বিএনপিকে মাঠ ছাড়া করতেই গায়েবি মামলা দিচ্ছে পুলিশ
১৭ জুন ২০২৩, ১১:৫৩ পিএম | আপডেট: ১৮ জুন ২০২৩, ১২:০১ এএম
আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপিকে মাঠ ছাড়া করতে ফের গায়েবি মামলা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করে মহানগর বিএনপির আহŸায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, মিথ্যা মামলা দিয়ে সরকার তার পতন ঠেকাতে পারবে না। তিনি অবিলম্বে গায়েবি মামলায় গ্রেফতার ও গণহয়রানি বন্ধের দাবি জানান।
গতকাল শনিবার নগরীর কাজীর দেউড়ির নসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয়ে মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।
গত বুধবার নগরীর কাজির দেউড়িতে তারুণ্যের সমাবেশে আসার পথে চট্টগ্রাম কলেজ এলাকায় যুবদলের মিছিলে হামলা করে ছাত্রলীগ। ওই ঘটনায় উল্টো যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাদের নামে মামলা করেছে ছাত্রলীগ। পুলিশ ওই মামলায় ব্যাপক ধরপাকড় চালিয়ে যাচ্ছে।
ডা. শাহাদাত অভিযোগ করেন ভারতে চোখের অপারেশন করতে যাওয়া বিএনপির এক নেতাকেও ছাত্রলীগ কর্মীর করা মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের তারুণ্যের সমাবেশ হয়েছে ১৪ জুন। আর চকবাজার থানায় ছাত্রলীগ কর্মীর করা মামলায় ৪৫ নম্বরে যাকে আসামি করা হয়েছে মো. ইউসুফ তিনি তখন ভারতের চেন্নাইয়ে ছিলেন। তিনি ঢাকায় এসেছেন ১৫ জুন। মিথ্যা মামলায় তাকে ফাঁসানো হয়েছে। ২০২৪ সালের আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার ও প্রশাসন এসব গায়েবি মামলা করছে। অনৈতিকভাবে এসব মামলা করে বিএনপির নেতাকর্মীদের ঘরছাড়া, মাঠছাড়া করতে চায় সরকার। ঠিক যেভাবে ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে আমাদের ৫৫ জন সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে হয়রানী করেছিল। এই পুলিশী হয়রানি বন্ধ করা না হলে আমরা হরতালের মতো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবো। তিনি বলেন, গত ১৪ জুন বিএনপির যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের উদ্যোগে কাজীর দেউড়ির মোড়ে দেশ বাঁচাতে তারুণ্যের সমাবেশ কর্মসূচি করার কথা ছিল ১১ জুন। কিন্তু যুবলীগ একই দিন পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করায় আমরা সংঘাতময় পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য আমাদের কর্মসূচি পিছিয়ে ১৪ জুন করি। এরপরও যুবলীগ আমাদের সমাবেশের দিন শান্তি সমাবেশের নামে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সমাবেশ করেছে। ওইদিন আমাদের সমাবেশে যোগদানের জন্য যুবদল ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে আসার পথে চট্টগ্রাম কলেজের সামনে ও জামাল খান মোড়ে তারা হামলা চালিয়ে নেতাকর্মীদের আহত করে। পরে উল্টো বিএনপি নেতা এরশাদ উল্লাহ, এম আই চৌধুরী মামুন ও যুবদল নেতা মোশারফ হোসেন, এমদাদুল হক বাদশাসহ পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীর নামে কোতোয়ালি ও চকবাজার থানায় দুইটি মামলা করা হয়। এরপর থেকে পুলিশ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গণগ্রেফতার শুরু করেছে। সেদিন রাতে সমাবেশ থেকে নিজ বাসায় ফেরার পথে মীরসরাইয়ে ছাত্রদল নেত্রী নাদিয়া নুসরাতকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শারীরিক হেনস্তা করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পুলিশ তাকে গত বছরের ডিসেম্বর মাসের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়ে দিয়েছে।
