ঢাকা   রোববার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪ | ২২ আশ্বিন ১৪৩১
বিদায় সংবর্ধনায় বিচারপতি নূরুজ্জামান

মামলায় বুদ্ধিবৃত্তিক দুর্নীতি হচ্ছে

Daily Inqilab স্টাফ রিপোর্টার :

১৬ জুন ২০২৩, ১২:০৯ এএম | আপডেট: ১৬ জুন ২০২৩, ১২:০৯ এএম

কিছু কিছু মামলায় বুদ্ধিবৃত্তিক দুর্নীতি হচ্ছে। বিচারালয়ের পবিত্রতা নষ্ট হয় এমন কাজ বিচারক-আইনজীবীরা করতে পারে না। বিচারকরা নিজেরা স্বাধীন না হলে সংবিধানে যা-ই লেখা থাকুক না কেন বিচার বিভাগের স্বাধীনতা আসবে না। এসব মন্তব্য করেছেন আপিল বিভাগের বিদায়ী বিচারপতি মো: নূরুজ্জামান।

গতকাল বৃহস্পতিবার তার বিচারিক কর্মজীবনের শেষ দিনে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সংবর্ধনার জবাবে তিনি একথা বলেন। প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের সকল বিচারপতি ও আইনজীবীগণ এ সংবর্ধনায় উপস্থিত ছিলেন।

বিচারালয়ের পবিত্রতা নষ্ট হয় এমন কাজ বিচারক-আইনজীবীরা করতে পারে না উল্লেখ করে বিচারপতি মো: নূরুজ্জামান বলেন, এটা আমার মতামত যে, কোনো কোনো মামলায় বুদ্ধিবৃত্তিক দুর্নীতি হচ্ছে।

সিনিয়রদের প্রতি শ্রদ্ধার পাশাপাশি আইনজীবী সমিতির মর্যাদা রক্ষার আহ্বান জানিয়ে বিচারপতি মো: নূরুজ্জামান বলেন, আইনজীবী সমিতি হচ্ছে বিচারক তৈরির সূতিকাগার। সেই আইনজীবী সমিতিতে যদি ঐক্য না থাকে, তাহলে আমাদের অন্তরে কষ্ট লাগে। কারণ, আমরাও (বিচারকরা) আইনজীবী সমিতি থেকেই এসেছি।’

বিচারপতি মো: নূরুজ্জামানের বিদায়ী সংবর্ধনায় অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের পক্ষ থেকে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির পক্ষে সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মো: মোমতাজ উদ্দিন ফকির বক্তব্য রাখেন। এসময় আপিল বিভাগের আদালত কক্ষ আইনজীবীদের উপস্থিতিতে কানায় কানায় পূর্ণ ছিল।

উল্লেখ্য, বিচারপতি মো: নূরুজ্জামান ১৯৫৬ সালের ১ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা ও কিশোরগঞ্জ সাব ডিভিশনে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করেন। ১৯৮৩ সালে তিনি জেলা জজ আদালতের তালিকাভুক্ত আইনজীবী হন। ১৯৮৭ সালে তিনি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।

২০০৯ সালে তিনি হাইকোর্টে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। দুই বছর পর ২০১১ সালে তিনি হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি নিযুক্ত হন। এরপর ২০১৮ সালের ৮ অক্টোবর তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি নিযুক্ত হন। আইন পেশায় থাকাকালে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্যানেল থেকে ঢাকা বারের সভাপতি নির্বাচিত হন।


বিভাগ : বাংলাদেশ


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

‘ইসলামপন্থীদের ফাঁদে ফেলে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চলছে’

‘ইসলামপন্থীদের ফাঁদে ফেলে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চলছে’

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ ছিল ইতিহাসের বৃহত্তম হামলা: নেতানিয়াহু

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ ছিল ইতিহাসের বৃহত্তম হামলা: নেতানিয়াহু

সিলেটের ১২ লাখ টাকা মূল্যের ভারতীয় ক্রীম সহ একটি প্রাইভেটকার আটক : পুলিশের মামলা

