নাটকীয় ও ঘটনাবহুল এই ফাইনালের নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ের খেলা ১-১ গোলে অমিমাংসিত ছিল। ফলে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণের জন্য টাইব্রেকারের ব্যবস্থা করা হয়। টাইব্রেকারেও ছিল নাটকীয়তা। পেনাল্টি শুটআউটে নিজেদের পাঁচ শটেই গোল করেছে বসুন্ধরা। জোনাথন ফার্নান্দেজ, শেখ মোরসালিন, তপু বর্মণ, ইনসান হোসেন ও ড্যাসিয়েল টানা পাঁচ শটে গোল করায় কিংসই ঘরে তুলতে পেরেছে শিরোপা। অন্যদিকে আবাহনীর রাফায়েল আগস্তো, সবুজ ও মিরাজুল ইসলাম গোল করলেও মিস করেন এমেকা। তার শট কিংস গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ ফিরিয়ে দিয়ে দলকে চ্যাম্পিয়ন করতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখেন। টইব্রেকারে জোনাথন ফার্নান্দেজ প্রথম শটে গোল করে এগিয়ে দেন বসুন্ধরাকে (১-০)। রাফায়েল আগস্তো আবাহনীর পক্ষে শট নিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন (১-১)। কিংসের দ্বিতীয় শট নেন মোরসালিন। ঠান্ডা মাথায় গোলরক্ষক মিতুল মারমার বাম দিকে বল জালে জড়ান তিনি (২-১)। আবাহনীর দ্বিতীয় শট নেন এমেকা। তার আটকে দেন গোলরক্ষক শ্রাবণ। পিছিয়ে পড়ে আবাহনী। ২-১ গোলে এগিয়ে থাকা কিংসের তৃতীয় শট নেন অধিনায়ক তপু বর্মণ। তিনি গোল করে দলকে আরও এগিয়ে নেন (৩-১)। আবাহনীর তৃতীয় শট নিতে আসেন সবুজ। গোল করে ব্যবধান ৩-২ করেন তিনি। ইনসান হোসেন গোল করলে বসুন্ধরাকে কিংস এগিয়ে যায় ৪-২ গোালে। আবাহনী তখন ব্যাকফুটে। চতুর্থ শট নেন মিরাজুল ইসলাম। তার শট শ্রাবণ আটকে দিয়েছিলেন। তবে শ্রাবণ গোললাইন থেকে এগিয়ে আসায় ওই শট বাতিল করা হয়। ফিরতি শটে মিরাজুল গোল করলে ব্যবধান দাঁড়ায় ৪-৩। কিংসের পঞ্চম শটে গোল করে জয় নিশ্চিত করেন ব্রাজিলের ড্যাসিয়েল (৫-৩)। ফলে এই ব্যবধানে হেরে শিরোপা পুনরুদ্ধারের স্বপ্ন ভেঙ্গে যায় ঢাকা আবাহনী লিমিটেডের।

এক নজরে ফেডারেশন কাপ
চ্যাম্পিয়ন- বসুন্ধরা কিংস
রানার্সআপ- ঢাকা আবাহনী লিমিটেড
ম্যান অব দ্য ফাইনাল - মেহেদী হাসান শ্রাবন (বসুন্ধরা)
সেরা গোলরক্ষক- মিতুল মারমা (ঢাকা আবাহনী)
সর্বোচ্চ গোলদাতা- তপু বর্মন (৩টি- বসুন্ধরা), মো. ইব্রাহিম (৩টি- ঢাকা আবাহনী)
টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়- তপু বর্মণ (বসুন্ধরা)

বিভাগ : খেলাধুলা