যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে
২২ মার্চ ২০২৩, ১০:৫৬ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১০:৪১ পিএম

এক সময়ে ছিলেন অসম্ভব ফিট ফুটবলার। তবে শেষ কয়েক বছর চোট খুব ভোগাচ্ছিল তাকে। এ বছরের শুরুর দিকে যখন চোটে পড়লেন তখন গুঞ্জণ উঠলো বাসাকসেহিরের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করতে পারেন তিনি। আর যদি ইস্তাম্বুলের ক্লাবটির সঙ্গে চুক্তি বাতিল করারই সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে বুট জোড়াও একেবারের জন্য তুলে ফেলবেন। সেই গুঞ্জনই সত্যি করে দিয়ে মাত্র ৩৪ বছর বয়সে গতকাল সব ধরনের ফুটবলকেই বিদায় জানালেন মেসুত ওজিল। তুরস্কে জন্ম নেয়া সাবেক এই জার্মান প্লেমেকার চোটের কাছে পরাজিত হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে বেঁছে নিয়েছিলেন নিজের অবসরের সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য। টুইটারে নিজের অফিশিয়াল একাউন্টে তার সাবেক ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের জার্সি গায়ে ছবি দিয়ে ওজির লিখে, ‘অনেক চিন্তাভাবনার পর জানাচ্ছি, পেশাদার ফুটবল থেকে অবসর নিচ্ছি আমি। প্রায় ১৭ বছর পেশাদার ফুটবলে খেলার সুযোগ হয়েছে আমার, এ জন্য অনেক বেশিই কৃতজ্ঞ।’
ফুটবলের সবুজ গালিচায় আর পড়বে না তার পায়ের ছাপ। অথচ তার স্বর্ণালী সময়ের সতীর্থ লিওনেল মেসি, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, করিম বেনজেমা, লুকা মদ্রিচরা এখনও মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। যারা কিনা সবাই বয়েসেও ওজিলের বড়।
ওজিল অনেকদিন ধরেই তিনি আলোচনায় ছিলেন না চোট ও পড়তি ফর্মের কারণে। ক্যারিয়ারের সোনালী সময়টা রিয়াল মাদ্রিদে আলো ছড়িয়ে পরে আর্সেনালেও মুগ্ধ করেছিলেন ফুটবল বিশ্বকে। দুই বছর থেকেই জন্মভ‚মি তুরস্কের লিগে খেলছিলেন। ওদিকে যে দেশের জার্সি গায়ে চড়িয়েছিলেন, সেই জার্মানিতে জাতিগত ও বর্ণবৈষম্যের শিকার হওয়ার দাবি তুলে ২৯ বছর বয়সেই আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানিয়ে দিয়েছিলেন। মূলত ২০১৮ বিশ্বকাপের আগে তুরস্কের নেতা রজব তাইয়েব এরদোগানের সঙ্গে দেখা করা ও ছবি তোলার পরই জার্মানদের আক্রোশের মুখে পড়েছিলেন ওজিল।
জার্মান ক্লাব শালকেতে শুরু তার, সেখান থেকে ওয়েডার ব্রেমেনে আলো ছড়িয়ে ইউরোপের ক্লাবগুলোর নজরে আসা। দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত ২০১০ বিশ্বকাপে দারুণ ফুটবল খেলা জার্মানির আক্রমণগুলো প্রাণ পেয়েছে তার পায়ে। এরপরই তাকে রিয়াল মাদ্রিদে টেনে নেন সে সময়ের কোচ হোসে মরিনহো। এরপর ‘স্পেশাল ওয়ানের’ অধীনে রিয়ালের যে দলটি সর্বজয়ী বার্সেলোনায় আধিপত্য ভেঙে দেয়, তার প্রাণভোমরা ছিলেন ওজিল। গ্যালাকটিকোর বাকিদের সঙ্গে নিয়ে চোখধাঁধানো, গতিময় পাল্টা আক্রমণনির্ভর ফুটবল উপহার দিয়েছিলেন। ২০১৩ সালে গ্যারেথ বেলের পেছনে ছুটতে গিয়ে ওজিলকে ছেড়ে দেয় মাদ্রিদ।
সুযোগ বুঝে ক্লাব রেকর্ড ভেঙে তাকে আর্সেনালে টেনে নেন আর্সেন ওয়েঙ্গার। সেখানে শুরুতে মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন, তবে শেষদিকে ব্রাত্য হয়ে পড়েন। শেষ পর্যন্ত ২০২১ সালে আর্সেনালে তার ছয় মাস বাকি থাককেই চুক্তি বাতিল করেন। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে ফ্রি ট্রান্সফারে জন্মভূমির ক্লাব ফেনেরবাচেতে যোগ দেন এই মিডফিল্ডার। সেখান থেকে গত জুলাইয়ে যান বাসাকসেহিরে। এখানেই হলো তার শেষটা। ওজিল বিবৃতিতে আরও লিখেছেন, ‘গত কয়েক মাস চোটের পর চোটে ভুগতে ভুগতে নিজের কাছে অনেক বেশি পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল যে ফুটবলের বড় মঞ্চটা ছাড়ার সময় হয়ে গেছে। সমর্থকদের ধন্যবাদ, যারা পরিস্থিতি যাই হোক না কেন এবং যে ক্লাবেই আমি খেলি না কেন,আমার প্রতি গভীর ভালোবাসা দেখিয়েছেন। বিশেষ ধন্যবাদ দিতে চাই আমার পরিবারের সদস্যদের এবং কাছের বন্ধুদের। এখন আমার স্ত্রী আমিনে এবং দুই কন্যা ইডা ও ইলাকে সঙ্গে নিয়ে সামনের দিকে তাকাচ্ছি।’
বিভাগ : আজকের পত্রিকা
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

মশা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ

সংঘাত নয় শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই : প্রধানমন্ত্রী

মার্কিন ভিসা নীতিতে বিএনপির নির্বাচন বর্জনের ষড়যন্ত্র ভেস্তে গেছে

কিসের জাদুতে আমেরিকা থেকে রেমিট্যান্স বাড়ছে

টিভিতে দেখুন

মেয়র তাপসকে গ্রেফতার দাবি

বাফুফেকে পদত্যাগপত্র পাঠালেন ছোটন

নেইমারহীন ব্রাজিলে নতুনের ছড়াছড়ি

লেস্টারের অবনমন টিকে রইল এভারটন

আজ ট্রফির জন্য লড়বে মোহামেডান-আবাহনী

দেড় ঘণ্টার ম্যাচ সাড়ে ৩ ঘণ্টা!

ইউক্রেনের বিমানঘাঁটির সব লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস

নারী ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ শুরু ১০ জুন

এমবাপের চারে-চার

আফগানিস্তান সিরিজ ছেড়ে হজে মাহমুদউল্লাহ

হজের সংক্ষিপ্ত নিয়ম ও জরুরি মাসায়েল-২

এক্সেস রোডে স্বস্তি

সপ্তঋষি স্থানচ্যুত

ক্যানেলের পানি সবুজ

৩৬ মিলিয়নের নতুন চুক্তি