সিলেটের ১২ লাখ টাকা মূল্যের ভারতীয় ক্রীম সহ একটি প্রাইভেটকার আটক : পুলিশের মামলা

উত্তাল পাকিস্তান ইমরান খানের মুক্তির দাবি।

উত্তাল পাকিস্তান ইমরান খানের মুক্তির দাবি।

আনারসের পাতা দিয়ে তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন শৌখিন পণ্য

আনারসের পাতা দিয়ে তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন শৌখিন পণ্য

গাজা যুদ্ধের বছর পূর্তিতে বিশ্বব্যাপী ফিলিস্তিনপন্থীদের বিক্ষোভ

গাজা যুদ্ধের বছর পূর্তিতে বিশ্বব্যাপী ফিলিস্তিনপন্থীদের বিক্ষোভ

এমিরেটস এয়ারলাইন্সে ব্যবহার করা যাবে না পেজার ও ওয়াকিটকি!

এমিরেটস এয়ারলাইন্সে ব্যবহার করা যাবে না পেজার ও ওয়াকিটকি!

ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে পাকিস্তানে বিক্ষোভ

ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে পাকিস্তানে বিক্ষোভ

বাজার সিন্ডিকেটবাজদের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর হুঁশিয়ারি

বাজার সিন্ডিকেটবাজদের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর হুঁশিয়ারি

পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ইতিহাস! বিনা খরচে জন্মাল টেস্ট টিউব বেবি

পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ইতিহাস! বিনা খরচে জন্মাল টেস্ট টিউব বেবি

গ্রেপ্তারের তালিকায় ৯০ পুলিশ কর্মকর্তা!'

গ্রেপ্তারের তালিকায় ৯০ পুলিশ কর্মকর্তা!'

সিরাজগঞ্জে ছাত্র-জনতার মিছিলে প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে গুলিবর্ষণকারী আওয়ামী দুর্বৃত্ত আবু মুছা কক্সবাজারে গ্রেপ্তার

সিরাজগঞ্জে ছাত্র-জনতার মিছিলে প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে গুলিবর্ষণকারী আওয়ামী দুর্বৃত্ত আবু মুছা কক্সবাজারে গ্রেপ্তার

সিলেটে আন্দোলনে নিহত ২২ জনের দাফন ময়নাতদন্ত ছাড়াই, লাশ তোলা হবে ৯ জনের

সিলেটে আন্দোলনে নিহত ২২ জনের দাফন ময়নাতদন্ত ছাড়াই, লাশ তোলা হবে ৯ জনের

আওয়ামী লীগের শাসনামলে সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী নির্যাতন ঢাবিতে : গবেষণা

আওয়ামী লীগের শাসনামলে সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী নির্যাতন ঢাবিতে : গবেষণা

তালেবানকে সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকা থেকে বাদ দিচ্ছে রাশিয়া।

তালেবানকে সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকা থেকে বাদ দিচ্ছে রাশিয়া।

বিভিন্ন পক্ষ ইইউ’র অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের বিরোধিতা করে

বিভিন্ন পক্ষ ইইউ’র অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের বিরোধিতা করে

বন্যায় শেরপুরের অবস্থা ভয়াবহ, মৃত্যু বেড়ে ৭, পানিবন্দী লাখো মানুষ

বন্যায় শেরপুরের অবস্থা ভয়াবহ, মৃত্যু বেড়ে ৭, পানিবন্দী লাখো মানুষ

৭৫ বছর ধরে বিশ্বের শান্তি রক্ষায় কাজ করছে চীন

৭৫ বছর ধরে বিশ্বের শান্তি রক্ষায় কাজ করছে চীন

আসছে নতুন ডিজাইন : টাকায় থাকছে না মুজিবের ছবি

আসছে নতুন ডিজাইন : টাকায় থাকছে না মুজিবের ছবি

আশুলিয়ায় ৬৩ শ্রমিক বরখাস্ত, কারখানা বন্ধ ঘোষণা

আশুলিয়ায় ৬৩ শ্রমিক বরখাস্ত, কারখানা বন্ধ ঘোষণা