সাত বছরেও অজানা জড়িতরা
১৬ জুলাই ২০২৩, ১১:০২ পিএম | আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম
স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ির খাল থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গুলি ও বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় জড়িতরা এখনও অজানাই রয়ে গেছে। দীর্ঘ সাত বছরেও তদন্তে জড়িতদের শনাক্ত করতে পারেননি সংশ্লিষ্ট্ররা। ২০১৬ সালের জুন মাসে তিন দফায় অস্ত্র, গুলি ও বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় দেশব্যাপী নানা আলোচনার জন্ম দেয়। পুলিশ কর্মকর্তারা তখন বলেছিলেন, কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী অস্ত্রগুলো সীমান্ত থেকে এনে তা রাখার নিরাপদ স্থান না পেয়ে খালে ফেলেছে। নাশকতার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এগুলো আনা হয়ে থাকতে পারে। ওই সব অস্ত্র-গোলাবারুদ কারা, কী উদ্দেশ্যে এনেছিল, তা জানা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি উল্লেখ করে ওই ঘটনায় করা তিনটি জিডির (সাধারণ ডায়েরি) তদন্ত প্রতিবেদন শিগগিরই জমা দেয়া হবে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পরিত্যক্ত অবস্থায় ওই অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় তুরাগ থানায় তখন তিনটি পৃথক জিডি করা হয়েছিল। এসব জিডির তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপকে। আলোচিত ওই ঘটনায় সাত বছরেও মামলা হয়নি।
২০১৬ সালের ১৮ জুন প্রথম দফায় উত্তরার ১৬ নম্বর সেক্টরের দিয়াবাড়ি খাল থেকে কালো ৭টি ব্যাগের ভেতর থেকে ৯৫টি ৭.৬২ এমএম পিস্তল, ২টি ৯ এমএম পিস্তল, ৪৬২টি ম্যাগাজিন (২৬৩টি এসএমজির), ১ হাজার ৬০টি গুলি, ১০টি বেয়নেট, ১৮০টি ক্লিনিং রড ও ১০৪টি স্প্রিংযুক্ত বাক্স উদ্ধার করা হয়। ১৯ জুন দ্বিতীয় দফায় একই খাল থেকে আরও ৩টি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। ব্যাগে ছিল এসএমজির ৩২টি ম্যাগাজিন ও ৮টি ক্লিনিং রড। ২৫ জুন তৃতীয় দফায় একই এলাকার অন্য একটি খাল থেকে উদ্ধার করা হয় আরও ৩টি ব্যাগ, যেগুলোর মধ্যে ছিল ৫টি ওয়াকিটকি, ২টি ট্রান্সমিটার, ২টি ফিডার কেব্ল, ২২টি কৌটা (যার মধ্যে ছিল আইসি, ট্রানজিস্টর, ক্যাপাসিটর ও সার্কিট), ৭ প্যাকেট বিস্ফোরক জেল, ৪০টি পলিথিনের ব্যাগে থাকা বিভিন্ন ইলেকট্রনিকস সরঞ্জাম এবং রুপালি ও সবুজ রঙের স্প্রিংযুক্ত ৩২৫টি বাক্স। এ ছাড়া আরও কিছু ইলেকট্রিকস ডিভাইস উদ্ধার করা হয়।
২০১৬ সালের ১৮ জুন বেলা ৩টার দিকে নম্বরবিহীন একটি কালো জিপ থেকে খালে ব্যাগ ফেলতে দেখে এক পুলিশ কনস্টেবল তুরাগ থানায় খবর দেন। ওই খবরের ভিত্তিতে টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এর আগে আগেই অবশ্য জিপটি সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
১৮ জুন বেলা তিনটার দিকে নম্বরবিহীন একটি কালো জিপ থেকে খালে ব্যাগ ফেলতে দেখে এক পুলিশ কনস্টেবল তুরাগ থানায় খবর দেন। ওই খবরের ভিত্তিতে টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এর আগে আগেই অবশ্য জিপটি নিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান চালক।
ডিএমপির তৎকালীন কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে বলেছিলেন, এটি কোনো সাধারণ অপরাধীর কাজ নয়। যারা দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশে অশান্তি সৃষ্টি করতে চায়, মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার বিষয়টি ভন্ডুল করতে চায়, এটা তাদের কাজ।
অস্ত্র ও গোলা বারুদ উদ্ধারের ঘটনায় হওয়া তিনটি জিডি তদন্ত তদারকির দায়িত্বে আছেন ডিএমপির স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপের (অস্ত্র ও ডগ স্কোয়াড) অতিরিক্ত উপকমিশনার আহমেদুল ইসলাম। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারের রহস্য উদ্ঘাটন করা যায়নি। কারা, কোথা থেকে, কী উদ্দেশ্যে এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ এনেছিল, তা জানা যায়নি। এসব তথ্য উল্লেখ করে তিনটি জিডির তদন্ত প্রতিবেদন শিগগিরই আদালতে জমা দেওয়া হবে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ
ইবিতে ভিসির দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত, মহাসড়ক অবরোধ
অভিনেত্রী বাঁধনকে নিয়ে যা বললেন পিনাকী ভট্টাচার্য
আ.লীগ নেতাদের সম্পর্কে চাঞ্চল্য তথ্য দিলেন যুব মহিলী লীগ নেত্রী
পরিচয় লুকানো ঢাবি শিবিরের সভাপতি কে এই সাদিক কায়েম?
‘হিন্দুপ্রধান’ জম্মু দিয়ে বিজেপির পক্ষে ‘মুসলিম প্রধান’ কাশ্মির জেতা কি সম্ভব?
গাজীপুরে হাজিরা বোনাস বৃদ্ধির দাবিতে সড়ক অবরোধ
আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় আসছে চীনের মেডিক্যাল টিম
মীলাদুন্নবী মাহফিল থেকে আমরা ঈমানকে পুনর্জ্জীবিত করতে পারি -সায়্যিদ মাআন আল হাসানী আল মক্কী
কলাপাড়ায় নবজাতককে রেখে পালিয়ে গেলেন মা
প্রথম সেশনেই বাংলাদেশের গলায় পরাজয়ের মাল্য
সিলেটে একদিনে ৫ থানার ওসি বদলি
সংখ্যালঘু কমিউনিটি থেকে ভিসি-প্রোভিসি নিয়োগের দাবি
তেজগাঁও থানার হত্যা মামলা ইনু-মেনন-পলক-দীপু মনি, মামুন-রুপা-শাকিল গ্রেপ্তার
নিজ বাড়িতে কোয়াড নেতাদের আমন্ত্রণ জানালেন বাইডেন
ফিরলেন লিটনও, সঙ্গী পাচ্ছেন না শান্ত
থিতু হয়ে ফিরলেন সাকিব
হঠাৎ কেন ভারত সফরে যাচ্ছেন চীন ঘনিষ্ঠ মুইজ্জু
সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন ফের ৫ দিনের রিমান্ডে
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি অধীর চৌধুরীর পদত্যাগ