জ্বালানির দাম মেটাতে আইটিএফসির ঋণ চায় বিপিসি
১৬ জুলাই ২০২৩, ১১:০০ পিএম | আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম
পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানিতে ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফাইন্যান্সের (আইটিএফসি) থেকে আরও ৪০ কোটি ডলার ঋণ নিতে চায় বিপিসি। এরই মধ্যে সরকারি পর্যায়ে অনুমোদন প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। বিপিসি চেয়ারম্যান বলছেন, ঋণের অর্থে আমদানি বিল সময়মতো মেটানো সহজ হবে। তবে, ঋণের উচ্চ সুদহারের প্রভাব নিয়ে চিন্তিত বিশেষজ্ঞরা।
বছরে ১৩-১৪ লাখ টন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। যার বিল পরিশোধ নিশ্চিতে চলতি অর্থবছরের জন্য ১৪০ কোটি ডলার ঋণচুক্তি করেছে আইটিএফসির সাথে।
বর্তমানে দেশে মাসে ৪ লাখ টনের বেশি পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি হয়। সরকারি পর্যায়ে চুক্তিবদ্ধ বিভিন্ন দেশের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এসব জ্বালানি সরবরাহ করে। কিন্তু ডলার সংকটে গত এক বছর সময়মতো আমদানি বিল পরিশোধ করতে পারছে না বিপিসি। ব্যাংকে টাকা জমা দিলেও মিলছে না ডলার। এলসি নিস্পতি না হওয়ায় বকেয়ার আদায়ে কোন কোন প্রতিষ্ঠান জ্বালানি সরবরাহ স্থগিতের হুমকিও দেয়। বিপিসি বলছে, এমন অবস্থা থেকে উত্তরণে পরিশোধিত জ্বালানির জন্যও আইটিএফসির ঋণ চাওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে ৪০ কোটি ডলার ঋণ প্রস্তাবে সাড়াও দিয়েছে সংস্থাটি।
বিপিসির চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ বলেন, ‘রিফাইন অয়েলের ক্ষেত্রেও তাদের সহযোগীতা চেয়েছি। আমরা মন্ত্রণালয়ে পত্র দিয়েছি। আমি যতটুকু জানি, মন্ত্রণালয় এটা নিয়ে কাজ করছে। এটা পেলে যেটা সুবিধা হবে যে রিফাইন অয়েলের যারা সাপ্লায়ার তাদের পেমেন্টটা আমরা যদি আইটিএফসির মাধ্যমে সাথে সাথে দিয়ে দেই তাহলে সাপ্লায়াররা হ্যাপি হলো। আর আইটিএফসি যে পেমেন্টটা তারা দিলো সেটা আমরা ৬ মাস পরে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তা নিয়ে এটি পরিশোধ করা হবে।
গত একবছরে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১২ বিলিয়ন ডলারের বেশি কমে ৩০ বিলিয়নের নিচে। এমন সংকটে বিদেশি ঋণে ডলারের যোগানকে ইতিবাচক বলছেন অর্থনীতিবিদরা। কিন্তু অতিরিক্ত সুদে আইটিএফসির ঋণের প্রভাব নিয়ে সংশয়ে জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান বলেন, সংকটমুক্তির একটাই উপায়। সেটা হলো আরও ডলার ইনফ্লো করা, বাংলাদেশে সাপ্লাই বাড়ানো। সাপ্লাই যদি বাড়ে, বাজারেও যদি সাপ্লাই বাড়ে, যেমন আমের সাপ্লাই যদি বেড়ে যায় দাম কমে যায় না? এজন্য ডলারের সাপ্লাই আমাদের বাড়াতে হবে। অবশ্য জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বদরুল ইমাম বলেন, আইটিএফসির ঋণের সুদহার অনেক বেশি। প্রায় ৭ ভাগ।
সুতরাং এই সুদে ঋণ নিলে তা বিপিসিকে কিভাবে প্রভাবিত করবে বা তেলের মূল্য বৃদ্ধি করবে কিনা সেটা বিবেচনা করা প্রয়োজন। বিভিন্ন জ্বালানি সরবরাহকারীর কাছে বিপিসির এখনো বকেয়া ২০ কোটি ডলার।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
রোমাঞ্চকর ম্যাচে বার্সাকে হারিয়ে শীর্ষে আতলেটিকো
জেসুসের জোড়া গোলের রাতে আর্সেনালের বড় জয়
বিলুপ্তির পথে মাটির ঘর
চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
প্রতিবন্ধী স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ
কেরু চিনিকলে আখ মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন
বিহারিরা কেমন আছে
লক্ষ্মীপুরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি
আসাদ সরকারের পতন : নতুন সিরিয়ায় ইসরাইলি আগ্রাসন
মেটলাইফ বাংলাদেশের গ্রাহকরা ডিসকাউন্ট পাবেন ওশান প্যারাডাইস হোটেলস ও রিসোর্টে
১৫ নারী ও শিশুকে হস্তান্তর
আবাসন ও গার্মেন্ট খাতের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে
মেহেরপুরে বেড়েছে গরম কাপড় বিক্রি
কাশিয়ানীর হাট-বাজার নিষিদ্ধ পলিথিনে সয়লাব
অ্যানুয়াল বিজনেস কন্টিনিউয়িটি প্ল্যান ড্রিল ২০২৪ আয়োজন করলো ব্র্যাক ব্যাংক
সমস্যায় জর্জরিত আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
সবুজ গালিচায় হলুদের সমারোহ
আখাউড়ায় ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মেধা বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
নিউ ইয়র্কের আদালতে অভিযুক্ত লুইজি
কিউবায় সমাবেশ