জামালখানে ম্যুরাল ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপির কেউ জড়িত ছিলো না দাবি করে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, পুলিশের দায়ের করা মামলায় জামালখান মোড়ে ম্যুরাল ভাঙ্গার অভিযোগ করা হয়। অথচ এই ঘটনার সাথে বিএনপির নেতাকর্মীদের কোনোরকম সম্পর্ক নেই। বরং এর আগের দিন মহানগর যুবলীগের কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে নিজেদের মধ্যে মারামারি করে। এই মারামারি থেকেই বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙচুর করা হয়। মামলায় যাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে তারা কেউ যদি ওইদিন জামালখানে ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত এমন প্রমাণ থাকে, ভিডিও ফুটেজে থাকে তাহলে আমরা সব দায় স্বীকার করে নেব।
তিনি বলেন, বুধবার রাতে চাঁন্দগাওয়ের বাসা থেকে গ্রেফতার করা সাবেক ছাত্রদল নেতা নওশাদকে ফাঁসানোর জন্য এনায়েত বাজারের গোয়াল পাড় থেকে অস্ত্র উদ্ধারের নাটক সাজানো হয়। বাকলিয়া থানা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা শামীম ও জাহাঙ্গীরকে চকবাজার থানা পুলিশ ঘর থেকে ধরে নিয়ে শারিরীক নির্যাতন করা হয়। আমি থানায় গিয়ে তাদের দেখে এসেছি। তাদের সারা শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন। যদি মামলার আসামি হয়ও তাহলে মারার অধিকার আপনাকে কে দিয়েছে? আপনি গ্রেফতার করতে পারবেন। গায়ে হাত তোলার অধিকার কেউ আপনাদের দেয়নি। সবার নামের লিস্ট করা হচ্ছে।
বিপ্লব উদ্যানে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা জিয়াউর রহমানের নাম কালি দিয়ে মুছে দিয়েছে। জিয়া জাদুঘরে জিয়াউর রহমানে ম্যুরালে কালো কাপড় দিয়ে ডেকে দেওয়া হয়েছিলো।
অথচ মহান মুক্তিযুদ্ধে হানাদার বাহিনীর অতর্কিত হামলায় এক অনিশ্চয়তার মধ্যে জিয়াউর রহমান পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে ‘উই রিভোল্ট’ বলে বিদ্রোহের সুচনা করেছিলেন।
তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন সেক্টর কমান্ডার, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, একজন বীর উত্তম। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা এ এম নাজিম উদ্দিন, আবুল হাশেম বক্কর, আবু সুফিয়ান, এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এড. আবদুস সাত্তার, এস এম সাইফুল আলম, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, আবদুল মান্নান প্রমুখ।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ভারতে 'এক দেশ এক ভোট’ আয়োজন কতটা সম্ভব হবে?
বৈরুতে ইসরাইলি বিমান হামলায় নিহত ৯
কুমিল্লায় অনুষ্ঠানে দাওয়াত না দেওয়ায় প্রবাসীর ওপর হামলা
এবার হলিউডের সিনেমায় জ্যাকুলিন
৯ বছর পর ভারতীয় প্রেক্ষাগৃহে পাকিস্তানি সিনেমা!
জামাত ক্ষমতায় গেলে নারীদের অধিকার খর্ব হবে না: সেলিম উদ্দিন
স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে
‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের
শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি
মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ
দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
‘হাসিনা ও তার দোসরদের বিচারের আওতায় আনতে হবে’: বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এ্যানি
ঢাকাস্থ গণচীনের দূতাবাসের প্রতিনিধিদলের ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত
‘হাসিনা ও তার দোসরদের বিচারের আওতায় আনতে হবে’: বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এ্যানি
রাসূলুল্লাহ (সা.) আদর্শই একমাত্র অনুসরণীয় আদর্শ জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ান
নারী মাদকসেবীদের জীবন মান উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
ধর্ম যার যার, নিরাপত্তা পাওয়ার অধিকার সবার: তারেক রহমান
আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া কাম্য নয় : ইউট্যাব
আগামী সংসদে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে প্রতিনিধি নির্বাচনের দাবি চরমোনাই পীরের