নীলফামারীতে প্রথমবার তরমুজ চাষে সাফল্য
০২ জুন ২০২৩, ০৮:৪৭ পিএম | আপডেট: ০৩ জুন ২০২৩, ১২:০১ এএম
নীলফামারীর মাটিতে তরমুজ হবে কিনা একন নানা সংশয় নিয়ে তরমুজ চাষ করা হয়েছে। এই গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করে সফলতা পেয়েছেন কৃষকরা। ফলে দূরদূরান্ত থেকে লোকজন আসছেন এই তরমুজ ক্ষেত দেখতে। এতে করে কৃষির সঙ্গে জড়িতদের আগ্রহ আরও বাড়ছে।
কৃষি বিভাগের সূত্র মতে, জেলায় স্বাভাবিকভাবে জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহ থেকে ফেব্রুয়ারির প্রথম পর্যন্ত তরমুজের বীজ রোপণ করা হয়। কিন্তু নীলফামারীতে মার্চের প্রথম সপ্তাহে তরমুজের বীজ রোপণ করা হয়। কৃষি বিভাগের অনুপ্রেরণায় এবার জেলা সদরের তিনজন কৃষক ৩৪ শতাংশ জমিতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করেছেন। গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে এ অঞ্চলের আবহাওয়া এবং মাটি উপযোগী।
নীলফামারী জেলা সদরের ইটাখোলা ইউনিয়নের কানিয়ালখাতা ও নীলফামারী পৌরসভা এলাকার হাড়োয়া গ্রামের তিনজন কৃষক ৩৪ শতাংশ জমিতে এই প্রথম তরমুজ চাষ করেছেন। প্রথমবারের মতো গ্রীষ্মকালীন তরমুজের চাষে দেখছেন সফলতা। মাচায় ঝুলছে হলুদ ও সবুজ রঙের গ্রীষ্মকালীন তরমুজ। নিজের আন্তরিকতা ও কৃষি বিভাগের পরামর্শেই তারা এবার সফল হয়েছেন। এর মধ্যে সদরের কানিয়ালখাতা গ্রামের তরমুজ চাষি সামছুল হক (৩৫)। তরমুজ চাষের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তিনি বলেন, আমি প্রতি বছর বেগুন, পটোল, ঢেঁড়সসহ অন্যান্য শাকসবজির আবাদ করি। এ বছর প্রথম ১৫ শতাংশ জমিতে তরমুজের আবাদ করেছি। ফলন খুব ভালো হয়েছে। আমার ক্ষেতের তরমুজ দেখার জন্য দূরদূরান্তের মানুষ প্রতিদিন আসছেন। আমার দেখাদেখি আশপাশের অনেকেই তরমুজ আবাদ করতে চান। আমার বাগানের তরমুজগুলোর রং ও স্বাদ ভালো হয়েছে। আর এক সপ্তাহের মধ্যে সেগুলো বিক্রি করা যাবে।
তিনি আরও বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের সহযোগিতায় ১৫ শতাংশ জমিতে তরমুজ চাষ করে খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। উৎপাদিত তরমুজ বিক্রি করে ১ লাখ ১০ হাজার টাকার বেশি পাওয়া যাবে বলে আশা করছি।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এস এম রাকিব আবেদীন জানান, আমাদের তিনটি ব্লকে তিনজন কৃষক ৩৪ শতাংশ জমিতে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলক তরমুজ চাষ করেছেন। এবারে প্রথম এ আবাদে কৃষকরা এর ফলনে আশাবাদী হয়েছেন। আগামীতে জমির পরিধি বাড়বে বলেও মনে করছেন তিনি। সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আতিক আহমেদ বলেন, গ্রীষ্মকালীন তরমুজ উচ্চ মূল্যের ফসল। এ অঞ্চলে বেলে দো-আঁশ মাটি তরমুজ চাষের জন্য উপযোগী। আমরা প্রথমবারের মতো এর চাষ করে সফলতা দেখছি। এখানে দুইটি জাতের তরমুজ আছে। একটি তৃপ্তি, অপরটি ব্ল্যাকবেরি। দুইটিরই ভেতরের অংশ লাল হবে। এগুলো যেমন রসাল, তেমনি সুমিষ্ট। আশা করছি ভবিষ্যতে এ অঞ্চলে ব্যাপক হারে গ্রীষ্মকালীন তরমুজের চাষ বাড়বে।
বিভাগ : আজকের পত্রিকা
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
তারাকান্দায় ফিসারী থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার
দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে বাংলাদেশী যুবক নিহত
মৌকারার আলা হযরত পীর সাহেব কেবলার ইফতার মাহফিল
দুইশ' উইকেটের খুব কাছে তাইজুল
মাইলফলক থেকে ২৫ রান দূরে মুমিনুল
লিটনের উপর চাপ আসে বাইরে থেকে: পোথাস
মির্জাপুরে জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে স্বামী-স্ত্রীকে পিটিয়ে আহত
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে শতভাগ স্বচ্ছতা থাকবে : কুমিল্লায় প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী
ঈদে বাড়তি ভাড়া চেয়ে হয়রানি করলেই কঠোর ব্যবস্থা- আইজিপি
দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করলেন শাভি
খানসামায় ২২ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী আটক
আমতলীতে এক কিশোরীকে অপহরণ শেষে গণধর্ষণঃ তিন ধর্ষক গ্রেপ্তার
ইউক্রেনে ক্রমশ জোরদার হচ্ছে রাশিয়ার আক্রমণ- দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস
‘নাইটহুড’ সম্মানে ভূষিত হলেন ‘ওপেনহাইমার’ পরিচালক
আর্থিক জালিয়াতির দায়ে এফটিএক্স প্রতিষ্ঠাতার ২৫ বছরের জেল
বিচারিক বিষয়ে নির্বাহী বিভাগের হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করা হবে না: সিজেপি
কুয়েতে কুরআনে হাফেজদের সম্মাননা প্রদান
রাজার সঙ্গে ভুটান সফরে তথ্য প্রতিমন্ত্রী
সাকিবকে পেয়ে উজ্জীবিত বাংলাদেশ
মোংলায় বলগেট ডুবিতে নিখোঁজ ব্যাক্তির লাশ উদ্ধার