রুচির দুর্ভিক্ষের মধ্য দিয়ে হিরো আলমের উত্থান -মামুনুর রশীদ
২৮ মার্চ ২০২৩, ০৯:২৬ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১০:১৪ এএম

হিরো আলমকে নিয়ে বেশ কড়া সমালোচনা করলেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মামুনুর রশিদ। হিরো আলমকে নিয়ে তিনি প্রথমবার মুখ খোলেন সম্প্রতি অ্যাক্টরস ইকুইটর একটি অনুষ্ঠানে। সেখানে তিনি বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, আমরা একটা রুচির দুর্ভিক্ষের মধ্যে পড়ে গেছি। সেখান থেকে হিরো আলমের মতো একটা লোকের উত্থান হয়েছে। যে উত্থান কুরুচি, কুশিক্ষা ও অপসংস্কৃতির উত্থান। এই উত্থান কীভাবে রোধ করা যাবে, এটা যেমন রাজনৈতিক সমস্যা, তেমনি আমাদের সাংস্কৃতিক সমস্যাও। এরপর তিনি একটি দৈনিকের সাথে আলাপ করতে গিয়ে বলেন, হিরো আলম স¤পর্কে আগে খুব একটা জানতাম না। তবে নাট্যাঙ্গনের কয়েকজন আমাকে হিরো আলমের কর্মকা- স¤পর্ক জানিয়েছেন। এরপর থেকেই হিরো আলমকে নিয়ে বিরক্ত হচ্ছি। তিনি বললেন, খোঁজ নিয়ে দেখলাম, হিরো আলম যখন ইলেকশন করছে, তাকে কেউ একজন একটা গাড়ি দিচ্ছে। সেই গাড়ির আবার নয়-দশ বছরের ফিটনেস নেই। এই হিরো আলম নিয়ে আমি অনেক দিনই বিরক্ত ছিলাম। বিরক্ত ছিলাম এই কারণেও, আমাদের দেশের মানুষের তো রুচির দুর্ভিক্ষ হয়ে গেছে। একটা বান্দর যদি কোথাও নাচতে থাকে আর তার পাশে যদি অভিনয় করি আমি, আমার এখানে দশটা লোক হবে। এটাই যেন এখন স্বাভাবিক। কোনো সৃজনশীল শিল্প তো এসব দিয়ে বিচার করা যাবে না। রুচির সংকট থেকে উত্তরণের উপায় সম্পর্কে তিনি বলেন, উত্তরণের উপায় খুব কঠিন। কারণ, আমাদের রাজনীতিও তো রুচিহীন হয়ে গেছে। রাজনীতি যদি সুস্থ হতো, দুর্নীতিপরায়ণ সমাজ যদি না হতো, তাহলে কিছু একটা হতো। মামুনুর রশীদ বলেন, রাষ্ট্র তো কোনোভাবে রুচির উন্নয়নে কাজ করছে না। তাই এখন আমার আর রাজনীতির কাছে, রাষ্ট্রের কাছে, সংস্কৃতির কাছে, কোথাও আবেদন-নিবেদন নেই। আমার আবেদন, যে মানুষগুলো সামাজিক কাজের প্রতি দায়বদ্ধ, তাঁদের প্রতি। তাঁদের বলতে চাই, আপনারা এগিয়ে আসুন। তিনি বলেন, আজ থেকে ৫০-৬০ বছর আগে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন বলেছিলেন, দেশে একটা রুচির দুর্ভিক্ষ চলছে। আমরা সেই রুচির দুর্ভিক্ষের মধ্যে পড়ে গেছি। আমাদের মিডিয়া মুক্ত হওয়ার ফলে আমরা একটা রুচির দুর্ভিক্ষের মধ্যে আছি। সেখান থেকে হিরো আলমের মতো একটা লোকের উত্থান হয়েছে। যে উত্থান কুরুচি, কুশিক্ষা ও অপসংস্কৃতির মাধ্যমে। আজ অবকাঠামোগত অনেক উন্নয়ন হচ্ছে। কী সুন্দর রাস্তাঘাট হচ্ছে, মেট্রোরেল হচ্ছে, আমরা খুব মুগ্ধ। কিন্তু দেশের মানুষের সংস্কৃতি ও রুচিই যদি ঠিক না করা যায়, এসব কে ব্যবহার করবে, তাই সংস্কৃতি ও রুচির উন্নয়নে কাজ করতে হবে। এদিকে গত সোমবার (২৭ মার্চ) রাতে ফেসবুক লাইভে হিরো আলম মামুনুর রশীদের কথার জবাবে বলেন, তাদের মতো এতো বড় মানুষ আমাকে নিয়ে কথা বলেছেন। এটা আমার জন্য সৌভাগ্য।স্যার আপনি আমাকে নিয়ে যে কথাবার্তা বলেছেন, অনেক আর্টিস্ট আপনার হাতে তৈরি। অনেক লোক আপনার হাতে তৈরি। স্যার আপনি ইচ্ছে করলে কিন্তু আমাকে তৈরি করতে পারতেন। কিন্তু করেন না। তিনি বলেন, হিরো আলমের জন্য বাংলাদেশ নাকি নষ্ট হচ্ছে। যখন নাটকে গালিগালাজ করে, তখন কি আপনাদের রুচি নষ্ট হয় না। হিরো আলম বলেন, আমার কী অপরাধ, কেন আমার লেখাপড়া নাই, চেহারা নাই? আপনার ছেলে যদি হতাম আমি। এভাবে বলতে পারতেন কেউ। হিরো আলমের মামা খালু নাই, ওয়েট নাই। অনেক এমপি সমাজের, দেশের, মানুষের কথা বলে না। নিজেরা ব্যস্ত। তিনি আরও বলেন, কয়টা লোকের রুচি আছে, সংসদে যারা; তাদের কয়জনের লেখাপড়া আছে। ১৮ কোটি লোক থাকতে আমাকে নিয়ে কেন রুচিতে বাধে আপনাদের। হিরো আলম বলেন, আজ আমার জন্য কে দায়ী। আরে ভাই, আপনার আমাকে নিয়ে কথা কেন বলেন। কেন ভাই? আমাকে ধিক্কার দেওয়া বন্ধ করুন। আপনারা বড় বড় কথাবার্তা বলেন। রুচি চেঞ্জ করতে পারেন না কেন?
বিভাগ : আজকের পত্রিকা
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

