এফবিসিসিআই নির্বাচনে বৈধ প্রার্থী ১৩৪
১৬ জুলাই ২০২৩, ১০:৫৭ পিএম | আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম
ঋণ ও কর খেলাপিসহ অন্যান্য কারণে ৩২ জন ব্যবসায়ী এফবিসিসিআইয়ের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষিত হয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৩০ জন নির্বাচন বোর্ডে আপিল করেন, যাঁদের মধ্যে ২৭ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। তিনজনের আপিল খারিজ হয়েছে। আর দুজন প্রার্থী আপিল করেননি। ফলে ৫ জন ব্যবসায়ীর মনোনয়ন চূড়ান্তভাবে বাতিল করেছে এফবিসিসিআইয়ের নির্বাচনী বোর্ড। গতকাল ২০২৩-২৫ মেয়াদের জন্য এফবিসিসিআইয়ের নির্বাচন বোর্ড বৈধ প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করে। এতে দেখা যায়, এফবিসিসিআই’র ৮০ পরিচালক পদের বিপরীতের বর্তমানে বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩৪ জনে। সংগঠনটিতে মোট পরিচালক পদ ৮০টি। এসব পদ আবার দুই ভাগে বিভক্ত। এক ভাগে জেলাভিত্তিক বাণিজ্য সংগঠন বা চেম্বার থেকে ৪০ জন পরিচালক হন। বাকি পদ পণ্যভিত্তিক ব্যবসায়ী সংগঠনের জন্য সংরক্ষিত।
চেম্বার গ্রুপ থেকে ১৭ জন মনোনীত পরিচালক পদের বিপরীতে বর্তমানে বৈধ প্রার্থী আছেন ১৬ জন ব্যবসায়ী। অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপে ১৭ জন মনোনীত পরিচালক পদের বিপরীতেও একই সংখ্যক অর্থাৎ ১৬ জন বৈধ প্রার্থী আছেন। তার মানে এই দুই গ্রুপে একটি করে মোট দুটি পদ শূন্য থাকছে। অন্যদিকে সরাসরি ভোটের জন্য চেম্বার গ্রুপ থেকে ২৩ পরিচালক পদের বিপরীতে প্রার্থী আছেন ৭৩ জন। আর অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ থেকে সমানসংখ্যক পদের বিপরীতে বর্তমানে বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা ২৯। যদিও আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহার করার সুযোগ রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্যাংকঋণ ও কর খেলাপির অভিযোগে মনোনয়ন বাতিল হওয়া শফিকুল ইসলাম ভরসা এবং কর খেলাপির অভিযোগে মনোনয়ন বাতিল হওয়া মো. জাকির হোসেন প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন বোর্ডে আপিল করেননি। মনোনয়নপত্র ও ভোটার তালিকার স্বাক্ষরের মধ্যে গরমিল এবং মনোনয়নপত্রে কাটাকাটির কারণে নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সহসভাপতি ফজলে শামীম এহসানের নির্বাচনে অযোগ্য হন। তিনি প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিলও করেন। তবে আপিল শুনানির দিন তিনি উপস্থিতি হননি। সে কারণে তাঁর আপিল গ্রহণ করেনি নির্বাচন বোর্ড।
এ ছাড়া ঋণ ও করখেলাপি হওয়ার অভিযোগে আবুল হোসেন ও মোহাম্মদ নিজাম উদ্দীনের মনোনয়ন বাতিল হয়েছিল। তাঁরাও প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল করেন। তবে তাঁদের দাখিল করা কাগজপত্র গ্রহণ করেনি নির্বাচন বোর্ড। ফলে এই দুই প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। এ ছাড়া মনোনয়ন স্থগিত থাকা আবদুল হক ও এনায়েত উল্লাহ সিদ্দিকী প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।
ব্যাংকঋণ ও কর খেলাপি হওয়া এবং অন্যান্য অভিযোগে যাঁদের মনোনয়ন বাতিল হওয়ার পর আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন তাঁরা হলেন সরাসরি ভোটের জন্য অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপে বিলিং বোর্ড প্রস্তুতকারক সমিতির সৈয়দ সাদাত আলমাস কবির, মেধাস্বত্ব সমিতির মোহাম্মেদ খোরশেদ আলম, ফল ও সবজি রফতানিকারক সমিতির মোহাম্মদ মনসুর, ইনডেনটিং এজেন্টস সমিতির সাহাব উদ্দিন খান, ইলেকট্রিক্যাল সমিতির খন্দকার রুহুল আমিন, সেকেন্ডারি কোয়ালিটি টিনপ্লেট আমদানিকারক ও ব্যবসায়ী সমিতির নিজামউদ্দিন রাজেশ, পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির মো. আবুল হাশেম, ফল আমদানিকারক সমিতির সিরাজুল ইসলাম, রিভার ট্রান্সপোর্ট এজেন্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের রাকিবুল আলম, মাছ রপ্তানি ও আমদানিকারক সমিতির সালমা হোসেন অ্যাশ, ডিম উৎপাদক সমিতির তাহের আহমেদ সিদ্দিকী, তৃণমূল নারী উদ্যোক্তা সমিতির মৌসুমী ইসলাম এবং ওয়াটার ওয়ার্কস অ্যাসোসিয়েশনের মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।
অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপে মনোনীত পরিচালক পদে কর খেলাপির হওয়ার অভিযোগে মনোনয়ন বাতিল হওয়ার পর আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) নজরুল ইসলাম মজুমদার। একইভাবে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজের মোহাম্মেদ আবুল বাশার, সড়ক পরিবহন সমিতির খন্দকার এনায়েত উল্লাহ এবং পুরোনো গাড়ি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বারভিডার হাবিব উল্লাহ ডন। কর খেলাপি হওয়ায় এই তিনজন নির্বাচনে জন্য প্রাথমিকভাবে অযোগ্য হয়েছিলেন। এ ছাড়া ঋণ খেলাপির কারণে মনোনয়ন বাতিল হলে আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন আসবাব রপ্তানিকারক সমিতির কে এম আক্তারুজ্জামান। ব্যাংকঋণ ও কর খেলাপির কারণে মনোনয়ন বাতিল হওয়ার পর আপিল করে সরাসরি ভোটের জন্য চেম্বার গ্রুপের প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন বাগেরহাট চেম্বারের হাসিনা নেওয়াজ, নরসিংদী চেম্বারের মো. আলী হোসেইন, পটুয়াখালী চেম্বারের মো. শাহ জালাল, সিরাজগঞ্জ চেম্বারের মোহাম্মদ রিয়াদ আলী এবং লক্ষ্মীপুর চেম্বারের মোহাব্বত উল্লাহ।
এ ছাড়া আপিল করে চেম্বার গ্রুপের মনোনীত পরিচালক পদের প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ঢাকা চেম্বারের আবুল কাসেম খান, ময়মনসিংহ চেম্বারের সামিউল হক সাফা এবং গোপালগঞ্জ চেম্বারের সুজিব রঞ্জন দাশ। কর খেলাপের অভিযোগে তাঁদের প্রত্যেকের মনোনয়ন প্রাথমিকভাবে বাতিল হয়েছিল। এফবিসিসিআইয়ের এবারের নির্বাচনে ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ ও সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ নামে দুই প্যানেল রয়েছে। ঐক্য পরিষদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম। তিনি চেম্বার গ্রুপ থেকে মনোনীত পরিচালক হচ্ছেন। অন্যদিকে সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সহসভাপতি মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
রোমাঞ্চকর ম্যাচে বার্সাকে হারিয়ে শীর্ষে আতলেটিকো
জেসুসের জোড়া গোলের রাতে আর্সেনালের বড় জয়
বিলুপ্তির পথে মাটির ঘর
চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
প্রতিবন্ধী স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ
কেরু চিনিকলে আখ মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন
বিহারিরা কেমন আছে
লক্ষ্মীপুরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি
আসাদ সরকারের পতন : নতুন সিরিয়ায় ইসরাইলি আগ্রাসন
মেটলাইফ বাংলাদেশের গ্রাহকরা ডিসকাউন্ট পাবেন ওশান প্যারাডাইস হোটেলস ও রিসোর্টে
১৫ নারী ও শিশুকে হস্তান্তর
আবাসন ও গার্মেন্ট খাতের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে
মেহেরপুরে বেড়েছে গরম কাপড় বিক্রি
কাশিয়ানীর হাট-বাজার নিষিদ্ধ পলিথিনে সয়লাব
অ্যানুয়াল বিজনেস কন্টিনিউয়িটি প্ল্যান ড্রিল ২০২৪ আয়োজন করলো ব্র্যাক ব্যাংক
সমস্যায় জর্জরিত আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
সবুজ গালিচায় হলুদের সমারোহ
আখাউড়ায় ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মেধা বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
নিউ ইয়র্কের আদালতে অভিযুক্ত লুইজি
কিউবায় সমাবেশ