হজের পূর্ণ পরিকল্পনা প্রকাশ সউদীর

মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টকে আম পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে আজ থেকে কোরিয়ান রেকে চলবে সুবর্ন এক্সপ্রেস

আল হিলাল নয়,মেসিকে বার্সালোনায় দেখতে চান তার বাবা

টেকনাফে বিজিবির অভিযানে চার আসামীসহ ২.১১৭ কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস উদ্ধার, ৪০০ বস্তা সিমেন্ট ও একটি কাঠের বোট জব্ধ

প্রতিশোধ নিতেই গতিতে ভর

রুবাইয়ার ফিফটির ‘হ্যাটট্রিক’

হার্ভার্ড শিক্ষিকাকে কোরআন শরীফ উপহার রিজওয়ানের

চিটাগাং মাস্টার্সের শিরোপা অক্ষুণœ

আফগানদের বিধ্বস্ত করল শ্রীলঙ্কা

বেনজেমার রিয়াল অধ্যায়ের ইতি

বাঁচতে চান তারকা গোলরক্ষক মহসিন

অদম্য আলকারাজ

বিদায় বলে দিলেন ফুটবলের বিস্ময়

টিভিতে দেখুন

খাইবার পাখতুনখোয়ায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে ২ সেনা নিহত

বিদ্যুৎ বিপর্যয় সঙ্কটে শিল্পখাত

আগামী নির্বাচন একটা চ্যালেঞ্জ : শেখ হাসিনা

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা ৭০০১টি

হাসপাতালের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর নাম যুক্ত করে বেইজ্জতি করা হয়েছে